জাতীয় খাদ্য ও কৌশলগত সংরক্ষণাগার প্রশাসনের উপপ্রধান লুও শৌ ছুয়েন প্রেস ব্রিফিংয়ে শরত্কালীন শস্য ক্রয়ের সর্বশেষ অগ্রগতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বর্তমানে শরত্কালীন শস্য ক্রয় প্রক্রিয়া সমষ্টিকভাবে স্থিতিশীল ও সুশৃঙ্খল রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বাজারমুখী সংস্কার অবিচল রয়েছে, বেশ কয়েকটি ব্যবস্থার মাধ্যমে নীতিগত ক্রয় ব্যবস্থা ও কঠোরভাবে সর্বনিম্ন ক্রয়নীতি পালন করা হচ্ছে। এতে যারা শস্য চাষ করছেন, তাদের স্বার্থ কার্যকরভাবে সুনিশ্চিত করা যায়। এ প্রসঙ্গে লুও শৌ ছুয়েন বলেন,
'২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ২১৫.৫ বিলিয়ন চিন খাদ্য ক্রয় করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানের শস্য বাজারের দামের প্রবণতার ওপর নজর রাখা হচ্ছে। চিয়াংসু, আনহুই ও হেলোংচিয়াংসহ ৮টি প্রদেশ সময়মতো পূর্ব-নির্ধারিত পরিকল্পনা চালু করে সর্বনিম্ন ক্রয়মূল্য নীতি অনুসরণ করেছে এবং শস্য চাষকারী কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে; ফলে উত্পাদিত খাদ্যশস্য ভালোভাবে বিক্রি করা সম্ভব হয়েছে। পর্যবেক্ষণ থেকে দেখা যায়, বর্তমানে শরত্কালীন শস্য ক্রয় বাজারের দাম স্থিতিশীল রয়েছে এবং মানসম্পন্ন ও ভালো দাম এই দুই বৈশিষ্ট্য সুস্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে।'
লুও শু ছুয়েন বলেন, চলতি বছর থেকে জাতীয় খাদ্য ও কৌশলগত সংরক্ষণাগার প্রশাসনসহ বিভিন্ন বিভাগ বাজারের চাহিদা ও শস্যের পরিমাণ বিবেচনায় রেখে বিজ্ঞানসম্মতভাবে একটি দাম নির্ধারণ করেছে এবং যৌক্তিক ক্রয়ের গতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালে শস্য ও তেলসহ মোট ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৫০ হাজার টন খাদ্য বিক্রয় করা হয়। এর মধ্যে ১ কোটি ২৪ লাখ ৮০ হাজার টন ধান; ৩৪.৩ লাখ টন গম, ২ কোটি ১৯ লাখ ১০ হাজার টন ভুট্টা এবং ৭ লাখ ৩০ হাজার টন তেল রয়েছে। এতে কার্যকরভাবে বাজারে শস্য ও তেলের সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে।
লুও শৌ ছুয়েন বলেন,
'২০১৯ সালে বিভিন্ন স্থানের শস্য উত্পাদন ও বিক্রির ক্ষেত্রে খুব প্রবল সহযোগিতার চেতনা কার্যকর ছিলো। বিভিন্ন প্রদেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী ও স্থিতিশীল সহযোগিতাব্যবস্থা গড়ে ওঠে এবং কার্যকরভাবে আঞ্চলিক শস্যের সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়।'
প্রেস ব্রিফিংয়ে জাতীয় খাদ্য ও কৌশলগত সংরক্ষণাগার প্রশাসনের পরিকল্পনা ও নির্মাণ বিভাগের প্রধান ছাও মিং বো চীনের উন্নত শস্য প্রকল্প নির্মাণের অবস্থা তুলে ধরেন। ২০১৯ সালের শেষ দিকে সারা দেশে মোট তিন হাজারেরও বেশি শস্য সেবাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। খাদ্যশস্য সংরক্ষণের জন্য চার লাখেরও বেশি গুদাম তৈরি করা হয়। শস্যের গুণগত মান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে মোট ৪০০টি প্রকল্প চালু হয়। এভাবে শস্যের গুণগত মান নিশ্চিত করা হয়। ছাও মিং বো বলেন,
'সারা দেশে শস্যের নমুনা পরীক্ষার গড় মাসিক সংখ্যা ২৬ হাজারে উন্নীত হয়। এতে জনগণের খাদ্যশস্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। বর্তমান অগ্রগতির দিকে তাকালে বোঝা যায়, ২০২০ সালের মধ্যে ৪ কোটি ৭০ লাখ টন মানসম্পন্ন খাদ্যপণ্য বৃদ্ধির লক্ষ্য বাস্তবায়িত হবে।'
সর্বোপরি উল্লেখ করা যায়, শস্য উত্পাদান খাতে বড় দেশ থেকে ধীরে ধীরে শক্তিশালী খাদ্যপণ্যের দেশে রূপান্তরিত হচ্ছে চীন।
লিলি/তৌহিদ