0527music
|
বন্ধুরা, শুনছিলেন ছুই চিয়ান'র কন্ঠে 'কিছু নেই' গানটি। বন্ধুরা, আপনারা হয়তো চীনের বিখ্যাত অভিনেতা জ্যাকি চেনকে জানেন, তাই না? তিনি চলচ্চিত্রজগতে অনেক মর্যাদা ও সাফল্য লাভ করেছেন। কিন্তু হয়তো আপনারা জানেন না যে, তিনি একজন বড় মাপের গায়কও বটে। তিনি অনেক সুন্দর সুন্দর গান গেয়েছেন। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা আপনাদেরকে তার কয়েকটি গান শোনাতে চাই। প্রথমে শুনবেন 'অশেষ ভালবাসা' শিরোনামের গান। এ-গানটি 'দ্য মিথ' চলচ্চিত্রের থিম গান। দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত অভিনেত্রী কিম হি সুন জ্যাকি চেনের সঙ্গে গানটি গেয়েছেন। গানের কথা হল: 'আমার সবচেয়ে রহস্যময় অপেক্ষা ভেঙ্গে দাও। তারকা খসে পড়ছে, বাতাস আসছে। দু'টি হৃদয় কাঁপছে। আমার হৃদয়কে বিশ্বাস করো, হাজার হাজার বছর অপেক্ষা করতে থাকব। কতো শীত কেটে যাবে, তোমার হাত আমি ছাড়ব না। প্রতিরাতে হৃদয়ে ব্যথা। স্মৃতি শেষ হয় না। তোমাকে বিশ্বাস করি। সেজন্য আমি অপেক্ষা করতে থাকব। ব্যথায় আমার ভয় লাগে না। শুধু তোমার কোমলতাই আমাকে উদ্ধার করতে পারে। ভালবাসা আমাদের হৃদয়ে সবসময় ফুলে পরিণত হয়। স্বপ্ন কখনও ছেড়ে দেবনা। শুধুমাত্র সত্য ভালবাসা আমাদের সঙ্গে থাকবে। ভালবাসা হল আমাদের হৃদয়ে সুন্দর কথা।' আচ্ছা, এখন আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো।
বন্ধুরা, শুনছিলেন জ্যাকি চানের কন্ঠে 'অশেষ ভালবাসা' গানটি। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে 'তোমাকে নিয়ে বাড়িতে যাই' শীর্ষক গান শোনাবো। ২০১০ সালে হাইতিতে আটজন চীনা শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছিলেন। তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জ্যাকি ও চীনের বিখ্যাত নারী কন্ঠশিল্পী থান চিং গানটি গেয়েছেন। গানে আটজন বীরকে স্মরণ করা হয়। চলুন, আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো।
বন্ধুরা, শুনছিলেন জ্যাকি চান'র কন্ঠে কয়েকটি গান। এখন আমি আপনাদেরকে নারী কন্ঠশিল্পী লিয়াং জিং রু-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবো। তাঁর জন্ম ১৯৭৮ সালের ১৬ জুন। তিনি মালয়েশিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৭ সালে চীনের বিখ্যাত গীতিকার লি জুং শেং-এর সাহায্যে তিনি তাইওয়ানে যান। তারপর ১৯৯৯ সালে প্রথম অ্যালবাম প্রকাশের মাধ্যমে সঙ্গীতজগতে তার পথচলা শুরু হয়। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে 'ফ্লাই এওয়েই' গানটি শোনাবো। গানটি ২০০৩ সালে রিলিজ হয়। চলুন, এখন আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো।
বন্ধুরা, শুনছিলেন লিয়াং জিং রু'র কন্ঠে 'ফ্লাই এওয়েই' শীর্ষক গান। ২০০০ সালে তিনি 'সাহসী' শিরোনামে একটি গান গেয়েছেন। গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এই গান নিয়ে লিয়াং জিং রু ১২তম তাইওয়ান সঙ্গীত পুরস্কারের শ্রেষ্ঠ এমটিভির মনোনয়ন পান। ২০০১ সালে লিয়াং জিং রু-এর তৃতীয় অ্যালবাম 'উজ্জ্বল তারা' প্রকাশিত হয়। ২০০২ সালে তাঁর চতুর্থ অ্যালবাম 'আমি সূর্যোদয় পছন্দ করি' বাজারে আসে। ২০০৩ সালে তাঁর পঞ্চম অ্যালবাম 'সুন্দর জীবন' প্রকাশিত হয়। ২০০৪ সালে লিয়াং জিং রু 'সুন্দর জীবন' অ্যালবাম দিয়ে ১৫তম তাইওয়ান শ্রেষ্ঠ গানের শ্রেষ্ঠ গায়িকার মনোনয়ন লাভ করেন। আর একই বছর তিনি ষষ্ঠ অ্যালবাম 'প্রজাপতি' প্রকাশ করেন। বন্ধুরা, এখন আমি আপনাদেরকে 'ভালবাসা, অনেক সহজ' শীর্ষক গান শোনাবো। গানটি তাইওয়ানের বিখ্যাত্ আর এন্ড বি কন্ঠশিল্পী থাও চে রচনা করেছেন। লিয়া জিং রু ২০০৮ সালে নিজের অ্যালবামে গানটি অন্তর্ভুক্ত করেন। চুলন, আমরা একসঙ্গে শুনবো লিয়াং জিং রু'র কন্ঠে 'ভালবাসা, অনেক সহজ' নামের গান।
বন্ধুরা, শুনছিলেন লিয়া জিং রু'র কন্ঠে 'ভালবাসা, অনেক সহজ' গানটি। ২০০৫ সালে তিনি বিশ্বব্যাপী কনসার্ট আয়োজন করেন। আর একই বছর তিনি 'প্রজাপতি' গান নিয়ে ২০০৪ সালে তাইওয়ানের শ্রেষ্ঠ গায়িকার পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৬ সালে তাঁর অ্যালবাম 'চুমু' প্রকাশিত হয়। এই অ্যালবামের অন্যতম গান 'উষ্ণতা' তাঁর প্রতিনিধিত্বশীল গানগুলোর অন্যতম। বন্ধুরা, ২০০৭ সালে তাঁর নবম ব্যক্তিগত অ্যালবাম 'আরাধনা' প্রকাশিত হয়। এই অ্যালবাম এশিয়ায় বিক্রি হয় ১০ লাখেরও বেশি কপি। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে তাঁর কন্ঠে 'নিংসিয়া' নামের গান শোনাবো। গানটি ২০০৪ সালে রিলিজ হয়। গানের কথা লেখক লি চেং ফান ২০০৪ সালের গ্রীষ্মকালে চীনের নিংসিয়া হুই জাতির স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে স্থানীয় শিশুদের সঙ্গে তিন দিন বসবাস করার পর লিখেছেন। চলুন, আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো।
প্রিয় শ্রোতা, এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আমাদের অনুষ্ঠানে আপনারা কোনো পছন্দের গান শুনতে চান, তাহলে জানাবেন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা ben@cri.com.cn। আর আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা caiyue@cri.com.cn। 'গানের অনুরোধ' আমার নিজস্ব ই-মেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়।
আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিন, একই সময়ে আবারো আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। চাই চিয়ান। (ছাই/আলিম)