0613huati.mp3
|
হ্যাঁ, এ সম্পর্কে না জানলে নানা শারীরিক সমস্যা হতে পারে। চলুন
'আজকের টপিক' অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে কিছু টিপস জেনে নেওয়া যাক।
অনেকে খুব পিপাসার্ত হয়ে প্রচুর ঠাণ্ডা পানি পান করতে পছন্দ করেন। টুটুল, আপনি কখনো এভাবে করেছেন?
টুটুল:
রুবি: এটি ভালো না। এরকম ঠাণ্ডা পানি পান করলে এর কারণে কমে যাওয়া শারীরিক তাপমাত্রা ভারসাম্য রাখতে পারেনা, এ জন্য শরীরকে আরও বেশি তাপশক্তি যোগাতে হয়। সবাই জানেন তো যে শারীরিক তাপমাত্রা নির্দিষ্ট পর্যায়ে থাকে। তাই আপনারা পিপাসার্ত থাকলেও উষ্ণ পানি পান করুন। অনেকে গরম থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য প্রতিদিন আইসক্রিম খেয়ে থাকেন। সেটিও ভুল।
এ সময় এক কাপ চা পান করা ঘাম নির্গমনের জন্য অনুকূল।
টুটুল: তাহলে অনেকে হয়তো জিজ্ঞাস করবেন, গরমে কোল্ড ড্রিঙ্কস ও আইসক্রিম আর খাওয়া যাবে না?
রুবি: না, অবশ্যই খাওয়া যাবে। তবে কিছু টিপস মেনে খেতে হবে। যেমন, তিনবেলা খাবারের সঙ্গে না খাওয়া ভালো। এ সময় খেলে পাকস্থলীর সমস্যা হতে পারে। প্রচুর শরীর চর্চার পর খাওয়া যায় না। কারণ অনেক ঘাম বের হওয়ার পর খেলে ধমনী সংকুচিত হতে পারে, যাতে কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থাকে।
আর কি কি মানতে হয়?
বৃদ্ধবৃদ্ধা, শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের না খাওয়াই ভালো। ডায়াবেটিস এবং স্থূল রোগীরা খাবেন না। ঠাণ্ডা লাগা ও গলা ব্যথা করে যাদের, হজমের সমস্যা হয় যাদের, দাঁত ব্যথা করে যাদের তারা খাবেন না।
তাহলে কোন কোন সময় খেতে পারেন?
দুপুর বারোটা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে সবচেয়ে গরম থাকে, এ সময় খাওয়া যায়, তবে খাবারের এক ঘণ্টা পর খাওয়া ভালো।
ফ্রিজ থেকে আইসক্রিম বা কোল্ড ড্রিঙ্কস বের করার এক ঘণ্টা পর তা খাবেন। বাইরের আইসক্রিমের পরিবর্তে নিজের তৈরি আইসক্রিম খাওয়া ভালো। (রুবি/টুটুল)