যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি তথাকথিত 'জাতীয় মানবাধিকার প্রতিবেদন-২০১৯' এ পুনরায় চীনের মানবাধিকারের প্রতি অনাস্থা ও সিনচিয়াং প্রশাসনের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। আসলে যুক্তরাষ্ট্রসহ কিছু পাশ্চাত্য দেশের চীনের প্রতি অপবাদের কোনও প্রমাণ দেখাতে পারে নি। এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক মিথ্যাচার। তাদের উদ্দেশ্য হলো, সিনচিয়াংয়ের সন্ত্রাসদমনের চেষ্টা ও চীনের উন্নয়নে বাধা দেওয়া।
২০১৯ সালের জুলাই মাসে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার ২৮টি সদস্য দেশসহ ৫১টি দেশ যৌথভাবে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের চেয়ারম্যান ও উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের চিঠি পাঠায়। চিঠিতে চীনের সিনচিয়াংয়ে সন্ত্রাস দমনের নীতি এবং চীন সরকার পক্ষ থেকে মুসলমান জনগোষ্ঠীর যত্নের প্রশংসা করা হয়।
আসলে সিনচিয়াং ইস্যুটি মানবাধিকার, ধর্ম ও জাতির বিষয় না, শুধুমাত্র সন্ত্রাস ও বিচ্ছিন্নতা দমন ইস্যু। চীন সরকার সিনচিয়াংয়ে ৩৫ হাজারেরও বেশি মসজিদ নির্মাণ করেছে। অন্যদিকে, ফ্রান্সে ২৩০০টি, যুক্তরাষ্ট্রে ২১০৬টি ও ব্রিটেনে ১৬০০টি মসজিদ আছে। সিনচিয়াংয়ে গড়ে ৫৩০জন মুসলিমের জন্য একটি মসজিদ রয়েছে। বাংলাদেশের 'ডেইলি সান' পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক শিহাব রহমান সিনচিয়াং পরিদর্শনের পর বলেন, আমি সিনচিয়াংয়ে আসার আগে শুনেছিলাম, চীন সরকার মুসলমানদের ধর্মীয় কাজে বিরোধিতা করে। কিন্তু আমি এখানে দেখেছি, সিনচিয়াংয়ে মুসলমানদের ধর্ম বিশ্বাসের অধিকার কার্যকরভাবে রক্ষা করা হচ্ছে।
(ছাই/তৌহিদ/ওয়াং হাইমান)