বৈঠকে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে বক্তব্য দেন কিসিঞ্জার। তিনি বলেন, চীন নিজেই একটি সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতি উপলব্ধি করলেই, কেবল চীনকে ভালভাবে বুঝতে পারা সম্ভব। এটি সম্ভবত বর্তমান চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে গুরুতর সমস্যা হওয়ার এক প্রধান কারণ।
বর্তমানে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো শীতল যুদ্ধে পরিণত হবে কি না এবং আরও এক ধরনের গরম যুদ্ধ হতে পারে কি না এ সম্পর্কে তিনি বলেন, চীন একটি বড় অর্থনৈতিক দেশ, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের যোগাযোগ অনেক বেশি চীনের। তিনি মনে করেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মতভেদ থাকলেও, তা সামরিক সংঘর্ষে রূপ নেবে না।
বর্তমান চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের আর্থ-বাণিজ্যিক বিরোধের প্রেক্ষাপটে কিসিঞ্জার বলেন, দু'পক্ষের বাণিজ্যিক আলোচনা ইতোমধ্যেই দু'পক্ষের এক সাধারণ আলোচনায় পরিণত হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এই আলোচনা সফল হবে । একে শুধু এক ছোট সূচনা, এক বড় রাজনৈতিক সংলাপের এক ছোট্ট সূচনা বলে মনে করা হয়। ভবিষ্যতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই ধরনের রাজনৈতিক সংলাপ চলবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
(ওয়াং হাইমান/টুটুল/তুহিনা)