পয়লা জুন থেকে মার্কিন রফতানিপণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করবে চীন (অর্থ-কড়ি; ১৮ মে ২০১৯)
  2019-05-18 16:36:06  cri


১. চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের কাস্টমস ট্যারিফ কমিশন ২০১৯ সালের পয়লা জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু রফতানিপণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করবে। এর আগে চীন ৬০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছিল। এখন সেসব পণ্যের ওপরই শুল্ক আরও বেড়ে ২৫,২০ বা ১০ শতাংশ হবে।

সম্প্রতি 'গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য আইন' এবং 'গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের আমদানি ও রফতানি শুল্ক প্রবিধান'সহ বিভিন্ন আইন এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি এবং রাষ্ট্রীয় পরিষদের অনুমোদনক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শুল্ক বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের একতরফাবাদ ও বাণিজ্যিক সংক্ষণবাদের পাল্টা জবাব। এর আগে, ২০১৯ সালের ১০ মে থেকে যুক্তরাষ্ট্র ২০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের চীনা রফতানিপণ্যের ওপর শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করে।

এদিকে, চীন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপক্ষীয় আর্থ-বাণিজ্যিক আলোচনার স্বাভাবিক পথে আবার ফিরে আসবে এবং চীনের সঙ্গে পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে পারস্পরিক কল্যাণকর চুক্তিতে পৌঁছাবে বলে বেইজিং আশা করে।

২. ওদিকে, একাদশ চীন-মার্কিন আর্থ-বাণিজ্যিক উচ্চ পর্যায়ের সংলাপ ৯ থেকে ১০ মে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হয়। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় পলিট ব্যুরোর সদস্য, উপপ্রধানমন্ত্রী ও চীন-মার্কিন সার্বিক অর্থনৈতিক সংলাপের চীন পক্ষের নেতা লিউ হ্য সংলাপের পর গণমাধ্যমকে বলেন, চীন-মার্কিন সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর্থ-বাণিজ্যিক সম্পর্ক হলো চীন-মার্কিন সম্পর্কের চালিকাশক্তি, যা কেবল দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, বিশ্বের শান্তি ও সমৃদ্ধির সঙ্গেও সম্পর্কিত। তাই সহযোগিতা হলো দু'পক্ষের একমাত্র সঠিক বাছাই। তবে সহযোগিতার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম থাকতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত ইস্যুতে চীন অবশ্যই ছাড় দেবে না।

লিউ হ্য বলেন, এবারও চীন আন্তরিকতা নিয়ে ওয়াশিংটনে আলোচনার টেবিলে বসেছিলো। আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আন্তরিক ও গঠনমূলক মত বিনিময় হয়েছে। সংলাপ অব্যাহত রাখার ব্যাপারেও একমত হয়েছে দু'পক্ষ। আলোচনায় চীনা রফতানিপণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের মার্কিন সিদ্ধান্তের দৃঢ় বিরোধিতা করেছে চীন। কারণ, অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত চীন, যুক্তরাষ্ট্র, তথা গোটা বিশ্বের জন্য কল্যাণকর নয়। যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চীন বাধ্য হবে।

সাক্ষাত্কারে লিউ বলেন, দু'পক্ষের মধ্যে যে-কোনো সম্ভাব্য চুক্তি সমান ও পারস্পরিক কল্যাণকর হতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত ইস্যুতে চীন আপস করবে না। বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্যে পৌঁছেছে। তা ছাড়া, চীনের তিনটি কেন্দ্রীয় উদ্বেগকে আমলে নিতে হবে। প্রথমত, চীনের রফতানিপণ্যের ওপর আরোপিত সকল অতিরিক্ত শুল্ক বাতিল করতে হবে। অতিরিক্ত শুল্ক হলো দু'পক্ষের বাণিজ্যিক বিতর্কের সূচনা। চুক্তিতে পৌঁছাতে হলে আরোপিত সকল অতিরিক্ত শুল্ক অবশ্যই তুলে নিতে হবে। দ্বিতীয়ত, দু'দেশের বাণিজ্যিক লেনদেনের পরিমাণ বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। আর্জেন্টিনায় এ ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছায় দু'পক্ষ। তাই এতে পরিবর্তন আনা উচিত নয়। তৃতীয়ত, সম্ভাব্য চুক্তিতে ভারসাম্য থাকতে হবে। যে-কোনো দেশের নিজস্ব মর্যাদা ও সম্মান আছে। চুক্তিতে একদিকে যেমন যুক্তরাষ্ট্রের চাহিদা অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে, অন্যদিকে তেমনি চীনের প্রস্তাবও থাকতে হবে। তা ছাড়া, চুক্তির ভাষাও চীনা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। চুক্তির ভাষা যেন কোনো দেশের সার্বভৌমত্ব ও সম্মানকে ক্ষতিগ্রস্ত না-করে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে যদি চুক্তি হয়, তবেই তা সত্যিকারভাবে কার্যকর করা যাবে। বর্তমানে চুক্তির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে আরও আলোচনাও হওয়া দরকার। গত বছরের পর থেকে দু'দেশের সংলাপে বেশ কয়েকবার মতবিরোধ দেখা দিয়েছে, যা স্বাভাবিক। দু'পক্ষের মধ্যে আলাপ-আলোচনার প্রক্রিয়ায় কখনও কখনও পারস্পরিক সমালোচনা হবেই।

লিউ হ্য বলেন, চীনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো নিজের কাজ ভালোভাবে করা। চীনের অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদা বিশাল। সরবরাহ-ব্যবস্থার কামাঠামোগত সংস্কারের পথে এগিয়ে যাওয়ার ফলে, পণ্যের মান বাড়বে ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষমতার সার্বিক উন্নতি ঘটবে। তা ছাড়া, আর্থিক নীতি ও মুদ্রানীতি আরও বিকাশের সুযোগ আছে। চীনের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল। বড় দেশের উন্নয়ন-প্রক্রিয়ায় কিছু সমস্যা দেখা দেওয়া আসলেই ভালো ব্যাপার। তখন সমস্যা মোকাবিলায় নিজেদের সামর্থ্যের পরীক্ষা হয়ে যায়। কমরেড সি চিন পিংকে কেন্দ্র করে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় পলিট ব্যুরোর দৃঢ় নেতৃত্বে আস্থা বাড়ালে এবং সম্মিলিতভাবে পরিশ্রম করে গেলে, চীন যে-কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে পারবে এবং অর্থনীতির অব্যাহত ও স্থিতিশীল উন্নয়নের সুষ্ঠু গতিও ধরে রাখতে পারবে।

৩. ম্যাসাচুসেটস্‌ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)-র বিশেষজ্ঞ নিকোলাস নেগ্রোপন্টে সম্প্রতি তার এক প্রবন্ধে বলেছেন, টেলিযোগাযোগনীতি বাস্তব মানদণ্ডের ভিত্তিতে প্রণয়ন করা উচিত, ভূ-রাজনীতির ভিত্তিতে নয়। চীনের হুয়াওয়ে টেকনোলজি কোম্পানিকে নিষিদ্ধ না-করে, যুক্তরাষ্ট্রের বরং উচিত একে স্বাগত জানানো। এতে মার্কিন টিজিটাল নেটওয়ার্ক আরও নিরাপদ ও উন্নত হবে।

তিনি বলেন, বিশেষ হুমকি মোকাবিলার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের কোম্পানিগুলোতে চীনা টেলিকম সরঞ্জাম ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। অথচ হুয়াওয়ে'র বিরুদ্ধে অপ্রমাণিত অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে, ইন্টারনেট-ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিনিময়ের সুযোগ হারাবে যুক্তরাষ্ট্র। এতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি ও অর্থনীতির উন্নয়ন হবে বাধাগ্রস্ত।

নিকোলাস আরও বলেন, সরকার বাজারে প্রধান সরবরাহকারীর প্রবেশকে নিরুত্সাহিত করলে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা কমবে ও খরচ বাড়বে। তা ছাড়া, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের ছোট আকারের অপারেটরদের ক্ষতি করবে। তারা নতুন সরঞ্জাম কিনতে বাধ্য হবে এবং কোনো কোনো অপারেটর দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে।

৪. আরও বেশি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে সম্প্রতি চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের নিয়মিত সভায় একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় চীনা প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াং সভাপতিত্ব করেন।

সভায় রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক প্রযুক্তি এলাকার নব্যতাপ্রবর্তনের ওপর জোর দেওয়া এবং ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট ও সফ্টওয়ার শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর থেকে করের বোঝা হ্রাস করাসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সভায় বলা হয়, বর্তমানে চীনে রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক এলাকার সংখ্যা ২১৯টি। এই এলাকাগুলোর মোট জিডিপি চীনের মোট জিডিপি'র ১০ শতাংশ এবং আমদানি-রফতানি ও বিদেশি পুঁজি বিনিয়োগের পরিমাণ গোটা দেশের প্রায় ২০ শতাংশ।

সভায় নব্যতাপ্রবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলা হয়, বাজারের প্রাণশক্তি বাড়াতে চাইলে ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করতে হবে, পুঁজি বিনিয়োগ প্রকল্পের অনুমোদনপ্রক্রিয়া সহজতর করতে হবে, সংস্কার সম্প্রসারিত করতে হবে, এবং উন্মুক্তকরণের মান বাড়াতে হবে।

সভায় আরও বলা হয়, ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট ও সফ্টওয়ার শিল্প অর্থনীতি ও সমাজের উন্নয়নের অন্যতম ভিত্তি। চীনে দেশি-বিদেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যাপক সুবিধাজনক নীতি ও কর হ্রাসব্যবস্থা চালু করতে হবে।

৫. সম্প্রতি শাংহাইয়ে অনুষ্ঠিত 'চীনের আন্তর্জাতিক আমদানি মেলায় অংশগ্রহণকারী কম্পানি ইউনিয়ন'-এর সভা থেকে জানা গেছে, আসন্ন দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ৫০০টি কম্পানির অর্ধেককে ইতোমধ্যেই আকর্ষণ করেছে।

সভায় জানানো হয়, এ পর্যন্ত কম্পানি ইউনিয়নের ৬৮টি সদস্য আমদানি মেলায় অংশগ্রহণের জন্য নাম লিখিয়েছে। আরও কয়েক ডজন আন্তর্জাতিক কম্পানি ইউনিয়নে যোগ দেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে।

সভায় চীনের উপ-বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং পিং নান ইউনিয়নের সদস্যদেরকে নীতিনির্ধারণ, উন্মুক্তকরণ ইত্যাদি বিষয়ে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, আগামী ৫ থেকে ১০ নভেম্বর চীনের শাংহাইয়ে এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে।

৬. 'হংকং-চুহাই-ম্যাকাও সেতু' গত বছরের অক্টোবর মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ৪০ হাজার লোক সেতুর মধ্য দিয়ে যাতায়াত করেছেন।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যানুসারে, সেতুতে মাল পরিবহনের হারও সন্তোষজনক। গত ছয় মাসে সেতুটি দিয়ে মোট ৭২ হাজার টন মালামাল পরিবহন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, 'হংকং-চুহাই-ম্যাকাও সেতু' হলো সমুদ্রের উপর বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা সেতু।

৭. বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে 'বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে প্রভাবশালী ২০ দেশের তালিকায় নাম উঠবে বাংলাদেশের'। সম্প্রতি শেরেবাংলা নগরে অর্থমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর দানদান চেনসহ বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, '২০২৪ সালের মধ্যে বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে যেসব দেশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে তার মধ্যে বাংলাদেশ থাকবে। ঐ সময় বৈশ্বিক জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে এমন শীর্ষ ২০ দেশের তালিকায় ঢুকবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অর্থনীতি সেখানে ০.৯ শতাংশ অবদান রাখবে। যেখানে বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশ কানাডার অবদানও একই। ভবিষ্যৎ বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ব্লুমবার্গের এক বিশ্নেষণে বাংলাদেশের অর্থনীতির এ সম্ভাবনা উঠে এসেছে।'

তিনি আরও বলেন, 'ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২৪ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখবে চীন। চীনের অবদান থাকবে সবচেয়ে বেশি যা ২৮ শতাংশ। এর পরই রয়েছে ভারত। ঐ সময়ে বৈশ্বিক জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ভারতের অবদান দাঁড়াবে ১৩.৭ শতাংশ। এরপর যুক্তরাষ্ট্র। ক্ষমতাধর এই দেশটির অবদান থাকবে ১০.৫ শতাংশ। এরপর ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান।'

৮. বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে জামদানি পণ্য প্রদর্শনী ও মেলা গত বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে। শিল্পকলা একাডেমির প্রাঙ্গণে প্রদর্শনী ও মেলা চলবে ১০ দিন ধরে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দর্শণার্থী ও ক্রেতাসাধারণের জন্য এটি উম্মুক্ত থাকবে।

মেলায় ২৫টি স্টলে জামদানি কারুশিল্পীরা তাদের নিপুণ হাতের তৈরি তেরছা, জলপাড়, পান্নাহাজার, করোলা, দুবলাজাল, সাবুরগা, বলিহার, শাপলাফুল, আঙ্গুরলতা, ময়ূরপ্যাচপাড়, বাঘনলি, কলমিলতা, চন্দ্রপাড় ও ঝুমকা ইত্যাদিসহ আরও অনেক বাহারি নামের ও নানাবিদ নকশার জামদানি শাড়ীর পসরা সাজিয়ে বসেছেন।

(আলিমুল হক)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040