১৯৮৫ সালে মাও আ মিনের প্রথম অ্যালবাম 'গরম কফি' বের হয়। এর মাধ্যমে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সংগীত মহলে যোগ দেন।
১৯৮৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, মাও আ মিন আরেকটি অ্যালবাম 'পথ হারানো মেয়ে' প্রকাশ করেন। একই বছরের মে মাসে তিনি 'বিশ্বকে ভালোবাসা দিয়ে ভরে রাখবো' নামে সংগীতানুষ্ঠানে অংশ নেন। এ ছাড়া, তিনি চীনের রেকর্ডজ কোম্পানির শাংহাই শাখার সঙ্গে সহযোগিতা করে 'সান মাওয়ের গান' নামে অ্যালবাম প্রকাশ করেন।
১৯৮৭ সালের জুলাই মাসে, মাও আ মিনের আরেকটি অ্যালবাম 'খোঁজা' প্রকাশিত হয়। সে বছরের অগাস্ট মাসে তিনি চীনের সেনাবাহিনীর শিল্প সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পরবর্তী ডিসেম্বর মাসে তিনি আরেকটি অ্যালবাম 'খোঁজা-২' প্রকাশ করেন।
১৯৮৮ সালের জানুয়ারি মাসে, চায়না ন্যাশনাল রেডিওতে আয়োজিত ১৯৮৭ সালে দেশে রেডিও নতুন গানের প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ অভিনয়ের পুরস্কার পান তিনি।
১৯৮৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মাও আ মিন চীনের কেন্দ্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভির বসন্ত উত্সবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে 'স্মৃতি' নামের গানটি পরিবেশন করেন।
১৯৮৮ সালের মে মাসে মাও আ মিন চলচ্চিত্র 'পাগল গায়িকায়' অভিনয় করেন। এরপর তিনি 'ভালোবাসার জন্য পাগল', 'লাল গোলাপ' এবং 'ছোট ট্রেন স্টেশন'সহ কয়েকটি চলচ্চিত্রের গান প্রকাশ করেন।
১৯৮৯ সালে মাও আ মিন 'অভিনেত্রীর গল্প' নামের চলচ্চিত্রে অংশ নেন। একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে মাও আ মিন 'তারকা কোথায়' নামে অ্যালবাম প্রকাশ করেন।
১৯৯০ সালের ৭ অক্টোবর, মাও আ মিন একাদশ এশিয়া গেমসের সমাপনী অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন এবং সমাপনী গান 'আজ রাতের তারা' পরিবেশন করেন।
১৯৯১ সালের জানুয়ারি মাসে মাও আ মিনের গান 'আকাঙ্ক্ষা' প্রকাশিত হয়। সে বছর তিনি জনগণের সবেচেয়ে প্রিয় কণ্ঠশিল্পী হিসেবে নির্বাচিত হন।
২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর বেইজিংয়ে মাও আ মিনের প্রথম সংগীতানুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
২০১১ সালের ১৭ জানুয়ারি, বেইজিং পপ সংগীত পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি চীনা ভাষার সংগীত মহলের শ্রেষ্ঠ সফলতার পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, মাও আ মি চিয়াংসু প্রদেশের নানচিং শহরে 'যদি সময় না থাকে' নামে সংগীতানুষ্ঠান আয়োজন করেন।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে মূলত আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মাও আ মিনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার গাওয়া কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবারও কথা হবে।
(শুয়েই/তৌহিদ/সুবর্ণা)