বিশ্বব্যাপী চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছে কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউট ও ক্লাসরুম
  2017-10-10 16:32:31  cri


সুপ্রিয় শ্রোতা, আপনারা কি কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট ও কনফুসিয়াস ক্লাসরুম সম্পর্কে জানেন?

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় দু'টি কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউট ও একটি কনফুসিয়াস ক্লাসরুম আছে। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই যে, ঢাকায় কনফুসিয়াস ক্লাসরুম সিআরআই ও বাংলাদেশের শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশনের যৌথ সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত হয়। এসব সংস্থা চীনা ভাষা ও সংস্কৃতিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছে।

সুপ্রিয় শ্রোতা, আজকের টপিক অনুষ্ঠানে আমরা চীনা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি বিশ্বের নানা দেশের নাগরিকদের আগ্রহ নিয়ে আলোচনা করবো। আপনাদের সঙ্গে আছি আমি....

রুবি: বিশ্বের সবচেয়ে বেশি লোক চীনা ভাষায় কথা বলে থাকেন। বিশ্বে এ ভাষা ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৬০ কোটিরও বেশি।

চীনা ভাষা ও সংস্কৃতিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে ২০০৪ সাল থেকে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট যাত্রা শুরু করে। এ সংস্থার লক্ষ্য বিদেশিদের চীনা ভাষা শেখানো এবং চীনা সংস্কৃতির সাথে তাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া। গেল ১৩ বছরে মোট ৭০ লাখ মানুষ বিশ্বব্যাপী কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটগুলোতে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।

আমি জানি, টুটুল, আপনিও চীনা ভাষা শেখার চেষ্টা করছেন। কেমন শিখছেন?

টুটুল:

রুবি: এখন বিদেশিরা চীনা ভাষা শিখতে অনেক আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। কেন শিখতে চান? আপনি কি মনে করেন?

টুটুল:

রুবি: পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, বর্তমানে সারা বিশ্বে ১৪২টি দেশ ও অঞ্চলে ৫১৬টি কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউট ও ১০৭৬টি ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিশেষ করে 'এক অঞ্চল, এক পথ' সংশ্লিষ্ট ৫১টি দেশে ১৩৫টি কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউট এবং ১২৯টি কনফুসিয়াস ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর এ সংখ্যা বাড়ছে। কারণ বিশ্বজুড়ে চীনা ভাষা শেখার চাহিদা অনেক বাড়ছে।

এ পর্যন্ত বিশ্বের ৬৭টি দেশে পাবলিক শিক্ষাব্যবস্থায় চীনা ভাষা অন্তর্ভুক্ত আছে এবং ১৭০টিরও বেশি দেশের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে চীনা ভাষার কোর্স বা মেজর রয়েছে।

এ দিকে কিছু কিছু দেশে কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউট নিয়ে ভুল ধারণা রয়েছে। তারা মনে করে, এটি এক ধরনের সাংস্কৃতিক প্রচারণা।

রুবি: আসলে আমি বলতে চাই যে, হলিউড চলচ্চিত্র সবাই দেখতে পছন্দ করেন, সেটি কি সাংস্কৃতিক আক্রমণ?

টুটুল: একটি উদাহরণ দিচ্ছি, আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে চীনা ভাষার কোর্স পড়ানো হতো। এ কোর্স এখনও আছে। পরে এর ভিত্তিতে নতুন করে সেখানে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়, যা একটি চমত্কার উদ্যোগ।

রুবি: জ্বি, বিশ্বের এমন অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি বিষয়ে পড়ানো হয়। তারা চীনকে জানতে আগ্রহী এবং চীনও তাদের কাছে নিজের ভাষা ও সংস্কৃতি তুলে ধরতে চায়। সেজন্য কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউট ও ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠিত হয়। (রুবি/টুটুল)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040