সম্পাদকীয়তে বলা হয়, কোনো কোনো মার্কিনিদের এই আচরণ হংকংয়ের স্বার্থ ক্ষতি করেছে এবং হংকংবাসীদের ইচ্ছাও লঙ্ঘন করেছে। তাই অবশ্যই সবার বিরোধিতা সৃষ্টি হয়। 'হংকংয়ে আর দাঙ্গাহাঙ্গামা দেখা দেওয়া যাবে না!' এটাই হলো অধিকাংশ হংকংবাসীদের মনের ইচ্ছা। অধিক থেকে অধিকতর হংকংবাসী বুঝতে পারেন যে, দাঙ্গাহাঙ্গামা বন্ধ করা এবং বিশৃঙ্খলা অবসান করা হলো বর্তমানে হংকংয়ের সবচেয়ে জরুরি কর্তব্য।
হংকংকে বিশৃঙ্খল করে তোলা যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশ ও অঞ্চলের স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে সম্পাদকীয়তে জোর দিয়ে বলা হয়। হংকং হলো ব্যাপক দেশ ও অঞ্চলের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ও চীনে প্রবেশের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। কোনো কোনো মার্কিনি যারা রাজনৈতিক স্বার্থ অর্জন করতে স্বদেশীয় কোম্পানি ও আন্তঃদেশীয় কোম্পানির স্বার্থ উপেক্ষা করে, তাদের ব্যাপক বিরোধিতা করে আন্তর্জাতিক সমাজ।
হংকংয়ের মাধ্যমে চীনের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করা আন্তর্জাতিক আইন, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মৌলিক নীতি ও বিশ্বের উন্নয়নের প্রবণতার সঙ্গে লঙ্ঘনজনক। বর্তমানে শান্তি ও উন্নয়ন হলো বিশ্বের মূল ধারা। একক স্বার্থ আন্তর্জাতিক নিয়মের উপর রাখা এবং আধিপত্য চালানোর আচরণ অবশেষে ব্যর্থ হবে বলে সম্পাদকীয়কে উল্লেখ করা হয়।
সম্পাদকীয়তে কোনো কোনো মার্কিনিকে মনে করিয়ে দেওয়া হয় যে, কখনও চীন সরকারের ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ও দক্ষতাকে অবমূল্যায়ন করবেন না।
লিলি/টুটুল