তখন তিনি বলেছিলেন, "আমি বিশ্বের অনেক জায়গা সফর করেছি। আমার সবচেয়ে পছন্দের কাজ হলো পাঁচ মহাদেশের বিভিন্ন সভ্যতা সম্পর্কে জানা।"
বিগত পাঁচ বছর ধরে বিভিন্ন স্থানে প্রেসিডেন্ট সি সভ্যতা সম্পর্কে চীনের ও তাঁর নিজের চিন্তাধারা তুলে ধরেন। পাঁচ বছর পর এশিয়ার ৪৭টি দেশ এবং এশিয়ার বাইরের অন্যান্য দেশের সরকারি ও বেসরকারি দুই সহস্রাধিক প্রতিনিধির অংশগ্রহণে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে 'এশীয় সভ্যতার সংলাপ সম্মেলন'।
প্রশ্ন হচ্ছে: চীনের সর্বোচ্চ নেতা কেন সভ্যতার ওপর এত বেশি গুরুত্ব দেন? কেন সভ্যতার সংলাপসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি? প্রেসিডেন্ট সি'র কথার মধ্যেই এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।
সি চিন পিং বলেন, "বিশ্বে মোট দু'শতাধিক দেশ ও অঞ্চলের ২৫০০টিরও বেশি জাতি এবং অনেক ধর্ম আছে। বিভিন্ন জাতি বিভিন্ন রীতিনীতি ও সভ্যতা লালন করে। আর এ কারণেই আমাদের এই বিশ্ব বৈচিত্র্যময়।"
সি চিন পিং বলেন, সভ্যতার পার্থক্য বৈশ্বিক সংঘাতের মূল কারণ হওয়া উচিত নয়, বরং মানবজাতির সভ্যতার উন্নয়নের চালিকাশক্তি হওয়া উচিত। সহনশীলতার চেতনা ধারণ করলে তথাকথিত 'সভ্যতার সংঘাত' থাকার কথা নয়।
তিনি আরও বলেন, চীনের উদ্যোগে এশীয় সভ্যতার সংলাপ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন সভ্যতার মধ্যে বিনিময় হবে। ফলে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও বোঝাপড়া বাড়বে বলে আশা করা যায়। (লিলি/আলিম)