ইতালিতে অনুষ্ঠিত "চীনা টিভি সপ্তাহ"
  2019-04-02 14:31:22  cri
ইতালিতে অনুষ্ঠিত "চীনা টিভি সপ্তাহ"

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ইতালি সফর উপলক্ষ্যে চীনের চায়না মিডিয়া গ্রুপ এবং ইতালির তিনটি প্রধান মিডিয়া গোষ্ঠী যৌথভাবে গত ২১ মার্চ "চীনা টিভি সপ্তাহ" শুরু করে। ২০ টিরও বেশি চীনা টিভি চলচ্চিত্র, তথ্যচিত্র এবং টিভি সিরিজ, টিভি চ্যানেল ও নতুন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইতালির জাতীয় রেডিও ও টেলিভিশন কর্পোরেশন, ইতালির বৃহত্তম বাণিজ্যিক মিডিয়া গ্রুপ মিডিয়াসেটের টিভি চ্যানেল ও নিউমিডিয়া প্ল্যাটর্ফমে অনলাইন সম্প্রচার করা হবে।

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী, চায়না মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক শেন হাই সিয়ং এবং ইতালির বিভিন্ন মিডিয়া অংশীদারের প্রধান এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

"চীনা টিভি সপ্তাহ" তে প্রদর্শিত টিভি প্রোগ্রামগুলি সাম্প্রতিক বছরগুলিতে চায়না মিডিয়া গ্রুপ তৈরি করেছে। বিদেশি দর্শকদের প্রশংসা অর্জন করেছে এসব অনুষ্ঠান। এ ছাড়া, চীনে উচ্চ রেটিং এবং খ্যাতি উপভোগ করে এমন বেশ কয়েকটি ডকুমেন্টারি এবং টিভি সিরিজ রয়েছে।

ইতালি প্রাচীন সিল্ক রোডের একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা; চীনের প্রস্তাবিত "এক অঞ্চল, এক পথ" উদ্যোগে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে ইতালি।

প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী তিনটি ইতালিয়ান মিডিয়া গ্রুপের প্রধানরা বলেন, তারা "চীনা টিভি সপ্তাহ"-এর মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব ও মানসিক বিনিময়কে উত্সাহিত করার আশা করছে। যাতে ইতালির মানুষ চীনের অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতকে জানতে পারে। "চীনা টিভি সপ্তাহ" অনুষ্ঠানে চায়না মিডিয়া গ্রুপ এবং ইতালিয়ান ন্যাশনাল রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশন কর্পোরেশন, মিডিয়াসেট গ্রুপের সঙ্গে একটি স্মারক স্বাক্ষর করেছে। দুই পক্ষের মধ্যে তথ্য বিনিময়, কর্মচারী বিনিময় এবং সহ-প্রযোজনার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিময় পরিচালনা করবে। দুই দেশের মধ্যে বোঝা ও স্বীকৃতি গভীরতর করার জন্য একটি সাংস্কৃতিক সেতু নির্মাণ করবে।

ফিলিপিন্সের চীনা দূতাবাস এটিনিও বিশ্ববিদ্যালয়কে বই ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম প্রদান করেছে

ফিলিপিন্সে চীনের দূতাবাস ফিলিপিন্স এটিনিও বিশ্ববিদ্যালয়কে বই ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম প্রদান করেছে। এ উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠান ২৫ মার্চ এটিনিও বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে অনুষ্ঠিত হয়। ফিলিপিন্সে চীনের দূতাবাস, এটিনিও বিশ্ববিদ্যালয়, হুয়াউয়েই কোম্পানিসহ বিভিন্ন পক্ষের প্রায় এক'শ অতিথি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ফিলিপিন্সে চীনের দূতাবাসের অস্থায়ী রাষ্ট্রদূত থান ছিং সেং বলেন, চীন ও ফিলিপিন্স উভয়ের বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ। আমি বিশ্বাস করি যে দানকৃত মাল্টিমিডিয়া সামগ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণা এবং আন্তর্জাতিক বিনিময় কার্যক্রমের জন্য সর্বোত্তম প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করতে পারবে।

অস্থায়ী রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, দুই দেশের ভালো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং বন্ধুত্বের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত। আশা করা হচ্ছে যে, দানকৃত বইগুলি ফিলিপিন্সকে চীনের চমৎকার ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক জ্ঞান অর্জনে সাহায্য করবে এবং পারস্পরিক সমঝোতা, সহযোগিতা এবং উভয় দেশের মধ্যে বন্ধুত্বকে আরও গভীর করবে।

চীনের উপহারের জন্য এটিনিও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান। তিনি বলেন, এই উপহারগুলি এটিনিও বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘমেয়াদী বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময় এবং চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটিও উভয় দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের একটি সাক্ষ্য।

চীনের মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে হুয়াওয়েই একটি সম্পূর্ণ সেট সরঞ্জাম ও পরিষেবাদি সরবরাহ করেছে। ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম, সুইচ মেশিন, রেকর্ডিং সার্ভার, রাউটার, বেতার অ্যাক্সেস সরঞ্জাম এবং নকশা, ইনস্টলেশন, কমিশনিং, প্রশিক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং অন্যান্য পরিষেবা প্রদান করে।

"লাইট অ্যান্ড শ্যাডো ইয়ার্স: চীন-ফ্রান্স মৈত্রী গল্প" প্যারিসে অনুষ্ঠিত

২৪ মার্চ "লাইট অ্যান্ড শ্যাডো ইয়ার্স: চীন-ফ্রান্স মৈত্রী গল্প" প্যারিসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী জিয়াং জিয়েন কুও, সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট জেনারেল চার্লস ডি গল্লার নাতি, বিখ্যাত ফরাসি ফটোগ্রাফার গ্রেগোয়ের ডি গল্ল, সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট জর্জ পম্পিডুওর ছেলে অ্যালেন পম্পিডোসহ চীন ও ফ্রান্সের কয়েক'শ মানুষ "লাইট অ্যান্ড শ্যাডো ইয়ার্স: চীন-ফ্রান্স মৈত্রী গল্প" অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।

"লাইট অ্যান্ড শ্যাডো ইয়ার্স: চীন-ফ্রান্স মৈত্রী গল্প" অনুষ্ঠানে ফটো প্রদর্শনী, লাইভ পেইন্টিং, অ-উত্তরাধিকার সম্পদ প্রদর্শন এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। তিনটি চীনা-ফ্রেঞ্চ বন্ধুত্বপূর্ণ গল্প, যেমন 'Grégoire de Gaulleর চীনা ভিডিও গল্প', 'অ্যালেন পম্পপিডোর চীনা প্রেমের গল্প' ইত্যাদি পরিবেশন করা হয়।

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী জিয়াং জিয়েন কুও তার ভাষণে বলেন, ৫৫ বছর আগে, জটিল ও পরিবর্তনশীল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি এবং সে সময় রাজনৈতিক পরিবেশে, চেয়ারম্যান মাও সেতুং এবং জেনারেল দ্য গল (de Gaulle) অসাধারণ দৃষ্টি ও চমৎকার জ্ঞানের সঙ্গে, চীন ও ফ্রান্সের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনা সম্পর্কিত ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তগুলি তৈরি করেন। এতে চীন ও ফ্রান্সের মধ্যে পারস্পরিক স্বীকৃতি ও যোগাযোগের দরজা খুলে যায়, এটি চীন-ফরাসি বন্ধুত্বের ঐতিহাসিক ভিত্তি স্থাপন করে। প্রেসিডেন্ট পম্পিডো চীনে সফরকারী প্রথম ফরাসি প্রেসিডেন্ট এবং পশ্চিমা রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে প্রথম ব্যক্তি। তারা ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এবং মানুষ সবসময় তাদের মনে রাখবে।

"সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং সভ্যতা বিনিময় ও পারস্পরিক শিক্ষা" স্মারক প্রচার অনুষ্ঠান বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত

চীনের জাতীয় সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি নিদর্শন ব্যুরোর উদ্যোগে "সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং সভ্যতা বিনিময় ও পারস্পরিক শিক্ষা" স্মারক প্রচারানুষ্ঠান ২৭ মার্চ বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভ্যতার বিনিময়ে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ইতিবাচক ভূমিকা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সুরক্ষা, পারস্পরিক বিনিময় প্রচার এবং বিশ্বশান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রমে আরও মনোযোগ দিয়েছে।

২০১৪ সালের ২৭ মার্চ চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ইউনেস্কোর সদরদপ্তরে দেওয়া এক ভাষণে বলেন, যোগাযোগের কারণে রঙিন সভ্যতা এবং পারস্পরিক শিক্ষার কারণে সমৃদ্ধ সভ্যতা তৈরি হয়। সভ্যতার পারস্পরিক শিক্ষা ও বিনিময় মানবসমাজের অগ্রগতি এবং বিশ্বের শান্তিপূর্ণ উন্নয়নে জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি।

চীনের জাতীয় সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি নিদর্শন ব্যুরোর পরিচালক লিউ ইয়ু চু বলেন, গত বছর পুরাকীর্তি অন্তর্মুখী-বহির্গামী প্রদর্শনী, ঐতিহ্যিক প্রদর্শনী, রাষ্ট্রীয় কূটনীতি, দ্বিপক্ষীয় কূটনীতি, বহু-পাক্ষিক কূটনীতি এবং বেসরকারি কূটনীতির প্রধানরা হাইলাইট হয়ে উঠেছে; বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আন্তর্জাতিক যৌথ ঘোষণা, চীন-বিদেশি পুরাকীর্তি সুরক্ষা প্রকল্প, চীন-বিদেশি যৌথ প্রত্নতাত্ত্বিক কাজ 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগ গঠনে নতুন করে গুরুত্ব পেয়েছে; আন্তর্জাতিক বিপন্ন পুরাকীর্তির জন্য একটি "নিরাপদ আশ্রয়স্থল" প্রতিষ্ঠা, বিভিন্ন দেশ ও প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে এক্সচেঞ্জ ও সহযোগিতা করা, পুরাকীর্তি চোরাচালান রোধ, মানবজাতির সাধারণ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার জন্য একত্রে কাজ করা সমস্ত দেশের মানুষের বন্ধুত্ব বাড়ানো, মানবসমাজের অগ্রগতি জোরদার করা এবং বিশ্বশান্তি ও উন্নয়ন সুরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, অনন্য অবদান রেখেছে।

চীনে নিযুক্ত ইউনেস্কোর প্রতিনিধি মারিলজা ওলিভেরিরা বলেন, "সভ্যতার বিনিময় ও পারস্পরিক শিক্ষায় অনেক চেষ্টা ও অবদান রেখেছে চীন। দেশটি অতুলনীয় সাফল্যও অর্জন করেছে। তা ছাড়া, চীন অন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে প্রযুক্তিগত সমর্থন দেয়, যাতে তারা নিজ দেশের পুরাকীর্তি ভালোভাবে সুরক্ষা ও উন্নত করতে পারে।"

চীনে ইতালির সাংস্কৃতিক কাউন্সিলর ফ্রাঙ্কো আমাদি বলেন, চীন ও ইতালির মধ্যে মানবিক বিনিময়ের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বিভিন্ন অঞ্চলে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা উন্নত হয়েছে। "সবাই 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগের সঙ্গে পরিচিত এবং ইতালিয়ানরা একে "সমসাময়িক সিল্ক রোড" বলতে চাই। 'এক অঞ্চল, এক পথ' ইতালি ও চীনের মধ্যে মাল্টি-ইন্ডাস্ট্রি সহযোগিতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যানেল তৈরি করবে। আমরা ইতিহাস ও প্রাকৃতিক অবস্থার দেওয়া সুযোগের পূর্ণ ব্যবহার করে যৌথ উত্তরাধিকার, প্রাচীন সভ্যতার শৈল্পিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা করবো।"

'২০১৯ চীন আন্তর্জাতিক ফ্যাশন সপ্তাহে' জাতীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উন্মোচন

গত ২৬ মার্চ বেইজিংয়ে 'চায়না ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাশন উইক'-এ 'শরীরে সংস্কৃতি ধারণ' শীর্ষক পোশাকের প্রচারানুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। ইয়ুননান প্রদেশের পুয়ের শহরের লানছাংলাগু স্বায়ত্তশাসিত কাউন্টির জাতীয় সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে 'পুয়ের ন্যাশনাল কস্টিউম কালচারাল শো' আয়োজন করা হয়।

এবারের শো'র ডিজাইনার ঝাং খেজিয়া বলেন, লাগু মানুষ এমন জাতি, যা আদিম সমাজের হাজার বছর পার হয়ে সমাজতান্ত্রিক সমাজে প্রবেশের উদাহরণ।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, পুয়ের সিটি জাতীয় সংস্কৃতির "পার্ল চেইন" প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিয়েছে। জাতিগত সাংস্কৃতিক সম্পদ ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা, উত্তরাধিকার শক্তিশালীকরণ এবং সংখ্যালঘু সংস্কৃতি, কাস্টমস এবং ধর্মীয় বিশ্বাসকে সম্মানের ভিত্তিতে এমন একটি সামাজিক পরিবেশ তৈরি হয়।

'শরীরে সংস্কৃতি ধারণ' সিরিজ শো'র মাধ্যমে বহুমুখী জাতীয় পোশাক ও পোশাকের সংস্কৃতিকে সম্মান জানানো হয়। এই সিরিজ শো ২০১৮ সালের জুন মাসে প্রথম মঞ্চস্থ করা হয়। এরপর থেকে এটি ইয়ুননান অঞ্চলের সংখ্যালঘু জাতির পরিধান শৈলী হিসেবে প্রদর্শিত হয়ে আসছে।

প্যারিসে ইউনেস্কোর নারী-শিক্ষাবিষয়ক বিশেষ সভায় চীনের ফার্স্ট লেডি

চীনের ফার্স্ট লেডি ও ইউনেস্কোর বিশেষ দূত ফেং লি ইউয়ান ফ্রান্স সময় ২৬ মার্চ সকালে প্যারিসে ইউনেস্কোর নারী শিক্ষাবিষয়ক বিশেষ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

সভায় চীনের ফার্স্ট লেডি ফেং লি ইউয়ান নারী-শিক্ষার উন্নয়নে ইউনেস্কোর প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। ইউনেস্কোর নারী-শিক্ষাবিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে তার গত ৫ বছরের কাজের অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি বলেন, সমান ও গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষা পেলে, প্রত্যেক নারীর জীবন বিকশিত হবার সুযোগ থাকবে।

তিনি বলেন, ইউনেস্কোর সংশ্লিষ্ট কাজকে অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে যাবে চীন এবং 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগকে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষা, বিনিময়, সহযোগিতার জন্য আরও বেশি সুযোগ ও নতুন প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টি করবে।

উল্লেখ্য, নারীর শিক্ষা উন্নয়নে চীনের অবদানকে বরাবরই স্বীকৃতি দিয়ে এসেছে ইউনেস্কো। বিশেষ করে, ম্যাডাম ফেংয়ের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ইউনেস্কোর প্রধান।

'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগে যোগ দিয়েছে ইতালি

চীনের প্রস্তাবিত 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগে যোগ দিয়েছে ইতালি। স্থানীয় সময় ২৩ মার্চ রোম শহরের উপকণ্ঠের ভিলা মাদামাতে এ-সংক্রান্ত এক স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন চীন ও ইতালির সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা। এসময় চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুজেপে কন্তে উপস্থিত ছিলেন। জি-সেভেনভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ইতালিই প্রথম এই উদ্যোগে যোগ দিল।

চীন ও ইতালির পক্ষ থেকে প্রকাশিত যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আন্তঃসংযোগ ও আন্তঃযোগাযোগের ক্ষেত্রে 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে বলে দু'পক্ষ বিশ্বাস করে।

২০১৩ সালে 'এক অঞ্চল, এক পথ' প্রস্তাব প্রথমবারের মতো উত্থাপন করেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। এরপর থেকে এ পর্যন্ত চীনের সঙ্গে দেড় শতাধিক দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগের আওতায় সহযোগিতাচুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

প্রেসিডেন্ট সি'র ইতালি সফরের প্রাক্কালে 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগে রোমের যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে বেশি আলাপ-আলোচনা হয়। সফরকালে চীনা প্রেসিডেন্ট সি'র সঙ্গে বৈঠককালে ইতালির নেতারাও 'এক অঞ্চল, এক পথ' প্রস্তাব সমর্থনের কথা বলেন। তাঁরা জানান, 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগে অংশগ্রহণ ইতালির জন্য একটি ভালো সুযোগ।

উল্লেখ্য, চীন হচ্ছে এশিয়ায় ইতালির বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। আর ইতালি হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-তে চীনের পঞ্চম বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। ২০১৮ সালে দু'দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৫০০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি।

(জিনিয়া/তৌহিদ)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040