অগাস্টে চীনের পণ্যবাণিজ্যে উদ্বৃত্ত ছিল ২৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (অর্থ-কড়ি; ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯)
  2019-09-25 16:04:25  cri

১. চলতি বছরের অগাস্টে চীনের পণ্য-রফতানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২.৬ শতাংশ বেড়েছে এবং পণ্য-আমদানি কমেছে ২.৬ শতাংশ। ফলে অগাস্টে চীনের বাণিজ্য-উদ্বৃত্ত দাঁড়ায় ২৩৯.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে, যা এক বছর আগের তুলনায় ৪১.৮ শতাংশ বেশি। চীনের শুল্ক বিভাগসূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

শুল্ক বিভাগ জানায়, চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসে চীনের পণ্য-রফতানি ৬.১ শতাংশ বৃদ্ধি পায় এবং পণ্য-আমদানি বৃদ্ধি পায় ০.৮ শতাংশ। এতে চলতি বছরের প্রথম আট মাসে বাণিজ্য-উদ্বৃত্ত বেড়ে দাঁড়ায় ১.৭৭ ট্রিলিয়ন ইউয়ানে। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৬ শতাংশ।

বছরের প্রথম ৮ মাসে চীনের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার ছিল যথারীতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইইউ'র সঙ্গে চীনের মোট বাণিজ্য হয় ৩.১৫ ট্রিলিয়ন ইউয়ানের। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে ছিল আসিয়ান এবং তৃতীয় স্থানে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য কমেছে ৯ শতাংশ।

এদিকে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অগাস্ট পর্যন্ত 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগসংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে চীনের বাণিজ্য ৯.৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৫.৮৩ ট্রিলিয়ন ইউয়ানে।

২. চীন-মার্কিন ব্যবসা পরিষদের চেয়ারম্যান থিমথি স্ট্রাটফোর্ড বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প খুব সম্ভবত মার্কিন শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে চীন ছাড়তে বাধ্য করতে পারেন। এতে আইনগত কোনো সমস্যা নেই। তবে, সেক্ষেত্রে তাঁকে চরম রাজনৈতিক মূল্য দিতে হবে। এতে দেশে তীব্র অর্থনৈতিক সমস্যা সৃষ্টি হবে।

গত ৩ সেপ্টেম্বর সিএনবিসি-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে স্ট্রাটফোর্ড বলেন, ট্রাম্প এ ক্ষেত্রে তাঁর প্রেসিডেন্সিয়াল ক্ষমতা প্রয়োগ করলে তা হবে 'চরম পদক্ষেপ', যা যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হবে।

এদিকে, মার্কিন-চীন ব্যবসা পরিষদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, অধিকাংশ মার্কিন শিল্পপ্রতিষ্ঠান চীনে ব্যবসা করে মুনাফা করছে এবং বাজার হিসেবে চীনকে প্রাধান্য দিচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ২৩ অগাস্ট সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারে মার্কিন শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অবিলম্বে চীনের বিকল্প বাজার অনুসন্ধান করতে নির্দেশনা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

৩. চীনের টেলিকম জায়ান্ট 'চায়না মোবাইল' দেশের ৫২টি শহরে ২০ হাজারের বেশি ফাইভ-জি বেস-স্টেশান গড়ে তুলেছে। কোম্পানিটি ২০১৯ সালের মধ্যেই ৫০টির বেশি শহরে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।

কোম্পানিটি ভবিষ্যতে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে এবং প্রায় ৩০০ শহরে এই সেবা পৌঁছে দিতে আরও ২৪ বিলিয়ন ইউয়ান বিনিয়োগ করবে বলেও জানিয়েছে। এরই মধ্যে কোম্পানি রাজধানী বেইজিংয়ে সাড়ে তিন হাজারের বেশি ফাইভ-জি বেস-স্টেশান স্থাপন করেছে এবং আরও স্টেশান স্থাপনের কাজ চলছে।

৪. চলতি বছরের প্রথম ৭ মাসে চীনে জার্মান বিনিয়োগ বেড়েছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬২.৭ শতাংশ। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এ তথ্য জানায়।

মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, উক্ত ৭ মাসে জার্মানি চীনে বিনিয়োগ করেছে ১.১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। একই সময়ে চীন জার্মানিতে বিনিয়োগ করেছে ১.০১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর এ সময়কালে দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্য হয়েছে ১০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের।

৫. এক জরিপ অনুসারে, চীনের কয়লাসম্পদ তুলনামূলকভাবে বৈচিত্র্যময়, যা চীনের উদ্ধারযোগ্য জীবাশ্ম-শক্তির মজুদের ৯২.৩ শতাংশ। বিশ্বের বৃহত্তম কয়লা উত্পাদন কোম্পানি ও চীনের জ্বালানি শিল্পের নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিএইচএন এনার্জি দীর্ঘকাল ধরেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে গবেষণা করে আসছে। কয়লার উত্তোলন এবং কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উত্পাদনসহ তাদের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজে লক্ষ্যণীয় সাফল্যও অর্জিত হয়েছে।

এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৮ সালে চীনের কয়লাবিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ সারা বছরে উত্পাদিত মোট বিদ্যুতের ৬৩.৭ শতাংশ ছিল। কয়লাবিদ্যুৎ উত্পাদনের পরিমাণ বাড়ানো, খরচ কমিয়ে আনা, এবং ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমন হ্রাস করা দেশের জ্বালানি-কৌশলের তাত্পর্যপূর্ণ অংশ। কয়লাবিদ্যুৎ উত্পাদন বাড়ানোর প্রযুক্তি উন্নত করা বিশ্বের সামনে বড় একটি চ্যালেঞ্জ। সিএইচএন এনার্জি স্বতন্ত্র গবেষণার মাধ্যমে থাইচৌ উত্পাদন লিমিটেড কোম্পানিতে বিশ্বের প্রথম 'সেকেন্ডারি রিহিট জেনারেটর সেট' প্রতিষ্ঠা করে। এতে কোম্পানির বিদ্যুৎ উত্পাদন-ক্ষমতা বেড়েছে।

আরেক পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০১৮ সালে চীন অশোধিত তেল ব্যবহার করেছে ৬৫.১ কোটি টন। অশোধিত তেলের ক্ষেত্রে বিদেশ-নির্ভরতা ৭০.৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এই নির্ভরতা কমাতে, সিএইচএন এনার্জির নিংসিয়া কয়লা লিমিটেড কোম্পানি কয়লা থেকে তেল উত্পাদনের প্রকল্প চালু করে। প্রতিবছর এ প্রকল্প থেকে ৪০ লাখ টন তেল উত্পাদিত হয়। প্রযুক্তি-গবেষণার মাধ্যমে কয়লা থেকে তেল উত্পাদনের ক্ষেত্রে বিদেশের মূল প্রযুক্তির একচেটিয়া প্রভাবও কমে গেছে।

৬. সম্প্রতি চীনের জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশন চীনা ও ইংরেজি ভাষায় 'তৃতীয় পক্ষের বাজারসংশ্লিষ্ট সহযোগিতা গাইড ও কেসস্টাডি' প্রকাশ করে। কেসস্টাডিগুলো রেলপথ, রাসায়নিক শিল্প, তেল ও গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অর্থসহ বিভিন্ন ক্ষেত্র এবং জাপান ও ব্রিটেনসহ বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্কিত। তা ছাড়া, ইন্দোনেশিয়া ও ইথিওপিয়াসহ বিভিন্ন দেশে চীনের সহযোগিতাপ্রকল্পগুলোও কেসস্টাডি হিসেবে স্থান পেয়েছে। দেশি-বিদেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যারা তৃতীয় পক্ষের বাজারসংশ্লিষ্ট সহযোগিতা চালাতে ইচ্ছুক, তাদের কাছে চীনের এই 'তৃতীয় পক্ষের বাজারসংশ্লিষ্ট সহযোগিতা গাইড ও কেসস্টাডির' রেফারেন্স-মূল্য আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

'তৃতীয় পক্ষের বাজারসংশ্লিষ্ট সহযোগিতা' মানে সংশ্লিষ্ট দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর তৃতীয় কোনো দেশে অর্থনৈতিক সহযোগিতা চালানো। চীনের প্রকাশিত এই 'গাইড ও কেসস্টাডি'-তে তৃতীয় পক্ষের বাজারসংশ্লিষ্ট সহযোগিতার বিষয়, ধারণা ও নীতি তুলে ধরা হয়েছে। এতে তৃতীয় পক্ষের বাজারসংশ্লিষ্ট সহযোগিতার ব্যবস্থা ও প্লাটফর্মও ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

গত বছরের নভেম্বর মাসে মোজাম্বিকের মাপুতো সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়। এটি এ ধরনের সহযোগিতার একটি উদাহরণ। এ প্রকল্পটি চীনা কোম্পানির উদ্যোগে নির্মিত হয়। আর জার্মানির গুয়াফ পরামর্শক কোম্পানি এই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও তত্ত্বাবধানসেবা সরবরাহ করে। চীন পক্ষের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ওয়াং লি চুন বলেন, এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে এখন সংশ্লিষ্ট সাগর অতিক্রমের সময় দুই-তিন ঘন্টা থেকে ১০ মিনিটে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি এই প্রকল্প স্থানীয়দের জন্য দুই সহস্রাধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে।

'গাইড ও কেসস্টাডি' থেকে জানা গেছে, চীন চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত ফ্রান্স, জাপান, ইতালি ও ব্রিটেনসহ ১৪টি দেশের সঙ্গে তৃতীয় পক্ষের বাজারসংশ্লিষ্ট সহযোগিতাচুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চীনের জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশনের বিদেশি পুঁজি বিভাগের উপ-প্রধান উ হোং লিয়াং বলেন, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে চীনের তৃতীয় পক্ষের বাজারসংশ্লিষ্ট সহযোগিতার কার্যকারিতা দিন দিন বাড়ছে।

৭. চতুর্থ চীন-আরব মেলা সম্প্রতি চীনের নিংসিয়া হুই স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ইন ছুয়ান শহরে অনুষ্ঠিত হয়। চীনের জাতীয় গণকংগ্রসের স্থায়ী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ছাও চিয়ান মিং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও আরব দেশগুলোর উন্নয়ন-কৌশলের সংযোগ-প্রক্রিয়া বেগবান হয়েছে, দু'পক্ষের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বিনিময় ঘনিষ্ঠতর হয়েছে, পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা জোরদার হয়েছে, এবং আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতাও দিন দিন বাড়ছে। অবকাঠামো, জ্বালানি, উচ্চপ্রযুক্তি ও অর্থসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু'পক্ষের সহযোগিতাও ফলপ্রসূ হয়েছে।

ছাও চিয়ান মিং আরও বলেন, চীন ও আরব দেশগুলোর উচিত ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী ও পারস্পরিক কল্যাণের ভিত্তিতে যৌথভাবে 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা। এতে দু'পক্ষই লাভবান হবে।

উল্লেখ্য, চীন-আরব মেলা চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, চীন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ত্বরান্বিতকরণ কাউন্সিল এবং নিংসিয়া হুই স্বাত্তশাসিত অঞ্চলের উদ্যোগে আয়োজিত রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বড় আকারের আর্থিক কার্যক্রম। এবারের মেলায় ৮৯টি দেশ অংশগ্রহণ করে। মেলা চলে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

৮. অগাস্টে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে এক লাখ ৩০ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়, যা প্রত্যাশার চেয়ে কম। মার্কিন ব্যুরো অব লেবার স্ট্যাটিস্টিকস্‌ এ তথ্য জানায়।

ব্যুরো জানায়, অগাস্টে মূলত স্বাস্থ্যসেবা ও আর্থিক খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে, মাইনিং খাতে কর্মসংস্থান কমেছে। বর্তমানে দেশটির বেকারত্বের হার ৩.৭ শতাংশ।

৯. জাপানে গত এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে প্রকৃত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১.৩ শতাংশ, যা পূর্বানুমানের চেয়ে কম। সম্প্রতি জাপান সরকার এ তথ্য জানায়। তবে, দেশটির অর্থনীতি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলেও সরকারি ভাষ্যে দাবি করা হয়েছে।

১০. গত ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত মালয়েশিয়ার বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ছিল ১০৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ তথ্য জানায়। মজুতের মধ্যে স্বর্ণের আকারে আছে ১.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

১১. বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে অগ্রাধিকারভিত্তিক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে লেবানন। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শরিফা খান বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে জানান, এ ব্যাপারে সরকার লেবাননের কাছ থেকে একটি প্রস্তাব পেয়েছে। বিভিন্ন দিক যাচাইয়ের জন্য প্রস্তাবটি শুল্ক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, লেবাননের বাজারে বাংলাদেশের পণ্যসামগ্রীর অনেক চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ লেবাননের বাজারে যেসব পণ্য রফতানি করে তার বেশিরভাগই হলো তৈরি পোশাক, টেক্সটাইল, পাট, ব্যাটারি, কৃষিপণ্য এবং হিমায়িত খাদ্য। তবে লেবাননের বাজারে আরও যেসব পণ্য রফতানির সুযোগ রয়েছে তা হলো, ফার্মাসিউটিকেলস, ক্যামিকেল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ইলেকট্রনিক্স ক্যাবল, হালকা প্রকৌশল, কাগজ ও কাগজ পণ্য এবং প্লাস্টিক পণ্য। সুতরাং লেবাননের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। লেবাননের শুল্ক প্রশাসনের বরাতে জানা যায় দেশটিতে বাংলাদেশি পণ্য রফতানির পরিমাণ বার্ষিক ৪ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার।

১২. প্রতিবেশী দেশ ভারতের ত্রিপুরায় এলপিজি (তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস) রফতানি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলক একটি চালান ত্রিপুরায় পৌঁছেছে। বেসরকারি কোম্পানি বেক্সিমকো এলপিজি প্রথমবারের মতো এ পণ্যটি রফতানির উদ্যোগ নেয়। সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো জানিয়েছে, আমদানি-রফতানি-পরিবহন এবং শুল্কসংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় চলতি মাসের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে। সেক্ষেত্রে আগামী অক্টোবর কিংবা নভেম্বর মাসে নিয়মিত রফতানি শুরু হতে পারে।

(আলিমুল হক)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040