১. আমরা সাধারণত যা করি:
খাদ্যগ্রহণশেষে থালা-বাসন তাত্ক্ষণিকভাবে না-ধুয়ে জমিয়ে রাখা
হ্যাঁ, খাদ্যগ্রহণশেষে ব্যবহৃত থালা-বাসনগুলো তাত্ক্ষণিকভাবে না-ধুয়ে, জমিয়ে রাখার প্রবণতা আমাদের অনেকের মধ্যেই আছে। এটা ঠিক নয়। ব্যবহৃত থালা-বাসন জমিয়ে রাখলে, একটা থেকে আরেকটায় আরও ময়লা লাগে। ফলে, ধোয়ার কাজটা তুলনামূলকভাবে কঠিন হয়ে যায়। তা ছাড়া, ব্যাপারটা অসুন্দরও বটে।
আমাদের যা করা উচিত:
খাদ্যগ্রহণশেষে তৈলাক্ত থালা-বাসনগুলোকে আলাদা রাখুন। যে-সব বাসনে বা পাত্রে তেলজাতীয় খাদ্য রাখা হয়নি, সেগুলোর সঙ্গে মেশাবেন না। প্রথমে তেল-চর্বি-লাগা থালা-বাসন পরিষ্কার করুন। তার পর অন্য থালা-বাসনগুলো ধুয়ে নিন। যে-পাত্রে মাংস রান্না করা হয়েছে, সেটা আগে ধুয়ে নিন। রান্নার আগে যে-পাত্রে মাংস ধুয়েছেন, সেটা পরে ধুলেও ক্ষতি নেই। তবে, সবচেয়ে ভালো হয়, যদি তাত্ক্ষণিকভাবে ধোয়ার কাজটা সেরা ফেলা হয়।
২. আমরা সাধারণত যা করি:
লম্বা সময় ধরে পানিতে থালা-বাসন ডুবিয়ে রাখা
অনেকেই খাদ্যগ্রহণশেষে বোল, চামচ, কাঁটাচামচসহ ডাইনিং সরঞ্জাম একসঙ্গে পানিতে লম্বা সময় ধরে ডুবিয়ে রাখেন। অথচ এর মাধ্যমে পাত্রের ব্যাকটেরিয়াগুলো পুষ্টি লাভ করে! তা ছাড়া, অনেকক্ষণ পানিতে ডুবিয়ে রাখলে, পরিষ্কারের কাজটাও কঠিনতর হয়ে যায়। আর গ্রীষ্মকালে এ থেকে দুর্গন্ধও সৃষ্টি হতে পারে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, পানিপূর্ণ পাত্রে এক থেকে পাঁচ গ্রাম মাংস, মাছ, ভাত, ও শাকসবজি ১০ ঘন্টা ডুবিয়ে রাখলে, ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা ৭০ হাজার গুণ বেড়ে যায়!
আমাদের যা করা উচিত:
প্রতিবার খাদ্যগ্রহণশেষে সংশ্লিষ্ট পাত্রটি ধুয়ে ফেলা উচিত। শাক-সবজি রান্না শেষে পাত্রটি গরম থাকতে-থাকতেই সেটি পরিষ্কার করা যেতে পারে। তেল-চর্বিযুক্ত পাত্র খানিকটা গরম পানিতে ধুলে, কাজটা সহজতর হবে।
এই প্রক্রিয়ায় একটি বিষয় উল্লেখ করতে হয় যে, রান্নাশেষে পরিষ্কারকাজের জন্য গরম পাত্রের ভিতরে বেশি ঠাণ্ডা পানি দেবেন না। এতে পাত্রের ক্ষতি হবে।