আমি তোমাকে আমার অশ্রু দেখাবো না
  2017-06-15 14:37:14  cri



মুক্তা: বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানের শুরুতে আমি আপনাদেরকে চীনের হংকংয়ের একজন কণ্ঠশিল্পীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবো। তার নাম ছেন সিয়াও ছুন। তার আগে নাম ছিলো ছেন সিয়াও চেন। তিনি ১৯৬৭ সালের ৮ জুলাই কুয়াংদং প্রদেশের হুইচৌ শহরের হুইইয়াং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮০ সালে ১৩ বছর বয়সী ছেন সিয়াও ছুন স্কুল ছেড়ে বাবার সঙ্গে হংকংয়ে যান। তিনি বাবার সঙ্গে বিভিন্ন কাজ করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি হংকংয়ের টেলিভিশন ব্রডকাস্টিং লিমিটেডের নৃত্যবিষয়ক কোর্সে ভর্তি হন। ১৯৯৪ সালে তিনি একটি চলচ্চিত্রে পরিবেশনা করেন এবং একই বছর হংকং চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার পুরস্কার লাভ করেন। এরপর তিনি অনেক চলচ্চিত্র ও টিভি সিরিজে পরিবেশনা করেন এবং অনেক পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি নিজের দু'টি গান নিয়ে হংকংয়ের এক সংগীত প্রতিযোগিতার সবচেয়ে জনপ্রিয় গানের পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৪ সালে তিনি হুইচৌ শহরের গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের সদস্য হন। আজকের অনুষ্ঠানে আমি তার কণ্ঠে 'একচেটিয়া স্মৃতি' নামের গান শোনাবো।

টুটুল: 'একচেটিয়া স্মৃতি' গানের কথা এমন, 'ভুলে গেছি, আমাদের বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর কখন থেকে আমি একা বৃষ্টি দেখতে পছন্দ করি। কোনো যোগাযোগ নেই, আমার আনন্দিত হওয়ার শক্তিও নেই। বজ্র ঝড়ে ভরা বিশ্ব একটি দুর্যোগে আক্রান্ত সিনেমার মতো। এখন আমার অনেক দুঃখ। দুঃখিত, কেউ টাইম মেশিন নয়। শেষ হয়েছে, আলোচনা সাপেক্ষে নয়। আশা করি, তুমি হবে আমার একচেটিয়া স্মৃতি, আমার হৃদয়ে লুকিয়ে থাকবে। আমি জানি, তুমি আমাকে কত আনন্দ দিয়েছিলে। আমি তোমাকে পছন্দ করি, তুমি হলে আমার একচেটিয়া স্মৃতি। কেউ আমার কাছ থেকে তোমার স্মৃতি মুছে ফেলতে পারবে না। আমার শরীরে তোমার অনুভূতির কথা আমি কখনো বলবো না। কোনো সময় সীমা নেই...'। আচ্ছা, বন্ধুরা, এখন আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো।

(গান ১)

মুক্তা: বন্ধুরা, শুনছিলেন 'একচেটিয়া স্মৃতি' নামের গান। এখন আমি আপনাদেরকে চীনের তাইওয়ানের একজন কণ্ঠশিল্পীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবো। তিনি হলেন থং আন গে। তিনি ১৯৫৯ সালের ২৬ জুলাই তাইওয়ানের কাওসিয়াং শহরে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্ডার গার্টেন থেকে তিনি পরিবেশনা শুরু করেন। গান গাওয়া ছাড়া তিনি খুব সুন্দর ছবিও আঁকাতে পারেন। ১৯৮০ সালে তিনি সেনাবাহিনীতে কাজ শুরু করেন। সেনাবাহিনীতে দুই বছরে তিনি প্রায় ৩০টি গান লিখেছেন। ১৯৮২ সালে তিনি একটি কার্টুন কোম্পানিতে কাজ করেন। এ বছর তিনি দু'টি গান প্রকাশ করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি আরো কয়েকটি গান প্রকাশ করেন এবং গানটি তখন তাইওয়ানে খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ১৯৮৫ সালে তিনি প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করেন। একই বছর তিনি টিভি সিরিজে পরিবেশনা শুরু করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি নিজের চতুর্থ অ্যালবামের মাধ্যমে তাইওয়ানে সবচেয়ে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পীর পুরস্কার লাভ করেন। আজকের অনুষ্ঠানে আমি থু আন গে'র কণ্ঠে 'আসলে তুমি আমার হৃদয় বোঝো না' নামের গান শোনাবো।

টুটুল: 'আসলে তুমি আমার হৃদয় বোঝো না' গানটির কথা এমন, 'তুমি বলো যে, আমি মেঘের মতো, বুঝতে পারো না। আসলে তুমি আমার হৃদয় বোঝো না। তুমি বলো যে, আমি স্বপ্নের মতো, হয়তো দূর হয়তো কাছে, আসলে তুমি আমার হৃদয় বোঝো না। আসলে আমি পরোয়া না করে সত্যিই অনুভূতি লুকাই। আমার ভয় হয়, তোমাকে ভালোবাসতে আমি সক্ষম নই, তাই তোমার কাছাকাছি যেতে পারি না। তুমি বলো যে, দূরে যাবে, গোপনে দুঃখ লাগে। আমি তোমাকে আমার অশ্রু দেখাবো না'। আচ্ছা, বন্ধুরা, আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো।

(গান ২)

মুক্তা: বন্ধুরা, শুনছিলেন থং আন গে'র কণ্ঠে 'আসলে তুমি আমার হৃদয় বোঝো না' নামের গান। এখন আমি আপনাদেরকে একজন নারী কণ্ঠশিল্পীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবো। তিনি হলেন লি রুও ইং। তিনি ১৯৭০ সালের ১ জুলাই চীনের তাইওয়ানের তাইবেই শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন কণ্ঠশিল্পী, সুরকার, গীতিকার ও অভিনেত্রী। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির সংগীত বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি তিন বছর বয়স থেকে পিয়ানো শেখা শুরু করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি একটি চলচ্চিত্রে পরিবেশনা করার পর আনুষ্ঠানিকভাবে বিনোদন মহলে প্রবেশ করেন। একই বছর তিনি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি সংগীত মহলে প্রবেশ করেন। তিনি অনেক জনপ্রিয় গান গেয়েছেন এবং রচনা করেছেন। আজকের অনুষ্ঠানে আমি তার কণ্ঠে 'জানো, জানো না' নামের গান শোনাতে চাই।

টুটুল: 'জানো, জানো না' নামের গানটির কথা হল, 'সেদিন আকাশের মেঘ কি জানতো যে, আমাদের একসঙ্গে থাকার সময় খুবই কম। সেজন্য সে আস্তে আস্তে এসেছিল, কারণ আমাদেরকে বিরক্ত করতে চায় নি। বাতাসে মেঘ চলছে, তুমি কোথায় গেছো। তোমার কথা মনে হলে, আমি মাথা তুলে হাসি, তুমি কি তা জানো'? আচ্ছা, বন্ধুরা, এখন আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো।

(গান ৩)

মুক্তা: বন্ধুরা, শুনছিলেন 'জানো, জানো না' নামের গান। এখন আমি আপনাদেরকে আরেকজন নারী কণ্ঠশিল্পীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবো। তিনি হলেন স্যু ফেই। স্যু ফেই ১৯৮৫ সালের ২১ অক্টোবরে চীনের চিলিন প্রদেশের সিফিং শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছোটবেলা থেকেই সংগীত শেখা শুরু করেন। ১৯৯৭ সাল থেকে তিনি বেইজিংয়ে সংগীত শেখা শুরু করেন। এরপর তিনি চীনা গণমুক্তি ফৌজের শিল্প একাডেমিতে ভর্তি হন। ২০০৬ সালে তিনি হুনান প্রদেশের টিভি কেন্দ্রের এক সংগীত প্রতিযোগিতায় ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেন। ২০০৮ সালে তিনি প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ২০১৫ সাল থেকে তিনি নাটকে পরিবেশনা শুরু করেন। আজকের অনুষ্ঠানে আমি স্যু ফেই'র কণ্ঠে 'আমি সবচেয়ে উচ্চস্বর' নামের গান শোনাবো।

টুটুল: 'আমি সবচেয়ে উচ্চস্বর' গানের কথা এমন, 'আলো আর আতশবাজি একসাথে উজ্জ্বল হচ্ছে, কিন্তু আমার স্বপ্নের চেয়ে উজ্জ্বল নয়। আমার ভ্রমণ শুরু, বালির মতো অসহায় অবস্থায় আশা নিয়ে মুখ আরো উজ্জ্বল হয়। তুষারে দুঃখও উজ্জ্বল হয়ে গেছে। ঝড়ের মধ্যে দিয়ে সামনে যাওয়ার শক্তি আছে। আগে যখন আমি গাইতে চেয়েছি, তখন গেয়েছি, আমি সবচেয়ে উচ্চস্বর। এখন আমি যখন গাইতে চাই, তখন গাই। আমি সবচেয়ে উচ্চস্বর। তুমি আমাকে স্বপ্ন দিয়েছো, আমি সাহস নিয়ে সামনে যাচ্ছি। আমার স্মৃতিতে দূরত্ব, আমার আলো জানালা উজ্জ্বল করে। আমি সবচেয়ে উজ্জ্বল'। আচ্ছা, বন্ধুরা, এখন আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো।

(গান ৪)

মুক্তা: বন্ধুরা, শুনছিলেন 'আমি সবচেয়ে উচ্চস্বর' নামের একটি গান। আশা করি, সবাই গানটি পছন্দ করেছেন। আচ্ছা, আজকের অনুষ্ঠানে আমরা আপনাদেরকে চারটি চীনা গান শুনিয়েছি। এখন কয়েকটি বাংলা গান শোনাবো, কেমন?

(বাংলা গান)

টুটুল: প্রিয় শ্রোতা, এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনারা আমাদের অনুষ্ঠানে কোনো পছন্দের গান শুনতে চান, তাহলে আমাদের জানাবেন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা হচ্ছে ben@cri.com.cn

মুক্তা: এবং আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা হলো caiyue@cri.com.cn। 'গানের অনুরোধ' সম্পর্কিত ইমেইল আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়।

টুটুল: আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিনে, একই সময়ে আবারো আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। ততক্ষণ সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন।

মুক্তা/টুটুল: চাই চিয়ান। (ছাই/টুটুল)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040