বন্ধুরা, শুনছিলেন ইয়ান ই দান'র কন্ঠে 'তিন ইঞ্চি স্বর্গ' শীর্ষক গান। এখন আমি আপনাদেরকে চীনের ইনার মঙ্গোলিয়ার মঙ্গোলীয় জাতির নারী কন্ঠশিল্পীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবো। তিনি হলেন সিছিনগেরির। তিনি ১৯৬৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর ইনার মঙ্গোলিয়ার সিলিনগুওলে বান্নারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছোটবেলা থেকে নাচ শিখেছেন। ১৩ বছর বয়সে তিনি ইনার মঙ্গোলিয়ার শিল্প একাডেমির নাচ বিভাগে ভর্তি হন। ২০০০ সালে তিনি প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করেন। আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে 'পাহাড়ে সংগীত বসন্তকালের নদীর পানির মতো' শীর্ষক গান শোনাবো। গানটি চীনের চুয়াং জাতির লোকসংগীত। কিন্তু সিছিনগেরির তাঁর গানে রক উপাদান মিশিয়েছেন। চলুন, আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো।
বন্ধুরা, শুনছিলেন সিছিনগেরির'র কন্ঠে 'পাহাড়ে সংগীত বসন্তকালের নদীর পানির মতো' শীর্ষক গান। এখন আমি আপনাদেরকে চীনের তিব্বতী জাতির একজন নারী কন্ঠশিল্পীর গান শোনাবো। তিনি হলেন সাংনাইয়াংচিন। তিনি সিছুয়ান প্রদেশের স্যিয়াওজিন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হলেন সিছুয়ান নাচ ও গান গ্রুপের একজন সদস্য। তিনি তাঁর জন্মস্থানে খুবই জনপ্রিয়। আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে 'হৃদয়ে তিব্বত' শীর্ষক গান শোনাবো। গানটি ২০১৭ সালে রিলিজ হয়। গানটি প্রথম গেয়েছিলেন মঙ্গোলীয় জাতির নারী কন্ঠশিল্পী উলানতুওইয়া। আশা করি, বন্ধুরা সাংনাইয়াংচিন'র কন্ঠে গানটি পছন্দ করবেন।
বন্ধুরা, শুনছিলেন সাংনাইয়াংচিন'র কন্ঠে 'হৃদয়ে তিব্বত' শীর্ষক গান। এখন আমি আপনাদেরকে আরেকজন তিব্বতী জাতির নারী কন্ঠশিল্পীর পরিচয় দেবো। তিনি হলেন সিলাংছুচেন। তিনি তিব্বতের বিখ্যাত কিং গেসারের মহাকাব্য-এর (Epic of King Gesar) জন্মস্থানে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকে তাঁর সংগীতে আগ্রহ ছিল। তিনি সিছুয়ান প্রদেশের লোকসংগীত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান লাভ করেন এবং জাতীয় শ্রেষ্ঠ দশ কন্ঠশিল্পীর নামতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে 'চন্দ্রপ্রভায় পোতালা' শীর্ষক গান শোনাবো। পোতালা প্রাসাদ তিব্বতের লাসায় অবস্থিত। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।
বন্ধুরা, শুনছিলেন তিব্বতী জাতির নারী কন্ঠশিল্পী সিলাংছুচেন'র কন্ঠে 'চন্দ্রপ্রভায় পোতালা' শীর্ষক গান। এখন আমি আপনাদেরকে নারী কন্ঠশিল্পী সু হংয়ের কন্ঠে গান শোনাবো। তিনি ১৫ বছর বয়সে লিয়াওনিং প্রদেশের বেনসি শহরের নাচ ও গান গ্রুপে যোগ দেন। পরে তিনি শেনইয়াং সংগীত একাডেমিতে ভর্তি হন। ১৯৭৮ সাল থেকে তিনি একজন কন্ঠশিল্পী হিসেবে কাজ শুরু করেন। আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে সু হংয়ের কন্ঠে 'আমি অনেক গান গাইতে চাই' শীর্ষক গান শোনাবো। গানটি ১৯৮৬ সালে রিলিজ হয়। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।
বন্ধুরা, শুনছিলেন কন্ঠশিল্পী সু হংয়ের কন্ঠে 'আমি অনেক গান গাইতে চাই' শীর্ষক গান। এখন আমি আপনাদেরকে চীনের তাইওয়ানের কন্ঠশিল্পী সু হুই লুন'র কন্ঠে গান শোনাবো। তিনি ১৯৭০ সালের ২৭ অক্টোবরে তাইপেই শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন কন্ঠশিল্পী ও অভিনেত্রী। ১৯৯০ সালের মার্চ মাসে তিনি প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ২০০১ সালে তিনি নাটকে অভিনয় শুরু করেন। ২০০৮ সালে তিনি রোম এশিয়া চলচ্চিত্র উত্সবে শ্রেষ্ঠ প্রধান অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন। আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে 'লেবু গাছ' শীর্ষক গান শোনাবো। গানটি ১৯৯৬ সালে রিলিজ হয়। চলুন, আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো।
প্রিয় শ্রোতা, এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আমাদের অনুষ্ঠানে আপনারা কোনো পছন্দের গান শুনতে চান, তাহলে জানাবেন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা ben@cri.com.cn। আর আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা caiyue@cri.com.cn। 'গানের অনুরোধ' আমার নিজস্ব ই-মেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়। আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিন, একই সময়ে আবারো আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। চাই চিয়ান।(ছাই/আলিম/রুবী)