ফোনালাপে সি চিন পিং বলেন, নভেল করোনাভাইরাস শুরু হওয়ার পর মহাসচিব নিজেই চীনের খোঁজখবর নিয়েছেন এবং চীনের অর্জিত সাফল্যের স্বীকৃতি দিয়েছেন। এতে চীন কৃতজ্ঞ। চীনের বর্তমান অবস্থা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে, জীবনযাপন স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। পরবর্তীতে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি অর্থনীতির উন্নয়ন-সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ সামনে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে। চীনা জনগণ ভাইরাস প্রতিরোধের যুদ্ধে জয়ী হবে এবং অর্থনীতি উন্নয়নের লক্ষ্যও অর্জিত হবে বলে আস্থা ব্যক্ত করেন চীনা প্রেসিডেন্ট।
তিনি আরও বলেন, চীনা জনগণ অনেক ত্যাগ স্বীকার করে বিশ্বে ভাইরাস প্রতিরোধে মূল্যবান ভূমিকা রেখেছে। আন্তর্জাতিক সমাজের উচিত যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে কার্যকরভাবে সহযোগিতা চালিয়ে ভাইরাস প্রতিরোধে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো। ভাইরাস প্রতিরোধের লক্ষ্যে চীন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ২ কোটি মার্কিন ডলার দান করেছে।
প্রেসিডেন্ট সি জোর দিয়ে বলেন, এ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে আবারও প্রমাণিত হয় যে, মানবজাতি একটি অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি। এ ভাইরাস সর্বশেষ হুমকি নয়। চলতি বছর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকী। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বহুপক্ষবাদ বজায় রেখে জাতিসংঘকেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক পরিচালনা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ করা উচিত। চীন আগের মতো ভবিষ্যতেও জাতিসংঘের বিভিন্ন কাজে সমর্থন দিয়ে যাবে।
গুতেরহিস চীনের সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, চীন দ্রুতগতিতে অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করবে বলে তিনি আশাবাদী। তা শুধু চীনা জনগণের জন্য নয়, বিশ্বের জন্যও বড় অবদান হবে। চীনের আর্থিক সহায়তা ও মূল্যবান অভিজ্ঞতার জন্য তিনি আবারও কৃতজ্ঞতা জানান।
(স্বর্ণা/তৌহিদ)