ছোটবেলা থেকেই থাং ছাও সঙ্গীত সম্বন্ধে অনেক আগ্রহী ছিলেন। ১৯৯৮ সালে থাং ছাও জাপানে গিয়ে দুই বছর ধরে চলচ্চিত্র সঙ্গীতের প্রযোজনা শিখেছেন। এরপর থাং চাও শেন ইয়াং কনজাভোটারি অব মিউজিকে ভর্তি হন।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর থাং ছাও শেন ইয়াং-এর এক শিল্পীদলে যোগ দেন। তবে অল্প সময় পর তিনি ব্যান্ড ত্যাগ করে বেইজিংয়ে চলে আসেন।
২০০৩ সালে অলিম্পিক গেমস আয়োজনের যোগ্যতা আবেদনের জন্য থাং ছাও 'চীনা পুরুষ' নামের গানটি রচনা করেন।
২০০৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর, থাং ছাও নিজের প্রথম অ্যালবাম 'লিসা' প্রকাশ করেন। এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে 'ফুল ফোটার সময় আমি ফিরে আসবো', 'তোমার মতো মেয়ে'সহ দশটি গান। এর মাধ্যমে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সঙ্গীতের জগতে পা রাখেন। অক্টোবর মাসে তিনি আবারও একটি গান 'নীল আকাশের স্বপ্ন' প্রকাশ করেন।
২০০৫ সালের জুন মাসে, থাং ছাও 'নেকড়ে ছাগলকে ভালোবেসেছে' নামের গান রিলিজ করেন।
২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসে, থাং ছাও –এর দ্বিতীয় অ্যালবাম 'নেকড়ে ছাগলকে ভালোবেসেছে' বাজারে আসে। এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে 'তোমাকে মিস করার সময় তুমি আমাকে মিস করো?'-সহ ১২টি গান।
২০০৭ সালের মে মাসে থাং ছাও-এর গান 'হাসির শক্তি' বাজারে আসে। জুন মাসে তাঁর গান 'মানুষের হৃদয় যখন পরিবর্তিত হয়' বাজারে আসে। নভেম্বরে, থাং ছাও-এর আরেকটি অ্যালবাম 'ভালোবাসার চোর' রিলিজ হয়। এতে অন্তর্ভুক্ত আছে 'ভালোবাসার চোর', অলিম্পিক গেমসের গান 'World Feel China' সহ ছয়টি গান।
২০০৮ সালে থাং ছাও-এর তৃতীয় অ্যালবাম 'নেকড়ে দুই' প্রকাশিত হয়।
২০১০ সালে থাং ছাও চীনের সিসিটিভি'র বসন্ত উত্সবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চে গান পরিবেশন করেন।
২০১২ সালে তিনি নিজের প্রথম চলচ্চিত্র 'টাকার ব্যাপার না'য় অভিনয় করেন।
২০১৪ সালে তিনি 'বেইজিংয়ে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা' নামের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
২০১৫ সালে থাং ছাও-এর পঞ্চম অ্যালবাম 'বিদায়, লিজিয়াং-এর যাত্রী' প্রকাশিত হয়। একই বছর তিনি 'সব কিছুই ঠিক আছে' নামের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
২০১৬ সালে থাং ছাও-এর নতুন গান 'বড় ভাই' রিলিজ হয়।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী থাং ছাও-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবারও কথা হবে। (শুয়েই/আলিম/সুবর্ণা)