0205topic
|
অনুষ্ঠানে ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের ১২ জন কবি ও লেখকের হাতে বাংলা একাডেমি পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে একাডেমী প্রাঙ্গণে মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বাংলা একাডেমীর সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. শামসুজ্জামান খান বক্তব্য রাখেন।
লেখক-প্রকাশ-পাঠকদের মিলনমেলা হিসেবে পরিচিত বাংলা একাডেমির গ্রন্থমেলার পরিসর বাড়ানোর পাশাপাশি সময় ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। মাস জুড়ে আয়োজিত এ মেলা এবারো বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণ ছাড়িয়ে সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে বিস্তৃত করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯২টি প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছে ১৩৬টি প্লট। সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে ৩৬৩টি প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছে ৫৮৩টি ইউনিট। এবারো শিশু চত্ত্বর, নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন স্থানসহ থাকছে ওয়াইফাই সুবিধা। মেলা উপলক্ষে বাংলা একাডেমি একটি ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ তৈরি করেছে।
গোটা ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে রাজধানীসহ সারাদেশের কবি-সাহিত্যিক-প্রকাশক ও পাঠকদের পদচারণায় মুখর থাকবে মেলা প্রাঙ্গণ। মেলাকে কেন্দ্র করে প্রকাশরা অনেক নতুন বই প্রকাশ করবেন। পাঠকরা খুঁজে নেবেন নিজেদের পছন্দের বই। লেখক-পাঠক-প্রকাশকদের এই মিলনমেলা অতীতের মতোই ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট মহল।
বইমেলার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবছরের মতো এবারো ফেব্রুয়ারি প্রথম দিন থেকে শুরু হয় জাতীয় কবিতা উৎসব। দেশহারা মানুষের সংগ্রামে কবিতা এই শ্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি চত্ত্বরে হয় দুদিনব্যাপী এ উৎসব। এতে সারাদেশে কবিদের পাশাপাশি যোগ দেন সুইডেন, যুক্তরাজ্য, ক্যামেরুনসহ বিশ্বের ১০টি দেশের কবিরা। আলোচনা, সেমিনার এবং দেশ-বিদেশের কবিদের স্বরচিত কবিতা পাঠের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ৩২তম জাতীয় কবিতা উৎসব।
(ছাই/ মহসীন)