৯ বছর বয়সে তিনি পরিবারের সঙ্গে তাই চুং জেলায় স্থানান্তরিত হন। ছোটবেলায় চাং ইয়ু শেং স্কুলের বই পড়তে পছন্দ করতেন না, বরং অধিকাংশ সময় গান শুনতেন, বাস্কেটবল খেলতেন, সাঁতার কাটতেন।
১৯৮৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর চাং ইয়ু শেং পাশ্চাত্যের অনেক গান শোনেন এবং অনেক গান লিখে ফেলেন। তিনি গিটার বাজাতেও পছন্দ করতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষে চাং ইয়ু শেং অবসরপ্রাপ্ত সেনাদের জীবন বর্ণনা করে একটি গান 'তারা' লেখেন। এই গানের কারণে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৮৮ সালের মার্চ মাসে চাং ইয়ু শেং নিজেই একটি সঙ্গীত-ব্যান্ড গঠন করেন এবং তাইওয়ানের প্রথম হট সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। এই প্রতিযোগিতায় তার ব্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হয় এবং তিনি নিজেও শ্রেষ্ঠ গায়কের পুরস্কার জিতে নেন।
১৯৮৮ সালের মে মাসে তিনি চলচ্চিত্র 'ছয় বন্ধু'-র জন্য 'ছয় বন্ধু' গান রচনা করেন। পরে এ নামের তার একটি অ্যালবামও প্রকাশিত হয়। এই অ্যালবামে চাং ইয়ু শেং-এর বিখ্যাত গান 'আমার ভবিষ্যৎ স্বপ্ন নয়' অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
১৯৮৮ সালের অগাস্ট মাসে 'মেটল বয়' নামক প্রথম হট সঙ্গীত প্রতিযোগিতার বিজয়ী দলের সঙ্গে 'আগুনের যৌবন' নামক গান রেকর্ড করেন।
১৯৮৮ সালের নভেম্বর মাসে চাং ইয়ু শেং নিজের প্রথম ব্যক্তিগত অ্যালবাম 'প্রতিদিন তোমার কথা মনে পড়ে' প্রকাশ করেন। এই অ্যালবাম বিক্রি হয় ৩ লাখ কপি। এই অ্যালবামের থিম সং 'প্রতিদিন তোমার কথা মরে পড়ে' তাঁর প্রতিনিধিত্বশীল গান।
১৯৮৯ সালের মার্চ মাসে চাং ইয়ু শেং সেই বছরের দশ জন শ্রেষ্ঠ নতুন কন্ঠশিল্পীর তালিকার প্রথম স্থান লাখ করেন। একই বছর তিনি নিজের প্রথম চলচ্চিত্র 'সাত নেকড়ে'-তে অভিনয় করেন এবং এই চলচ্চিত্রের থিম সং 'কখনই পিছনের দিকে তাকাবো না' রেকর্ড করেন।
১৯৮৯ সালের জুলাই মাসে চাং ইয়ু শেং-এর আরেকটি অ্যালবাম 'আমাকে মনে পড়ে' রিলিজ হয়। এই অ্যালবাম চাং ইয়ু শেং-কে সঙ্গীত প্রযোজক ও গীতিকার হিসেবে স্বীকৃতি এনে দেয়।
১৯৮৯ সালের অগাস্ট মাসে চাং ইয়ু শেং সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। একই বছরের অক্টোবর মাসে চাং ইয়ু শেং তাইওয়ানের প্রথম গোল্ডেন ম্যালোডি অ্যাওয়ার্ডস-এর শ্রেষ্ঠ নতুন কন্ঠশিল্পী হিসেবে মনোনয়ন পান।
১৯৯০ সালের জানুয়ারি মাসে চাং ইয়ু শেং চলচ্চিত্র 'জিনমা'র সেনা'তে অভিনয় করেন। সেপ্টেম্বর মাসে 'আমি তোমাকে ভালোবাসি' নামের গান রচনা করেন। একই বছরের অক্টোবর মাসে চাং ইয়ু শেং দ্বিতীয় তাইওয়ানের গোল্ডেন ম্যালোডি অ্যাওয়ার্ডস-এর শ্রেষ্ঠ পুরুষ কন্ঠশিল্পী হিসেবে মনোনয়ন লাভ করেন।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী চাং ইয়ু শেং-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবারও কথা হবে। (শুয়েই/আলিম/সুবর্ণা)