বালিতে ভরপুর খুবুছি মরুভূমি একসময় ছিলো জীবনের জন্য খুব সীমাবদ্ধ একটি এলাকা। সেই সময় সেখানকার কৃষক ও পশুপালকদের বার্ষিক আয় ছিলো ৪০০ ইউয়ান রেনমিনপি'র কম। তখন মরুভূমিতে একমাত্র উঠের পিঠে করে যাতায়াত করতে হতো। এক শ' কিলোমিটার দূরের জায়গায় কাজ করতে যেতে উটের পিঠে কমপক্ষে ৬ দিন সময় লাগতো।
সম্প্রতি সিআরআইয়ের সাংবাদিকরা খুবুছি মরুভূমি যান, তারা দেখেন এ মরুভূমি এখন সবুজে ভরে উঠেছে।
২০০৬ সালে ৩৬টি পরিবারের কৃষক ও পশুপালকরা নতুন গ্রামে বাস করা শুরু করেন। বাড়ির সামনে ও পিছনের জায়গায় গাড়ি দেখা যায়। তারা এখন উটকে যানবাহন হিসেবে আর ব্যবহার করেন না। উঠকে এখন কৃষক ও পশুপালকদের প্রতিষ্ঠিত দর্শনীয় স্থানে বিচরণ করতে দেখা যায়।
সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ গভীরতর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চীনের জাতীয় শক্তি অব্যাহতভাবে জোরালো হয়ে ওঠে। এর ফলে খুবুছি মরুভূমির প্রাকৃতিক পরিবেশের পুনরুদ্ধার ও নির্মাণ ভালোর দিকে এগিয়ে যায়। কৃষক ও পশুপালকরা গাছ রোপণ ও ঘাস চাষ করা থেকে ধাপে ধাপে ব্যাপকভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশ পুনরুদ্ধার এবং প্রজনন ও পর্যটন শিল্প উন্নয়ন করা পর্যন্ত বিভিন্ন শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন।
কয়েক ডজন বছর ধরে চীনের জাতীয় ও আঞ্চলিক সরকার খুবুছি প্রাকৃতিক নির্মাণ কাজের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। বিশেষ করে ২০১২ সালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির অষ্টাদশ জাতীয় কংগ্রেসের পর চীন প্রাকৃতিক সভ্যতার নির্মাণ কৌশল চালু করে। আঞ্চলিক সরকার নীতিগত সমর্থনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং চুক্তি স্বাক্ষর ও ভাড়াসহ বিভিন্ন উপায়ে প্রাকৃতিক নির্মাণ কাজে অংশ নিতে কৃষক ও পশুপালকদের উত্সাহ দেয়।
এক পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত খুবুছিসহ এরদোস শহরের প্রাকৃতিক পুনরুদ্ধার ও নির্মাণ ক্ষেত্রে সরকার ও সমাজের বিভিন্ন মহলের মোট পুঁজি বিনিয়োগ ১৯১০ কোটি ইউয়ান রেনমিনপি ছাড়িয়ে যায়। এসব অর্থ কৃষক ও পশুপালকদের দারিদ্র্যবিমোচন ও ধনী হওয়ার জন্য অভূতপূর্ব সুযোগ এনে দিয়েছে।
সরকারের নীতির সমর্থনে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর পুঁজি বিনিয়োগে এবং কৃষক ও পশুপালকদের অংশগ্রহণে এখন পর্যন্ত খুবুছির বালি পরিচালনার আয়তন ৬০০০ বর্গকিলোমিটার এবং সবুজায়নের আয়তন ৩২০০ বর্গকিলোমিটার ছাড়িয়ে যায়। এখন পর্যন্ত ৫০০ বিলিয়ন ইউয়ান রেনমিনপি মূল্যের পরিবেশগত সম্পদ সৃষ্টি হয়েছে এবং ১০ লাখেরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ব্যাপক কৃষক ও পশুপালক সবার কল্যাণে বালি পরিচালনায় ব্যাপকভাবে অংশ নিয়েছেন। (লিলি/টুটুল)