ছোটবেলায় শা পাও লিয়াং খুব দুষ্টু ছিলেন তাই ৮ বছর বয়সে বাবা-মা তাকে বেইজিং শিল্পকলা স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। তখন থেকে শা পাও লিয়াং দড়াবাজি শিখতে শুরু করেন।
১৯৯৩ সালে শা পাও লিয়াং পানশালায় কাজ করতে শুরু করেন এবং তখন থেকে তার কন্ঠশিল্পীর জীবনও শুরু হয়।
১৯৯৩ সালে শা পাও লিয়াং সঙ্গীতের জগতে যোগ দেন। তিনি অন্য শিল্পীর সঙ্গে ব্যান্ড গঠন করেন এবং গান রচনা শুরু করেন।
১৯৯৫ সালে শা পাও লিয়াং 'সামো' নামের একটি মিউজিক স্টুডিও স্থাপন করেন। এই স্টুডিও থেকে 'পাতা ঝাড় দেওয়ার মানুষ' নামের গান প্রকাশ করেন। এ ছাড়া তিনি কন্ঠশিল্পী ভান জিন তুং-এর তৃতীয় অ্যালবামের জন্য 'তোমার কথা মিস করি' ও 'অশ্রুসিক্ত গোলাপ ফুল' গান রচনা করেন।
১৯৯৬ সালে শা পাও লিয়াং 'সিয়ান তাই রেন' নামের সঙ্গীত ব্যান্ডের প্রধান গায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। একই বছর তিনি চীনের হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের মর্যাদাপূর্ণ কন্ঠশিল্পী চুং চেন থাও-এর জন্য 'সহজ জীবন' নামের গান রচনা করেন।
১৯৯৭ সালে কয়েক মাসের পরিশ্রম এবং চেষ্টার পর শা পাও লিয়াং নিজের রচিত গান রেকর্ড করে অ্যালবাম কোম্পানির কাছে পাঠান। কিন্তু সেই বছর তিনি কোনো সুযোগ পাননি।
২০০৩ সালে শা পাও লিয়াং এক টিভি সিরিজের জন্য 'গোপন সুগন্ধ' নামের থিম সং গাওয়ার মাধ্যমে দর্শকের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন। এরপর তিনি নতুন সঙ্গীত কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে কন্ঠশিল্পী হিসেবে নতুন গান 'আমার শরতে কে এসেছে' নামের গান প্রকাশ করেন।
২০০৪ সালে শা পাও লিয়াংয়ের 'গোপন সুগন্ধ' গানটির জন্য চতুর্থ পেসনি মিউজিক চার্টের মূল ভূভাগের দশটি শ্রেষ্ঠ গানের পুরস্কার এবং মূল ভূভাগের শ্রেষ্ঠ নতুন কন্ঠশিল্পীর পুরস্কার লাভ করেন।
২০০৫ সালে শা পাও লিয়াং চীনের কেন্দ্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভি'র গানের অনুষ্ঠানে চীনের মূল ভূভাগের সবচেয়ে জনপ্রিয় পুরুষ কন্ঠশিল্পীর পুরস্কার জিতে নেন। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে শা পাও লিয়াং নতুন অ্যালবাম 'পুরুষের জীবন কঠিন' প্রকাশ করেন।
২০১০ সালে শা পাও লিয়াং নিজের প্রথম কনসার্ট আয়োজন করেন। ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো নিজের জন্মস্থান বেইজিংয়ে ব্যক্তিগত কনসার্ট আয়োজন করেন।
২০১৪ সালে শা পাও লিয়াং চীনে কনসার্ট ট্যুর আয়োজন করেন।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী শা পাও লিয়াং-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবারও কথা হবে। (শুয়েই/আলিম/সুবর্ণা)