বিবৃতিতে বলা হয়, ১ কোটিরও বেশি মুসলমানদের প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা হিসেবে, সিনচিয়াং ইসলাম ধর্ম সমিতি যুক্তরাষ্ট্রের এই তথাকথিত 'বিলের' দৃঢ় বিরোধিতা করে এবং তীব্র নিন্দা জানায়। বিলে বাস্তবতা উপেক্ষা করে সিনচিয়াংয়ের মুসলমানদের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিকৃত করেছে, সত্যের ওপর কালি লেপন করেছে এবং যুক্তিহীন অভিযোগ করেছে। আমরা মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যদের জিজ্ঞেস করতে চাই: তোমরা সিনচিয়াংকে কীভাবে উপলব্ধি করো? তোমরা কি কখনও সিনচিয়াংয়ে এসেছ? আমাদের মানবাধিকার সম্পর্কে আবোল-তাবোল কথা বলার অধিকার কি তোমাদের আছে? প্রকৃত সিনচিয়াং, সিনচিয়াংয়ের মুসলমানদের সঠিক জীবন এবং সিনচিয়াংয়ের মানবাধিকার অবস্থা জানানোর দায়িত্ব সিনচিয়াং ইসলাম ধর্ম সমিতির।
সমিতি জানায়, সিনচিয়াংয়ে মুসলমানের স্বাভাবিক ধর্মীয় চাহিদা মেটানো হয়। সিনচিয়াংয়ে বর্তমানে ২০ হাজারেরও বেশি মসজিদ আছে, ধর্মীয় কার্যক্রমে জড়িত কর্মীর সংখ্যা ২৯ হাজার। স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে বিভিন্ন স্তরে ১০৩টি ইসলাম ধর্মীয় সমিতি আছে। এ পর্যন্ত সিনচিয়াংয়ের ৫০ হাজারেরও বেশি মুসলমান মক্কায় হজ করেছেন। বাস্তবতা প্রমাণ করে যে, স্বাধীন ধর্মবিশ্বাস সিনচিয়াংয়ে সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হয়েছে। মুসলমানের স্বাধীন ধর্মবিশ্বাসের অধিকার আইনানুসারে নিশ্চিত করা হয়েছে এবং স্বাভাবিক ধর্মীয় চাহিদা কার্যকরভাবে মেটানো হয়েছে।
সিনচিয়াংয়ে এক সময় চরমপন্থি ধারণা ছাড়িয়ে পড়ে, সহিংসতা ও প্রায়শই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ঘটত। যা সিনচিয়াংয়ের বিভিন্ন জাতির মানুষের জীবন ও উন্নয়নের অধিকারসহ বিভিন্ন মৌলিক অধিকারকে পদদলন করেছিল। এতে উইগুর জাতিসহ বিভিন্ন জাতির অনেক মানুষ প্রাণ হারায়। সন্ত্রাস ও সহিংসতা দমনে সিনচিয়াংয়ের বিভিন্ন জাতির মানুষের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আইনানুসারে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে সিনচিয়াং প্রশাসন। বিগত তিন বছরে সিনচিয়াং সমৃদ্ধ হয়েছে, স্থিতিশীলতা ও জাতীয় ঐক্য অর্জিত হয়েছে এবং ধর্মীয় সুষম অবস্থা বজায় রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অপবাদের শক্তিশালী জবাব এটি।
(শুয়েই/তৌহিদ/সুবর্ণা)