কফিহাউসের আড্ডা: আমি চীনা মানুষের সঙ্গে আছি! -উহানে অবস্থানরত ডঃ গালিবের সঙ্গে আলাপচারিতা
  2020-03-12 13:13:55  cri

 

জীবনে চলার পথে "কত স্বপ্নের রোদ ওঠে, আর কত স্বপ্ন মেঘে ঢেকে যায়! কতজন এলো-গেলো কতজনই আসবে- কফিহাউসটা শুধু থেকে যায়।" প্রিয় বন্ধুরা, কফিহাউসও থাকবে আর এই ২০ মিনিট আমি আছি আপনাদের সঙ্গে। শেয়ার করবো জীবনের অনেক কথা, মাত্র ২০ মিনিট।

সুপ্রিয় শ্রোতা আমি ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা। সাপ্তাহিক 'কফিহাউসের আড্ডা'-য় আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। আজ আমার সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন ডঃ মোস্তাক আহমেদ গালিব। তিনি বর্তমানে উহান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের 'এক অঞ্চল, এক পথ' গবেষণাকেন্দ্রের পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন। চলুন ড. মোস্তাক আহমেদ গালিবের সাথে আড্ডা দিই।(স্বর্ণা/আলিম/সুবর্ণা)

নিচে ড. মোস্তাক আহমেদ গালিবের সাক্ষত্কারের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ তুলে ধরা হলো-

সতেরো বছর আগে চীনে যখন সার্স ভাইরাস আঘাত হেনেছিল তখনও আমি চীনে ছিলাম । এবছরও আমি চীনে আছি বিধায় চীনাদের এই দু দুটো সংগ্রাম খুব কাছে থেকে প্রত্যক্ষ করার বিরল সুযোগ আমার হয়েছে । এবারের মহামারীটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ায় বিশেষ ক্ষতিসাধন করতে পেরেছে এবং আমরা ইতোমধ্যেই লক্ষ্য করেছি সারা বিশ্বে প্রায় তিনহাজারেরও বেশি প্রান এই রোগের প্রকোপে ঝরে গেছে যা সার্স বা অন্যান্য মহামারী থেকে এটিকে আলাদা করেছে ।

আমি যেহেতু শুরু থেকেই এবারের ভাইরাস আক্রমণের কেন্দ্রে থাকা উহান শহরে বাস করছি কাজেই সরকারের পদক্ষেপগুলো আমি খুব কাছে থেকে পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পেয়েছি । সরকার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত 23 জানুয়ারি উহান শহরকে লক ডাউন ঘোষণা করে যাতে রোগটি ব্যাপকভাবে না ছড়ায় । এরকম বিচ্ছিন্নকরনের অভিজ্ঞতা আসলে হাল আমলে কোনও দেশেরই নেই বিধায় পুরো বিষয়টি ছিলো বেশ চ্যালেঞ্জিং । সরকার সেই চ্যালেন্জ গ্রহণ করে ও ভাইরাস নিয়ন্ত্রন কর্মকান্ডকে একটি জনযুদ্ধ হিসাবে উল্লেখ করে । এই যুদ্ধটি কখনোই সহজ ছিলো না , বিশেষতঃ মহামারী জনিত সার্বিক পরিস্থিতির পূর্বঅভিজ্ঞতা কারোই ছিলো না , তবে সরকারের ধন্যবাদ প্রাপ্য একারনে যে সরকার খুবই দক্ষতা ও দ্রুতগতির সঙ্গে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয় এবং যেকোনো সমস্যা অত্যন্ত দ্রুতগতিতে সমাধানে এগিয়ে আসে । তারা প্রায় দশদিনের নোটিশে দু দুটি এক হাজার শয্যার হাসপাতাল বানায় ও অস্থায়ী পরিচর্যা কেন্দ্র গড়ে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের সেবা দিতে থাকে । আরেকটি কথা না বললেই নয় , এই পুরো প্রক্রিয়ার এবং আক্রান্তের সমস্ত খরচ সরকার বহন করে । যার ফল আমরা সবাই এখন দেখতে পাচ্ছি । রোগটি দুর্ভাগ্যজনক ভাবে অন্যান্য দেশে ছড়ালেও চীনের আভ্যন্তরে রোগটির প্রকোপ এখন অনেকাংশেই কমে গেছে । হয়তো খুব শিগগিরই পুরো চীনের জনজীবনই স্বাভাবিক হয়ে আসবে ।

চীন ও পুরো বিশ্বের জনসাধারনের সার্বিক সহযোগিতা , সারাদেশের প্রায় তিরিশ হাজার চিকিৎসাকর্মীর নিরলস শ্রম ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে উদ্ভূত যেকোনও সমস্যা সমাধানে চীনা সরকারের আন্তরিকতাই এ সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে । মহামারী নিয়ন্ত্রনে চীনের এ সাফল্য আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে আরও বিশেষগুরুত্বপূর্ন । কেননা একটি উন্নয়নশীল দেশ হয়েও এতো ব্যাপক ও ধ্বংসাত্বক একটি মহামারী নিয়ন্ত্রনে চীনের সাফল্য আসলে অন্যান্য দেশগুলো , বিশেষতঃ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটি অনান্য দৃষ্টান্ত ।

তাছাড়া এই মুহূর্তে রোগটি ব্যাপকহারে ছড়িয়ে যাওয়ায় অন্য অনেক দেশই চীনের কাছে পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে দিকনির্দেশনা চাইতে পারছে , চীনের কিন্তু এ সুযোগটি ছিলো না যেহেতু চীনের আগে অন্য কেউ এ এরোগে আক্রান্ত হয় নি বা কারো এবিষয়ে কোনও অভিজ্ঞতাও ছিলো না । এখানেই আমি মনে করি চীনকে পুরো পৃথিবীর অভিন্দন জানানো উচিৎ , কেননা সে এই নোভেল করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে পুরো যুদ্ধটিই নিজস্ব অভিজ্ঞতার আলোকে করেছে । তার কাছে অন্য কোনও দেশের উদাহরন বা কেস স্টাডি ছিলো না । কিন্ত এখন অন্যদেশগুলো চীনকে কেস স্টাডি হিসেবে নিয়ে দ্রুত এবিষয়ে সঠিক ও যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারছে । একারনেই চীনের বিশেষ ধন্যবাদ প্রাপ্য । আমি আরও ধন্যবাদ দিতে চাই চীনের সেসব চিকিৎসাকর্মীকে যারা দিনরাত নিরলস ভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দ্বায়িত্ব পালন করে গেছেন । এছাড়াও বিশেষ সাধুবাদ জানাতে চাই উহান সহ গোটা চীনের জনসাধারণকে যেহেতু তারা এ কদিন বিরল ত্যাগ স্বীকার করেছেন । আশা করি খুব শীঘ্রই সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় চীন এই যুদ্ধে বিজয়ী হবে ।

গতবছরের শেষদিকে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে প্রথম দেখা দেয়া COVID-19 ভাইরাসটি মহামারী আকার নিয়ে চীন সহ আরও বেশ কিছু দেশে নব্বুই হাজারেরও বেশি লোকের ভেতর সংক্রমিত হয়ে কয়েক হাজার লোকের মৃত্যু ঘটিয়েছে । চীনে যদিও সংক্রমন এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে তবে অন্য কিছু দেশ বিশেষতঃ দক্ষিন কোরিয়া , ইরান , ইটালি , জাপান প্রায় 70টিরও বেশি দেশে এটি এখন দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে যাচ্ছে । WHO যদিও এটিকে এপিডেমিক বা এলাকা ভিত্তিক মহামারী হিসাবেই দেখছে , কিন্তু এটিকে প্যানডেমিক বা বিশ্বব্যাপী মহামারী হিসাবে না দেখলেও ভাইরাসটির সংক্রমন ক্ষমতার কারনে এটি একটি বিশ্ব ব্যাপী আতংকের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে । এমতাবস্থায় এই ভাইরাসটির প্রভাব জাতীয় , আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে পড়তে বাধ্য । তবে মনে রাখতে হবে যে চীনের একটা খুব বড় মধ্যবিত্ত শ্রেনী রয়েছে এবং এরা সবাই অনলাইন ভিত্তিক কেনাকাটায় পুরো পৃথিবীর সবচেয়ে পটু জাতিগুলোর একটি । এটা অবশ্যই চীনের জন্য একটা সুসংবাদ , ধরা যাক হয়তো এই মুহূর্তে চীনের করোনা আক্রান্ত উহান ও পার্শ্ববর্তী শহরগুলোর পঞ্চাশ মিলিয়ন লোক নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য , পানীয় ও চিকিৎসা দ্রব্যাদি ছাড়া আর কিছুই কিনছে না কিন্ত এরা সবাই অনলাইনে কেনাকাঁটায় অভ্যস্ত বিধায় অবস্থা একটু ভালো হলেই এরা কেনাকাটা শুরু করবে অর্থাৎ অর্থনীতির কাঁটাও দ্রুতই সচল হবে । এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কিন্তু ইতোমধ্যেই বাজার চাঙ্গা করার জন্য বন্ড সুবিধা হয় বিভিন্ন মেয়াদি যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে । কাজেই যদি কোনও সমস্যা দেখা দেয়ও সেটা নিতান্তই সাময়িক ।

চীনের 'এক অঞ্চল এক পথ' উদ্যোগ একটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার উদ্যোগ বিধায় এখানেও ভাইরাসটির প্রভাব নেই সে কথা বলা যাবে না । তবে এক অঞ্চল এক পথ' উদ্যোগ একটি বহুপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্র বিধায় এখানে স্বল্পমেয়াদে খুবই ছোট আকারে এই মহামারীর প্রভাব পড়লেও দীর্ঘমেয়াদে এর তেমন কোনও বিরূপ প্রভাব থাকবে না ।

এর পেছনের কারনগুলো যদি আমি ব্যাখ্যা করি তাহলেই হয়তো বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে । প্রথমেই বলে নিচ্ছি এক অঞ্চল এক পথ' উদ্যোগ (ইংরেজিতে initiative, অনেকেই ভুল করে এটিকে পরিকল্পনা plan , কৌশল strategy ইত্যাদি হিসাবে অভিহিত করে থাকেন ) আসলে একটি win win ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্লাটফর্ম । এখানে প্রকল্প সংশিষ্ট দুটি (বা দুটির বেশি) দেশই লাভবান হবার আশায় সহযোগিতার ক্ষেত্র চিহ্নিত করার পরই কেবল চূড়ান্ত প্রকল্প সহযোগিতার দিকে এগিয়ে যায় । তারমানে এখানে যে প্রকল্পগুলো আছে , সেগুলো ভালো করে যাচাই বাছাই করে জনগণের বৃহত্তর কল্যাণের স্বার্থে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় । আমি প্রকল্প ব্যবস্থাপনার কঠিন বিষয়ে না গিয়ে একদম সাদামাটা একটা উদাহরন দিয়ে বিষয়টি আরও খোলাসা করতে চাই । ধরুন কোনও একটি বিশেষ উন্নয়নশীল দেশে পর্যাপ্ত সস্তা শ্রম আছে , শিল্পায়নের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালেরও অভাব নেই । কিন্তু দেশটি গরীব ও অনুন্নত বিধায় সে একটি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করতে পারছে না । এখন যদি সেই দেশটির একটি সমুদ্র বন্দর থাকতো , তাহলে তার রপ্তানী বানিজ্যের দুয়ার খুলে যেতো । অনেকেই সেখানে কারখানা স্থাপনে বিনিয়োগ করতে আসতেন । কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হতো । তাই না ? তাহলে দেখুন একটি বন্দর আসলে শুধু মাত্র একটি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকল্পই নয় এটি আসলে উন্নয়নের একটি মহাসোপান । এখন চীন তার 'এক অঞ্চল এক পথ' উদ্যোগের আওতায় সেখানে বন্দর নির্মাণ সমাপ্ত করার পর স্বাভাবিক ভাবেই ওই বিশেষ এলাকায় কর্মচাঞ্চল্য বৃদ্ধি পাবে , এতে চীনের মহামারীর তেমন কোনও সরাসরি সংযোগ থাকার কথা নয় । বরং অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাবে চীনা কোম্পানিগুলো সস্তা শ্রম ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার কারনে ব্যাক্তিগত ভাবে ওই বিশেষ এলাকায় বিনিয়োগ করছে । সেটা বরং আরও ভালো , তাতে ওই এলাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে স্বাভাবিকভাবে ।

তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম , অনেকে হয়তো বলবেন আচ্ছা এমন যদি হয় চীন মহামারীর জন্য কোনও প্রকল্প সমাপ্ত করতে পারলো না । এটি আসলে বাস্তবে অসম্ভব । কেননা প্রকল্প একটি চলমান কাজ । অনেককেই বলতে শোনা যাচ্ছে হয়তো মহামারীর কারনে কিছু শ্রমিক নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্প সংশিষ্ট কাজে উপস্থিত হতে দেরি করলো ,তখন প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যাবে । এটি আসলে বাস্তবে অসম্ভব । এতে কিন্ত প্রকল্পটি থেমে থাকবে না, ঠিকাদার তখন অন্য শ্রমিক বা প্রয়োজনে অন্য প্রতিষ্ঠান দ্বারা কাজটি করিয়ে নেবেন । আর একান্তই যদি তা নাহয় তাহলেও প্রকল্পটি বন্ধ হবে না , হয়তো শেষ হতে আগের চেয়ে কিছুটা বেশি সময় লাগবে । এটি আসলে নির্ভর করে ওই নিদির্ষ্ট প্রকল্পটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কতোটা অভিজ্ঞ তার ওপর ।

'এক অঞ্চল এক পথ' উদ্যোগ ইতোমধ্যেই সফল ছয়টি বছর অতিক্রম করেছে । এটি বর্তমান পৃথিবীতে সবচেয়ে সফল বহুপাক্ষিক আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্লাটফর্ম । প্রায় দেড়শোটির বেশি দেশ ও সংস্থা কোনও না কোনও ভাবে এর সঙ্গে যুক্ত । আলোচিত এ উদ্যোগটির পাঁচ-ছয়টি বছরকে আমরা এর প্রাথমিক নির্মাণকাল বা ভিত্তি হিসাবে ধরতে পারি । উদাহরন হিসাবে আবারও ফিরে যাই একটু আগে উল্লেখ করা উন্নয়নশীল দেশটির বন্দর প্রকল্পে । চীনের সহায়তায় বন্দরটিকে যদি প্রাথমিক প্রকল্প বিবেচনা করলে মানে দাঁড়ায় সে দেশে স্বল্প মেয়াদে আরও একটি বন্দর নির্মাণের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে বরং দ্বিতীয় ধাপে বন্দর সংশিষ্ট অন্যান্য প্রকল্প সংগঠিত হবার সম্ভাবনা বেশি । সেটি হতে পারে বন্দর নিকটবর্তী একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র কিংবা একটি শুল্ক গুদাম কিংবা একটি জ্বালানী সংরক্ষণাগার অথবা একটি রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র । তারমানে দাঁড়াচ্ছে যে প্রাথমিক প্ৰকল্পগুলো নির্মিত হয়ে গেলে সেই প্রকল্প সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্ৰকল্পগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়িত হবে । এ প্রকল্পগুলো চীন যথারীতি করে দিতে পারে আবার গ্রহীতা দেশ নিজেও করতে পারে । আবার এগুলো পি পি পি অথবা বি ও টি ভিত্তিতে যে কেউ করতে পারে । এভাবে 'এক অঞ্চল এক পথ' উদ্যোগ প্রবেশ করবে দ্বিতীয় ধাপে ।

'এক অঞ্চল এক পথ' উদ্যোগে মোট ছয়টি করিডোর রয়েছে । তার ভেতর একটি সামুদ্রিক করিডোরে বাংলাদেশ অবস্থিত । এক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমি আমার কিছু প্রস্তাব তুলে ধরতে চাই ,

1.চীনা কোম্পানিগুলো , বিশেষতঃ প্রাইভেট কোম্পানিগুলোকে প্রাথমিক ধাপের প্রকল্পগুলোর ওপর ভিত্তি করে নতুন বাজার ও সুযোগ অনুসন্ধানে পটু হতে হবে । একাজে তারা বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একত্রে কাজ করে সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে পারে অথবা নিজেদের অভ্যন্তরেই একটি শক্তিশালী টিম গঠন করতে পারে । আধুনিক বাজার ও বাজারে প্রবেশ সংক্রান্ত জ্ঞান সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতা(যেমন আয়কর , বিনিয়োগ নীতি ইত্যাদি ) দুর করতে পারলে বিদেশের মাটিতে অনেক চীনা কোম্পানিই আরও বেশি সাফল্য পাবে।

2. যেহেতু 'এক অঞ্চল এক পথ' উদ্যোগ একটি বহুমাত্রিক সহযোগিতার প্লাটফর্ম কাজেই বাংলাদেশী বিভিন্ন সরকারী সংস্থা বা বেসরকারী কোম্পানিগুলোও এর সুযোগ নিতে পারে । প্রয়োজনে তারা চীনা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে পারে এবং একাজে তারা চীন বিষয়ে অভিজ্ঞ বাংলাদেশী বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নিতে পারে ।

3. 'এক অঞ্চল এক পথ' উদ্যোগ বিষয়ে অনেক ক্ষেত্রেই কিছু ভুল বোঝাবুঝি লক্ষ্য করা যায় । উদ্যোগটি আসলে অর্থনীতি , প্রকল্প ব্যবস্থাপনার একটি মিশেল বিধায় এবিষয়ে অভিজ্ঞ দুদেশের বুদ্ধিজীবীদের সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সাধারন আলোচনার দ্বারা অবারিত করে দিলে আরও ভালো ফল পাওয়া যাবে ।

4. ' এক অঞ্চল এক পথ' উদ্যোগের পাঁচটি উদ্দেশ্য রয়েছে । এর ভেতর সর্বশেষ উদ্দেশ্যটি হলো সুখী সমাজ গঠন কল্পে মানুষে মানুষে শান্তি ও মিলন ঘটানো। এটি আসলে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করে হাসিল করা সম্ভব ।

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040