পরমানন্দ 幸福xìng fú
সুখী জীবন:幸福的生活xìng fú de shēng huó
খুশি開心kāi xīn
তোমাকে দেখে খুব খুশি হলাম।
見到你很開心
jiàn dào nǐ hěn kāi xīn
আনন্দ 高興 gāo xìng
তোমার সঙ্গে পরিচিত হয়ে খুব আনন্দিত হলাম।
很高興認識你
hěn gāo xìng rèn shí nǐ
সন্তোষ 滿意 mǎn yì
আমি খুব সন্তুষ্ট।我很滿意wǒ hěn mǎn yì
আজকের হট শব্দ:
চা 茶 chá
চীনের মানুষ চার হাজার বছরের বেশি সময় ধরে চা পান করছে।চা চীনাদের দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম অপরিহার্য পানীয়। চীনে একটি কথা প্রচলিত রয়েছে, প্রতিটি পরিবারে জীবনের সাতটি প্রয়োজনীয় জিনিস হলো জ্বালানি কাঠ, চাউল, ভোজ্য তেল, লবণ, সয়াসস, ভিনিগার ও চা। এই কথা থেকে চীনাদের জীবনে চায়ের গুরুত্ব বোঝা যায়। মেহমান আসলে তাকে এক কাপ সুগন্ধি চা পরিবেশন করে চীনারা। চা পানের সঙ্গে সঙ্গে অতিথির সঙ্গে কথা বলতে পছন্দ করে চীনের মানুষ।
চীনাদের চা পানের ইতিহাস দীর্ঘ দিনের। ২৮০ খ্রিষ্টাব্দের আগে দক্ষিণ চীনে উ নামে একটি ক্ষুদ্র রাজ্য ছিল। এই উ রাজ্যের রাজা মন্ত্রীদের সঙ্গে ভোজে অংশ নেওয়ার সময় মন্ত্রীরা বেশি বেশি মদ পান করে নেশা করত। তাদের মধ্যে উয়ে চাও নামে এক মন্ত্রী ছিলেন। তিনি মদ পান করতে পারতেন না। তাই রাজা তাকে মদের বদলে চা পানের অনুমতি দেন। এই সময় থেকে চীনের অনেক লোক চা দিয়ে মেহমানকে স্বাগত জানানো শুরু করেন। থাং রাজবংশের সময় চা পান করা চীনাদের একটি অভ্যাসে পরিণত হয়। জানা গেছে, চীনাদের এই অভ্যাস বৌদ্ধধর্মের সঙ্গেও সম্পর্কিত। মন্দিরে সন্ন্যাসীরা ধ্যান করতেন। এ সময় তাদের ঘুম-ঘুম ভাব দূর করার জন্য কড়া চা পরিবেশন করা হত। থাং রাজবংশের আমলে ধনী পরিবারে চা বানানো, চা পান করা ও বই পড়ার আলাদা ঘর থাকত।
তবে চীনের বিভিন্ন স্থানে চা পানের রীতি এক নয়। বেইজিংয়ের মেহমানরা দাঁড়িয়ে দু'হাত বাড়িয়ে দিয়ে চায়ের কাপ নেন এবং ধন্যবাদ জানান। দক্ষিণ চীনের কুয়াংতুং প্রদেশে মেজবানের কাছ থেকে চায়ের কাপ নেওয়ার পর মেহমানরা সাধারণত ডান হাতের আঙুল দিয়ে টেবিলে তিন বার টোকা দিয়ে ধন্যবাদ জানান। চীনের কিছু অঞ্চলে অতিথিরা কাপের চা শেষ না করে কাপের ভিতর কিছু চায়ের পানি অবশিষ্ট থাকলে তার কাপে ফের পানি দেওয়া হয়। অতিথিরা কাপের চা শেষ করলে, মেজবানরা বুঝতে পারেন যে তিনি আর চা পান করবেন না।