ভাষণে প্রেসিডেন্ট সি বলেন, বর্তমানে বিশ্বে বহুমেরুকরণ, অর্থনীতির বিশ্বায়ন, সংস্কৃতির বিবিধকরণ, ও সমাজের তথ্যায়ন প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে মানবজাতি খুব আশাবাদী। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তাও বাড়ছে। মানবজাতির সম্মুখীন বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সম্মিলিতভাবে এ-চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা উচিত।
সি চিন পিং বলেন, একটি শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ ও উন্মুক্ত এশিয়া চায় এ মহাদেশের মানুষ। এর জন্য বিশ্বের নানা দেশ, জাতি ও সংস্কৃতির মধ্যে বিনিময় বাড়াতে হবে; পারস্পরিক শিক্ষা জোরদার করতে হবে; এবং এশিয়া ও মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি গঠনের সাংস্কৃতিক ভিত্তি জোরদার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পারস্পরিক সম্মান ও সমতার ভিত্তিতে কাজ করতে হবে; অন্যের লক্ষ্য বাস্তবায়নে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে; উন্মুক্ত ও সহনশীল মন নিয়ে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে; নবায়ন ও উন্নয়নের পথে অবিচল থাকতে হবে।
এশীয় সভ্যতাগুলোর মধ্যে বিনিময় ও পারস্পরিক শিক্ষা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চীন এশীয় দেশগুলোর সঙ্গে পর্যটন খাতে উন্নয়ন-পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে এবং এশিয়ার অর্থনীতির উন্নয়ন ও মানুষে মানুষে মৈত্রীর সম্পর্ক জোরদার করতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে চায়। (লিলি/আলিম)