বৈঠককালে প্রেসিডেন্ট সি বলেন, চীন ও নেপাল পরস্পরের সুপ্রতিবেশী, বন্ধু ও ঘনিষ্ঠ অংশীদার। বর্তমানে দু'দেশের উন্নয়নের নতুন পর্যায়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও উন্নয়নের সুযোগের সম্মুখীন। নেপালের সাথে বিভিন্ন খাতে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা চালাতে ইচ্ছুক বেইজিং।
প্রেসিডেন্ট সি জোর দিয়ে বলেন, 'একচীন নীতি' অনুসরণ এবং চীনের কেন্দ্রীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট ইস্যুতে চীনকে সমর্থন দেওয়ায় নেপালের প্রতি কৃতজ্ঞ বেইজিং। চীনে কোনো ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদী তত্পরতা সফল হবে না। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রতি কোনো বিদেশি শক্তির সমর্থনও চীনা জনগণের কাছে অগ্রহণযোগ্য।
সি চিন পিং আরও বলেন, নেপালে গণজীবিকা উন্নয়নে সমর্থন দেবে বেইজিং। পাশাপাশি, নেপালের সঙ্গে পারস্পরিক যোগাযোগের মান উন্নত করবে; ধাপে ধাপে সীমান্ত এলাকায় বন্দরের সংখ্যা বাড়াবে; দু'দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু করবে; দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও পুঁজি বিনিয়োগ বাড়িয়ে চীন-নেপাল অর্থনৈতিক সহযোগিতা এলাকা নির্মাণ করবে; শিক্ষা, পর্যটন ও আঞ্চলিক বিনিময়সহ বিভিন্ন আদান-প্রদান বাড়াবে; আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করে যৌথভাবে সন্ত্রাসবাদ ও আন্তঃদেশীয় অপরাধের ওপর আঘাত হানবে; এবং বহুপক্ষবাদ ও অবাধ বাণিজ্যিক ব্যবস্থা সমর্থন করে, দু'দেশের উন্নয়নের অধিকার সংরক্ষণ করবে।
জবাবে কে পি শর্মা ওলি বলেন, গত ৭০ বছরে চীনে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। চীনের সমৃদ্ধি নেপালের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। প্রেসিডেন্ট সি'র সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন সূচনা।
ওলি আরও বলেন, চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নীতিতে অবিচল থাকবে তাঁর দেশ। নেপালের ভূভাগে চীন-বিরোধী কোনো অপতত্পরতা সহ্য করা হবে না। (সুবর্ণা/আলিম/শুয়ে ফেই ফেই)