0623china
|
চীনে মুদ্রার ব্যবহার শুরু হয় প্রায় ৫ হাজার বছর আগে। বিশ্বের আর কোনো দেশে এত আগে মুদ্রার প্রচলন হয়েছিল বলে জানা যায় না। শুরুর দিকে চীনারা মুদ্রা হিসেবে কড়ি ব্যবহার করত। প্রাচীন চীনে সোনা, রুপা, খাদ্য ও বস্ত্রও মুদ্রা হিসেবে ব্যবহৃত হত। পরে ধাতবপ্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে এখানে ধাতুর মুদ্রার প্রচলন শুরু হয়।
প্রাচীন চীনে সবচে' বেশি সময় ধরে প্রচলিত ধাতব মুদ্রার নাম ছিল 'খোং ফাং সিয়োং'। তামার তৈরি গোলাকৃতির এ মুদ্রার মাঝখানে একটি বর্গাকৃতির ছিদ্র ছিল। তার পর তো চীনে 'খোং ফাং সিয়োং' টাকার প্রতিনিধিত্বকারী শব্দে পরিণত হয়।
অর্থনীতির আকার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধাতব মুদ্রা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে লাগল। তাই প্রয়োজনের খাতিরেই আজ থেকে হাজার বছর আগে চীনে প্রচলন হয় কাগজের মুদ্রা 'চিয়াও যি'-র। এটি হচ্ছে বিশ্বের প্রাচীনতম কাগজের মুদ্রা। বর্তমান চীনে যে কাগজের মুদ্রা প্রচলিত আছে সেটি 'রেনমিনপি' বা 'আরএমবি'-র পঞ্চম সংস্করণ। আজকাল আরও সুবিধাজনক ও উন্নত ইলেক্ট্রোনিক মুদ্রাও বাজারে প্রচলিত।
চীনারা টাকা পছন্দ করেন। কিন্তু এক্ষেত্রে তারা স্বার্থপর নন। প্রাচীনকাল থেকেই পারস্পরিক সম্পর্ক ও মৈত্রী তাদের কাছে বেশি গুরুত্ব পেয়ে আসছে। তাই রেস্তোরাঁয় একসঙ্গে খাওয়ার পর প্রত্যেকেই বিল দিতে চান।
চীনাদের কাছে অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন কাঙ্ক্ষিত। তারা সঠিক উপায়ে টাকা আয় করে সঠিক খাতে তা ব্যয় করতে পছন্দ করেন। তারা কেবল বৈধ উপায়ে উপার্জিত টাকা পছন্দ করেন।
বসন্ত উত্সবের সময় চীনারা একে অপরকে 'সিন নিয়েন খুয়ে ল্য' বা 'শুভ নববর্ষ' বলা ছাড়া আরেকটি কথা বলেন। আর সেটি হচ্ছে: 'কোং সি ফা ছাই'। এর অর্থ: আপনার জীবনে সুখ ও অর্থ আসুক।
চীনাদের মধ্যে কেউ কেউ 'কোং সি ফা ছাই' লেখা কাগজ ঘরের দরজায় লাগাতে পছন্দ করেন। তারা বিশ্বাস করেন, এতে তাদের আয়-উপার্জন বাড়বে। সম্পদশালী হবার আশায় অনেকে আবার ঘরে বা দোকানে ঈশ্বরের ভাস্কর্যও রাখেন।