বন্ধুরা, শুনছিলেন হান হংয়ের কন্ঠে 'হংইয়ান' শীর্ষক গান। ২০১৬ সালে তিনি চীনে দাতব্য কাজে নিয়োজিতদের তালিকায় শীর্ষস্থানে ছিলেন। তাঁর পরিবার হল একটি সাংস্কৃতিক পরিবার। তিনি ৫ বছর বয়স থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাওয়া শুরু করেন। ১৯৮০ সালে তিনি কিশোর বাচ্চাদের গায়কদলে আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ শুরু করেন। রংহুয়া এক ধরণের ফুল, ইংরেজিতে এডিলওয়েসিস। গানটি চীনের একটি পুরাতন চলচ্চিত্রের থিম সং। প্রথমে গেয়েছেন বিখ্যাত নারী কন্ঠশিল্পী লি গু ই। আশা করি, বন্ধুরা হান হংয়ের কন্ঠে গানটি পছন্দ করবেন। আসুন গানটি শুনি।
বন্ধুরা, শুনছিলেন হান হংয়ের কন্ঠে 'রংহুয়া' শীর্ষক গান। ১৯৮৭ সালে তিনি গণমুক্তিফৌজের দ্বিতীয় আর্টিলারি কমান্ড কর্মক্ষমতা দলে প্রবেশ করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি পিপলস লিবারেশন আর্মি আর্টস ইনস্টিটিউটের ভর্তি হন। এখন শোনাবো তাঁর কন্ঠে 'আকাশের পথ' শীর্ষক গান। গানটি ২০০৫ সালে রিলিজ হয়। গানটির সুর চীনা তিব্বতি জাতির সুর। হান হং যখন গানটি গেয়েছেন, তখন গানটি সারা চীনে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। চলুন, আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো।
বন্ধুরা, শুনছিলেন হা হংয়ের কন্ঠে 'আকাশের পথ' শীর্ষক গান। ১৯৯৬ সালে তিনি তালিয়ানে আয়োজিত চীনা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের একটি সংগীত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান পান। ১৯৯৬ সাল থেকে তিনি অন্যান্য কন্ঠশিল্পীর জন্য সুর রচনা শুরু করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি নিজের প্রথম অ্যালবাম প্রযোজনা ও প্রকাশ করেন। এখন শোনাবো তাঁর কন্ঠে 'হঠাৎ বুঝেছি' শীর্ষক গান। গানটি একটি চলচ্চিত্রের থিম সং। আশা করি, আপনারা গানটি পছন্দ করবেন।
বন্ধুরা, শুনছিলেন হান হংয়ের কন্ঠে 'হঠাৎ বুঝেছি' শীর্ষক গান। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে 'সেই সমুদ্র' শীর্ষক গান শোনাবো। গানটি হান হং নিজে লিখেছেন এবং কন্ঠ দিয়েছেন। গানটি ২০০১ সালে রিলিজ হয়। গানের কথা এমন: আমি ছাড়া তোমার হৃদয়ে কি অন্য মানুষ আছে?/ সে আমার চেয়ে কোমল হয়ে আমার চেয়ে তোমাকে আরও বেশি সুখী করতে পারে?/ আমার প্রশ্নের উত্তর দাও/ আগের দুঃখ ও একাকীত্ব হঠাৎ চলে গেছে/ তুমি দেখো, সেই সমুদ্র কান্না করছে/ আমি জানি, আমি আজীবন তোমার উত্তরের অপেক্ষা করতে থাকবো/ তোমার সঙ্গে আজীবন থাকতে চাই। চলুন, আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো।
বন্ধুরা, শুনছিলেন হান হংয়ের কন্ঠে 'সেই সমুদ্র' শীর্ষক গান। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে 'ঊষাকালে' শীর্ষক গান শোনাবো। প্রথমে গানের পিছনের গল্প বলে নিই। ১৯৯৯ সালের ৩ অক্টোবর কুইচৌ প্রদেশের মালিংহো অঞ্চলে চলমান কেবল হঠাৎ ছিড়ে যায়। কেবল-কারে এক পরিবারের বাবা-মা ও দুই বছর বয়সী ছেলে ছিল। দুর্ঘটনায় বাবা-মা মারা যান। কিন্তু ছেলেটি বেঁচে থাকে। এ গল্প হান হংকে মুগ্ধ করে। এরপর হান হং এ ছেলেকে দত্তক নেন। গানটির কথা এমন: সে শরত্কালে বাতাস ছিল। আমি তাঁদের কথা পড়ছি। সে অসহায় চোখ সুন্দর দৃশ্যে রয়েছে। আমি শুনেছি যে, একটি বিকট শব্দে উপত্যকা শিহরিত। সে শরত্কাল থেকে আমি বাবার চোখ কখনও দেখি না। তিনি তাঁর কাঁধ দিয়ে আমাকে বেঁচে থাকার সুযোগ দেন। অন্ধকারে চোখে অশ্রু ভরপুর। আমাকে ত্যাগ করো না। আমি দেখেছি, আমার বাবা-মা চলে গেছে। আমাকে একা পৃথিবীতে ফেলে। আমি জানি না যে ভবিষ্যতে আমাকে কী কী কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। আমি তাঁদের হাত ধরি। মা আমাকে বলেন যে, আশা আছে। সূর্য ওঠার সময় মা হাসেন। এ রাতে আকাশে তারকারা উজ্জ্বল। আমি স্বপ্নে মাকে দেখেছি। আমি একা এ বিশ্বে শক্তিশালী হতে হবে। আমি তাঁদের জন্য একটি সুন্দর বাগান নির্মাণ করতে চাই। সূর্য উঠছে, ঊষার দেরি নেই।
আচ্ছা, বন্ধুরা, আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো।
প্রিয় শ্রোতা, এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আমাদের অনুষ্ঠানে আপনারা কোনো পছন্দের গান শুনতে চান, তাহলে জানাবেন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা ben@cri.com.cn। আর আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা caiyue@cri.com.cn। 'গানের অনুরোধ' আমার নিজস্ব ই-মেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়। আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিন, একই সময়ে আবারো আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। চাই চিয়ান।(ছাই/আলিম/সুবর্ণা)