গত এক বছরে এসসিও'র চেয়ারম্যান দেশ হিসেবে চীনকে ব্যাপক সমর্থন দেওয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রেসিডেন্ট সি। তাঁর ভাষণে শুরুতেই ধন্যবাদ জানানো হয়। এসসিও'র সদস্য সংখ্যা বাড়ার পর প্রথম অনুষ্ঠিত শীর্ষসম্মেলন এটি। এর গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্য রয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসেইন প্রথমবারের মতো সদস্য দেশের শীর্ষনেতা হিসেবে এ সম্মেলনে অংশ নেন।
প্রেসিডেন্ট সি বলেন, 'শাংহাই চেতনা' সবসময় কাজে লাগানোর কারণে শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার বলিষ্ঠ প্রাণশক্তি ও প্রবল সহযোগিতার চালিকাশক্তি বজায় রয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নতুন অধ্যায় উন্মোচন করেছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, 'শাংহাই চেতনা' হচ্ছে আমাদের যৌথ সম্পদ। একটি সহনশীল, যৌথ সমৃদ্ধ, স্থায়ী শান্তি, দূষণমুক্ত ও সুন্দর বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্টদের উচিত অব্যাহতভাবে 'শাংহাই চেতনা' কাজে লাগিয়ে হাতে হাত রেখে শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি গড়ে তোলা।
সি বলেন, ব্যক্তি পর্যায়ে যোগাযোগ জোরদার করতে হবে। যুব খাতে বিনিময় জোরদার করার মাধ্যমে ব্যক্তি পর্যায়ে যোগাযোগ জোরদার করা যায়। আগামী তিন বছরে শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সদস্য দেশগুলোর তিন সহস্রাধিক জনশক্তিকে প্রশিক্ষণ দেবে বেইজিং।
এদিকে, সম্মেলন শেষে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার পালাক্রমিক সভাপতি রাষ্ট্র হিসেবে কিরগিজস্থানের নাম ঘোষণা করেন। অংশগ্রহণকারী পক্ষগুলো আগামী সম্মেলন ভালোভাবে আয়োজন করা এবং দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কিরগিজস্থানকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
(ওয়াং হাইমান/তৌহিদ)