মার্চ ১৮: কোনো দেশেরই উচিত নয় হাল ছেড়ে দেওয়া। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র সিজিটিএনকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে এ কথা বলেন। কোভিড-১৯ বর্তমানে সারা বিশ্ব ছড়িয়ে পড়ছে। কিছু কিছু ইউরোপীয় দেশ বর্তমানে মহামারীর কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। তবে তারা নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে মহামারী মোকাবিলা করছে। মহামারীর মুখে লড়াই না আত্মসমর্পণ, কোনটা বাছাই করবে ইউরোপ?
গত সপ্তাহ থেকে ব্রিটেনের বেশকিছু সুপার মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। সুপারমার্কেটের শেল্ফগুলো এদিন খালি হয়ে যায়। এদিকে ব্রিটেনে প্রতিদিন নতুন রোগীর সংখ্যা ৩০ শতাংশ করে বাড়ছে। তবে প্রতিরোধকাজ খুব সহজ-সরল। স্থানীয় সময় গত ১২ মার্চ, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে, হাল্কা আক্রান্ত রোগীদের টেস্ট করা হবে না। যাদের কাশি ও জ্বর হবে, তাদের বাড়িতে ৭ দিনের জন্য কোয়ারেন্টিনে থাকার অনুরোধও জানান তিনি। জনসাধারণের প্রতি প্রতিরোধ-ক্ষমতা বাড়াতেও উত্সাহ দিচ্ছে ব্রিটিশ সরকার। এ মহামারীর বিরুদ্ধে প্রতক্রিয়া দেখাতে ব্রিটেন দেরি করেছে। এক মাস পর ব্রিটেন সরকার মন্ত্রিসভার প্রথম নিরাপত্তা সভা আয়োজন করে। এদিকে সুইজারল্যান্ড গত ১২ মার্চ কোভিড-১৯ রোগী সংক্রান্ত জরিপ করতে এবং হাল্কা আক্রান্তদের পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টও টেলিভিশন ভাষণে যাতায়াতের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে না বলে ঘোষণা করেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আদহানম বলেন, ইউরোপ বর্তমানে কোভিড-১৯ সংক্রমণের কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে। পশ্চিমা দেশগুলো দেরি প্রতিক্রিয়া দেখানোয় এমনটা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। (রুবি/আলিম/শিশির)