১লা ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ঠা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলা একাডেমি আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন ২০১৭-এর আয়োজন করেছে। বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহিত্য সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন। সম্মেলনে জার্মানি, অস্ট্রিয়া, চীন, রাশিয়া, পুয়ের্তোরিকো, থাইল্যান্ড, ভারত প্রভৃতি দেশের বিশিষ্ট- কবি-কথাসাহিত্যিক-প্রাবন্ধিক-বুদ্ধিজীবীগণ বিভিন্ন অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেছেন। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্য থেকেও কবি- লেখকবৃন্দ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। ১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সম্মেলন উদ্বোধনের পর ২-৪ ফেব্রুয়ারি তিনদিনব্যাপী অধিবেশনসমূহের বিষয়বস্তুর মধ্যে ছিলো কবিতা, কথাসাহিত্য, প্রবন্ধ-সাহিত্য, মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্য, অনুবাদ-সাহিত্য, নাট্যসাহিত্য, শিশু-কিশোর সাহিত্য, ফোকলোর। 'সম্প্রীতির জন্য সাহিত্য' শীর্ষক এই সম্মেলনের একটি বিশেষ অংশে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কবিদের কবিতাপাঠ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে বাংলাদেশের সুবিখ্যাত ছোট গল্পকার এবং কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক অংশগ্রহন করেছেন এবং অনুপ্রেনিত ভাষণ দিয়েছেন। আজকের খোলামেলা অনুষ্ঠানে শুনুন তাঁর ভাষণের কিছু অংশ। পরিবেশন করছি আমি ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা।
হাসান আজিজুল হক-এর সংক্ষিপ্ত পরিচয়:
হাসান আজিজুল হক (জন্ম ফেব্রুয়ারি ২, ১৯৩৯) একজন বাংলাদেশী ছোট গল্পকার এবং কথাসাহিত্যিক। ষাটের দশকে আবির্ভূত এই কথাসাহিত্যিক তাঁর সুঠাম গদ্য এবং মর্মস্পর্শী বর্ণনাভঙ্গির জন্য প্রসিদ্ধ। জীবনসংগ্রামে লিপ্ত মানুষের কথকতা তাঁর গল্প-উপন্যাসের প্রধানতম অনুষঙ্গ। রাঢ়বঙ্গ তাঁর অনেক গল্পের পটভূমি। তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে। ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে একুশে পদকে ভূষিত করে।