রোববারের আলাপন-181111
  2018-11-11 16:32:16  cri


আকাশ: সুপ্রিয় শ্রোতা, সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে। আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের নতুন সাপ্তাহিক আয়োজন 'রোববারের আলাপন'। আপনাদের সঙ্গে আছি এনামুল হক টুটুল এবং শিয়েনান আকাশ।

আকাশ: ভাই, আজ একটি বিশেষ দিবস, তুমি জানো, সেটা কি?

টুটুল:কি, ভাই? আমি জানি না তো।

আকাশ: তুমি আজকের তারিখ জানো?

টুটুল:১১ই নভেম্বর, মানে?

আকাশ: ১১,১১, চারটি ১, অর্থ অনুমান করো

টুটুল:চারটা আইস ক্রিম?

আকাশ: না না, বৌ বা মেয়েবন্ধু থাকলে মানে দু'জন, যদি ব্যাচেলর মানে এক জন, একা, তাইনা?

টুটুল: তাই ১১,১১ মানে চারটা ব্যাচেলর!

আকাশ: তুমি ঠিক বলেছো, এত বেশি ব্যাচেলর, এজন্য আজ হচ্ছে ব্যাচেলর দিবস!

টুটুল: স্যতি! হাহা, আপনি মজা করছেন, ঠিক?

আকাশ: সিরিয়াসলি ভাই, আজ চীনের সত্যি ব্যাচেলর দিবস!

টুটুল: হাহা, কি মজা!

আকাশ: আরো মজা আছে, প্রথম এ দিবস শুরু হওয়ার পর শুধু ব্যাচেলররা একসাথে মিলিত হয়ে ডিনার খান। আর তাদের মেয়েবন্ধু বা ছেলেবন্ধু না থাকার কারণে এদিন তারা অনলাইন শপিং করেন।

এজন্য অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট, যেমন- থাওপাও, জিনতুং এদিন বড় ডিসকাউন্ট দেয়। এ জন্য এ দিনটি অনলাইন শপিং দিবসও হয়ে গেছে।

টুটুল: সত্যি? আমি এটা জানিনা। তাহলে আমিও অনলাইনে শপিং করবো।

আকাশ: অবশ্যই, কিন্তু এজন্য তুমি ব্যাচেলরদের ধন্যবাদ জানাবে। কারণ তাদের জন্যই এ বিশেষ ডিসকাউন্টের সুযোগ তুমি পাবে।

টুটুল: হাহা, অবশ্যই! কিন্তু আমি আশা করি একদিন এ ব্যচেলর দিবস শেষ হয়ে যাবে। সবাই তার মনের মিস্টার বা মিসকে পাবেন।

আকাশ: আমরা আশা করি, এ দিন ভালবাসা দিবস হয়ে যাবে, কেমন?

টুটুল: নিশ্চয়ই, কিন্তু শপিং ডিসকাউন্ট থাকবে তো? হাহাহাহা।

চীনের টেম্পল অফ হ্যাভেন পার্কের 'বোডি বিল্ডিং' দাদা

চীনের রাজধানীতে একটি টেম্পল অফ হ্যাভেন অর্থাত "থিয়ান থান" পার্ক আছে। এ পার্কে অনেক বিখ্যাত বোডি বিল্ডিং দাদা আছেন। এ ডাকনাম দিয়েছেন কিছু কিছু বিদেশি সাংবাদিক। জানা গেছে, একজন মার্কিন সাংবাদিক এ পার্কে গিয়ে তাঁদের বোডি বিল্ডিং দেখে অনেক অবাক হয়েছেন। তারপর তিনি একটি প্রতিবেদনে লিখেন, "চীনে বয়স্ক ওই বোডি বিল্ডিং দাদাদের বোডি বিল্ডিংয়ের মাধ্যমে মানবজাতির অবিশ্বাস্য গতি ও দক্ষতা দেখা যায়" । দাদাদের ছবি ও ভিডিও ওয়েবসাইটে খুবই জনপ্রিয়। আজ আমরা টেম্পল অফ হ্যাভেন পার্কের বোডি বিল্ডিং দাদাদের গল্প আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো, কেমন?

টেম্পল অফ হ্যাভেন পার্কের বোডি বিল্ডিং দাদারা বিখ্যাত হওয়ার পর, প্রতিদিন দেশ-বিদেশের পর্যটকরা তাঁদের সাথে ছবি তোলেন। দাদারা খুবই শান্ত থাকেন। তারা বলেন, "তোমরা ছবি তোলো, আমরা বোডি বিল্ডিং করছি"।

আসলে টেম্পল অফ হ্যাভেন পার্কের ভেতরে বোডি বিল্ডিংয়ের ঐতিহ্য প্রায় বিশ বছরের। প্রতিদিন অনেক বিশেষজ্ঞ এখানে শরীর চর্চা করেন।

একজন দাদা সাংবাদিককে বলেন, "আমি এখানে প্রায় দশ বছরের বেশি সময় ধরে বোডি বিল্ডিং করছি। বৃষ্টি বা তুষারপাত যাই হোক না কেন, প্রতিদিন আমি এখানে আসি, এটা আমার কাছে নেশার মত।"

তাহলে এখানে কেন এত আকর্ষণ? দাদারা বিস্ময়কর বোডি বিল্ডিং দক্ষতা কিভাবে পেয়েছেন?

বেইজিংয়ের গভীর শীতকাল, সকাল ৬টা, তখন আকাশ অন্ধকার। ৭০ বছর বয়সী লিউ শু জেং তাঁর স্ত্রীর বানানোর নাস্তা খাওয়ার পর, পানি নিয়ে পুরাতন সাইকেলে তাঁর পুরাতন বাসা থেকে আনন্দের সাথে রওয়ানা দিয়েছেন। এ রাস্তায় তিনি প্রায় দশ বছর ধরে সাইকেলে চলাচল করছেন। বৃষ্টি, বাতাস, তুষারপাত যাই হোক না কেন প্রতিদিন তিনি এ রাস্তায় চলাচল করেন। মনের আনন্দ ও উতসাহ এখনো কমে যায় নি।

এরপর একী সময় তাঁর বন্ধুরা, কুয়াং আনমেনে বসবাসকারী লিউ তিয়ান ফু দাদা, তা শিংয়ে বসবাসকারী ইয়ান ওয়েন শিং দাদা, শি বালি তিয়ানে বসবাসকারী ইয়ু সোং ওয়াং দাদা... বাসে বা সাইকেলে, বেইজিংয়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে রওয়ানা হয়ে একই গন্তব্যে যান। এটা হচ্ছে থিয়ান থান পার্ক।

থিয়ান থান পার্কে লিউ শু জেংয়ের একটি ডাক নাম আছে, তা হলো থিয়ান থান বানর। সবাই তাঁকে চেনেন। তিনি এবং তাঁর বন্ধুরা এখানে দশাধিক বছর ধরে বোডি বিল্ডিং করছেন। এটা এখন শুধু তাদের বোডি বিল্ডিংয়ের জায়গা নয়, এটা এখন তাদের বাসার মতো।

সকাল ৭টা, থিয়ান থান পার্কের টেম্পলে সূর্যের আলো চলে এসেছে। চারদিকে গাছের সুগন্ধ। লিউ শু জেং সাহেব এসেছেন থিয়ান থান পার্কে।

"দেখেন, থিয়ান থান বানর এসেছেন, দাদা, আমাদের আপনার সুন্দর কুংফু দেখাবেন!" সবাই ভিড় করে তাঁর দিকে এসেছেন। এখানে সবারই একটি ডাকনাম আছে, যেমন- লোহা মানুষ, প্রিন্সিপাল ইত্যাদি। সিনিয়ররা সবাই পরস্পরকে ডাকনামে ডাকেন, পরস্পরের সঙ্গে মজা করেন। লিউ দাদা সবার কাছে ভীষণ জনপ্রিয়। তিনি হাসাহাসি করে সবাইকে হ্যালো বলেন, তারপর তিনি তাঁর পার্টনার ইয়ান ওয়েন শিংকে খোঁজেন। তাঁকে পাওয়ার পর তাঁরা কুংফু দেখানোর জন্য প্রস্তুতি নেন।

সমান্তরাল ও আনুভূমিক বার ব্যবহার করে তাঁরা অ্যাক্রোবেটিকের মতো পারফরমেন্স করেন। সবাই এ পারফরমেন্স দেখে চিত্কার করেন এবং হাততালি দেন। অনেকক্ষণ আপ অ্যান্ড ডাউন, আপ অ্যান্ড ডাউন পারফরমেন্স করার পর তাঁরা বার থেকে নেমে আসেন।

একজন বিদেশি দর্শক এ পারফরমেন্স দেখে অবাক হয়ে যান। তিনি মুখ বন্ধ করতে পারেন না।

এ রকম বিস্ময়কর পারফরমেন্স থিয়ান থান পার্কে খুবই স্বাভাবিক। তাদের প্রত্যেকেরই নিজের বিশেষ কুংফু আছে।

একজন ৯৫ বছর বয়সী দাদা খুব সহজে ৭টি পুল-আপ করেন এবং দশাধিক পুশ-আপ করেন। লিউ দাদা সাংবাদিককে বলেন, এখানে অনেক ধরনের থিয়ান থান রেকর্ড আছে, সবাই যা খুশি তাই খেলবে। লিউ দাদা বলেন, এখানে সব সিনিয়র খুশির জন্য বোডিবিল্ডিং খেলেন।

এখানে কোনো কোচ নেই। সবাই সবার কোচ। সবাই পরস্পরকে শেখান এবং সাহায্য করেন। এ ধরনের আদানপ্রদানের মুক্ত পরিবেশ আরো বেশি লোককে এখানে যোগ দিতে আকর্ষণ করে।

লিউ শু জেং বলেন, এখানে সবারই উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকে, স্বপ্ন থাকে। সবাই প্রতিদিন পরিশ্রম করে চর্চা করেন এবং পরস্পরকে সাহায্য করেন এবং প্রতিযোগিতা করেন। তুমি যদি অলস হও, তাহলে থিয়ান থান পার্কে আসার তোমার কোনো সাহস নেই।

সমান্তরাল বারের কাছে সবাই ভিড় করে চিতকার ও হাততালি দিচ্ছেন, একজন দাদা জিমন্যাস্টিক্সের মতো আপ-ডাউন করছেন, ঘুরছেন। নামার সময় তিনি সবাইকে মিলিটারির মতো করে স্যালুট দেন।

লিউ শু জেং সাংবাদিককে বলেন, আপনি দেখে বুঝতে পারবেন? ৫ বছর আগে তিনি সেরিব্রাল থ্রোমবোসিয়ার কারণে হেমিপ্লেগিয়াতে আক্রান্ত হয়েছেন।

এখানে আসার সময় তিনি প্রায় হাঁটতে পারতেন না। এখন তিনি জিমন্যাস্টিক্সের মতো সমান্তরাল বার চর্চা করতে পারেন। এমনকি, চিকিত্সক বলেছেন,এটা একটি মিরাকেল।

এ দাদার নাম হচ্ছে শেন চুন, বয়স ৬০ বছরের মধ্যে। খুবই শক্তিশালী শরীর এবং সূর্যের আলোর মতো হাসি।

তিনি আগে সেনাবাহিনীতে ছিলেন, কিন্তু ওই রোগ তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রায় ধ্বংস করে ফেলে।

প্রথমে থিয়ান থান পার্কে এসে তিনি অবাক হয়ে যান। ৮০ বছরেরও বেশি বয়সী মানুষের শরীর এত ভাল, আমি অনেক প্রশংসিত, তিনি বলেন।

তিনিও বোডি বিল্ডিং বাগানে একটু হাটাহাটি করেন। এর পর তিনি প্রতিদিন এই পার্কে আসা শুরু করেন। তিনি বলেন, "সত্যি, সাত বছর, প্রতিদিন বৃষ্টি বা তুষারপাত যাইহোক না কেন আমি এখানে এসেছি, নেশার মত"। তিনি আরো জানান, প্রথমে তিনি জগিং করেন, তারপর আস্তে আস্তে আনুভূমিক বার ও সমান্তরাল বার চর্চা করেন। তিনি বলেন, হাসপাতালে চিকিত্সা নেয়ার চেয়ে এখানের শরীর চর্চা অনেক ভাল।

তিনি বলেন, "এখানে সবাই খুবই ভাল, সবাই আমাকে সাহায্য করেন, নিজের সব দক্ষতা আমাকে শেখান, সবাই আমাকে উত্সাহিত করেন"। দু'বছর পর, শেন চুন সাহেব আনুভূমিক বারের প্রথম লুপ সম্পন্ন করেন। আমার মনে হয় আমি উড়ছি, অসুস্থ হওয়ার পর প্রথম বারের মত আমি এত খুশি এবং উত্তেজিত। তিনি বলেন।

৬৫ বছর বয়সী উ ছেং চুন দাদার অভিজ্ঞতা শেন চুন সাহেবের মতোই। তিনি ৩ বছর আগে সেরিব্রাল থ্রোমবোসিয়ার কারণে হেমিপ্লেগিয়াতে আক্রান্ত হন। তিনি বলেন, "আমি চাকরি করার সময় নেতা ছিলাম, অনেক দায়িত্ব ছিলো। অবসরের পর মনে দু:খ পেয়েছি, তারপর দু' বছর পর অসুস্থ হয়ে গেছি।" সবসময় বাসায় থাকার কারণে তিনি স্ত্রী ও ছেলের সাথে ঝগড়া করতেন।

"আগেই আমি নাচ ও বোডি বিল্ডিংকে অনেক অপছন্দ করতাম। কিন্তু এখন আমি তাঁদের মধ্যে একজন" । তিনি বলেন, প্রথম আনুভূমিক বারের উপর পুল-আপ করার সময় আমি একবারও উঠতে পারতাম না, সবাই আমাকে উত্সাহিত করেন এবং হাততালি দেন। এখন আমি সুস্থ মানুষের মত হাঁটতে পারি।

থিয়ান থান পার্কে এরকম অনেক গল্প আছে। সবাই বলেন, এখানে হাসপাতালে শুয়ে থেকে সুস্থ হওয়ার চেয়ে ভাল, এখানে সবাই পরস্পরকে উত্সাহিত করেন, সঙ্গ দেন।

অনেকে সাংবাদিকদের বলেন, " নেশার মত", থিয়ান থান পার্ক এত মনোমুগ্ধকর কেন? দশাধিক বছর ধরে সবাইকে আকর্ষণ করে আসছে।

"অবসরের আগে কাজ করার সময়ও এত নিষ্ঠা ছিলো না। এখানে না আসলে মনে কষ্ট পাই। এখানে সবাই আমাকে চিনেন। কেউ না আসলে, সবাই তাঁকে মিস করেন"।

লিউ শু জেংয়ের জন্য হয়তো অবসরের পর জীবন আরো মজার হয়েছে। আগে তিনি কারখানায় কাজ করতেন। তিনি জানান, তখন অনেকে তাঁর মত অনেক কষ্ট করে জীবন কাটান।কাজ করে টাকা উপার্জন করে পরিবারকে সহায়তা করা নিয়েই সবাই ব্যস্ত। তখন আনন্দ করার কোনো সময় ছিলো না, তখন কেউ আমরা শরীর চর্চার সময় পাইনি। জীবনে অনেক বোরিং সময় পার করেছি।

কিন্তু থিয়ান থান পার্ক তাঁদের জীবন পরিবর্তন করে দিয়েছে।

লিউ শু জেংয়ের বন্ধু ইয়ান ওয়েন শিং ১৯৬০ সাল শিয়ান টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক হন। তারপর তিনি বেইজিংয়ে কাজ শুরু করেন। তিনি বেইজিংয়ের তাসিংয়ে বাস করেন, যা থিয়ান থান পার্ক থেকে অনেক দূরে। প্রতি দিন বাসে যেতে এক ঘন্টারও বেশি সময় লাগে। তারপরও তিনি প্রতিদিনই এই পার্কে আসেন। তিনি বলেন, এখানে অনেক বন্ধু আছে, সবাই মিলে হৈ চৈ করে মনে অনেক আনন্দ পাই। যদি থিয়ান থান পার্কে না আসতাম, তাহলে আমি তাদের চিনতে পারতাম না। এখন সবার সঙ্গে আমার অনেক ভাল সম্পর্ক। তিনি বলেন।

লিউ শু জেং কথা শেষে সাংবাদিককে একটি ছবি দেখান, ছবিতে দেখা যায়, একজন বিদেশি ম্যাডাম তার সাথে ছবি তুলেছেন।

"আমি তাঁর নাম জানিনা, আমি তাঁকে ডাকি ফ্রেন্স আপু। কয়েক বছর আগে তিনি থিয়ান থান পার্কে আমার পারফরমেন্স দেখে অনেক বিস্মিত হন। ভাষা না বোঝার কারণে আমরা দৈহিক আকার-ইঙ্গিতের মাধ্যমে যোগাযোগ করি। তারপর, ওই ম্যাডামের ছেলে এ ছবিটি তোলেন।

তৃতীয় বছরে, ওই ম্যাডাম আবার থিয়ান থান পার্কে আসেন, তখন লিউ দাদা বুঝতে পারেন যে, ম্যাডামের ছেলে একজন বেইজিং মেয়েকে বিয়ে করেছেন। প্রতিবছর তাঁর পরিবার ছুটির সময় বেইজিং ফিরে আসেন। তখন ম্যাডাম থিয়ান থান পার্কে আসেন। এজন্য এখন তাঁরা বন্ধু হয়ে গেছন।

থিয়ান থান পার্কের আকর্ষণ হচ্ছে, এখানে সিনিয়র অনেক বন্ধু থাকে এবং তাঁদের জীবন খুব আনন্দের।

"বাসায় কেউ নেই, ছেলেমেয়েরা সবাই অফিসে কাজের জন্য অনেক ব্যস্ত। একজন বাসায় বসে টিভি দেখে কি কোনো মজা আছে? আমার প্রতিবেশী অনেক সিনিয়র আছেন, তাদের অবসরের পর কোনো কাজ নেই, কোথাও যেতে পারেননা, কয়েক বছর পর মারা গেছেন।" লিউ শু জেং বলেন, থিয়ান থান পার্কে আসতে পারাটা হচ্ছে আমাদের সৌভাগ্য।

থিয়ান থান পার্কের বোডি বিল্ডিং গার্ডেন শুরু হয় ১৯৯৯ সাল। এজন্য ২০০৯ সালে দাদারা একটি "১০ বছর পূর্তি" অনুষ্ঠান আয়োজন করেন।

"১০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান আমরা পার্কের পাশের একটি রেস্টুরেন্টে উতযাপন করেছি। শতাধিক মানুষ এতে অংশ নেন।সবাই খাবারের জন্য ৫০ আরএমবি দিয়েছেন।

কেং ছি সাংবাদিককে বলেন, "আমরা খাওয়ার পর গান গেয়েছি, নাচ করেছি, সারা দিন হৈ চৈ করি অনেক আনন্দ পেয়েছি। তখন সবাই প্রতিজ্ঞা করেছি যে, ১০ বছর পর আবার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠান আয়োজন করবো।"

৮৬ বছর বয়সী লিউ তিয়ান ফু হচ্ছেন আজকের থিয়ান থান পার্কের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি। তিনি ৪ বছর আগে ম্যারাথনে অংশ নেন। তিনি বলেন,৭১ বছর বয়সের সময় আমি সবচেয়ে ভালো রেকর্ড সৃষ্টি করেছি, এটা হচ্ছে ৪ ঘন্টা ২৮ মিনিটের রেকর্ড।

সিনিয়ররা সারা সকাল বোডি বিল্ডিং করতে থাকেন। এখন প্রায় দুপুর হয়ে গেছে। লিউ শু জেং দাদা চলে যাওয়ার আগে পকেট থেকে একটি বাঁশি বের করে পারফরমেন্স করতে থাকেন। তারপর তিনি সবাইকে বাই বই বলে বিদায় নেন।

আগামীকাল তাঁরা আবার থিয়ান থান পার্কে ফিরে আসবেন, তাঁদের জন্য প্রতিটি আসন্ন দিন হচ্ছে সবচেয়ে খুশির দিন, আনন্দের দিন।

আকাশ: ভাই, আমি রেকর্ডিং শেষে তাড়াতাড়ি থিয়ান থান পার্কে যেতে চাই ! আমি থিয়ান থান দাদা দ্বারা অনেক উতসাহিত ও অনুপ্রাণিত। এমনকি, আমি এ গল্প আমার বাবাকেও বলেছি, তাঁকেও উত্সাহিত করতে চাই। এ গল্প তোমার কেমন লেগেছে?

টুটুল:...

আকাশ: আসলে আমিও প্রায় প্রতিদিন জিমে যাই, বোডি বিল্ডিং করি। কিন্তু বেশিরভাগ সময় একা একা গান শুনতে শুনতে শরীর চর্চা করি। এখানে থিয়ান থান দাদার মত এত বন্ধু নেই। আশা করি বন্ধুরা, আমরা সবাই থিয়ান থান দাদার মত বোডি বিল্ডিং করতে পারবো এবং আনন্দের সঙ্গে প্রতিদিন সময় কাটাবো।

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040