চীনের সুবিখ্যাত জুং নান শান ও লি লান চিউয়ান সারা বিশ্বের সামনে ভিডিওর মাধ্যমে ভাইরাস প্রতিরোধের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। ভাইরাস নিয়ে গবেষণার ফলাফল থেকে শুরু করে বিভিন্ন লক্ষণ, রোগীদের চিকিত্সার পদ্ধতিসহ চীনা চিকিত্সকদের মূল্যবান অভিজ্ঞতা বিশ্বের চিকিত্সকদের সঙ্গে তারা শেয়ার করেন।
চীনের চেচিয়াং প্রদেশের নিনংপো শহরের চিকিত্সক ব্রিটেনের নোটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ভাইরাস প্রতিরোধসংক্রান্ত চিকিত্সা-প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি শেয়ার করেন। চার বার চীন-ইউরোপ ভাইরাস প্রতিরোধ ভিডিও সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য বিনিময় করা হয়।
এ পর্যন্ত চীনে গুরুতরভাবে আক্রান্ত হুপেই প্রদেশে টানা ৫ দিন ধরে কোন নতুন আক্রান্ত রোগী দেখা যায়নি।
ভাইরাস প্রতিরোধে চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা হলো, দ্রুত শনাক্ত করা, লক্ষণ অনুযায়ী চিকিত্সা-পদ্ধতি প্রয়োগ এবং হালকা ও গুরুতর আক্রান্ত রোগীদের ভিন্ন ভিন্ন চিকিত্সা দেওয়া।
চীন থেকে পাঠানো চিকিত্সক-দল ইতোমধ্যে সার্বিয়া, ইরান, ইরাক ও ইতালিতে পৌছে স্থানীয় ভাইরাস প্রতিরোধে সাহায্য দিচ্ছে। ইতালি ও ইরান চীনের অভিজ্ঞতা থেকে শিখে আক্রান্ত রোগীদের আলাদা রাখার হাসপাতাল নির্মাণ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের চিকিত্সকদের সঙ্গে চীনের ঐতিহ্যবাহী ওষুধ ও চিকিত্সা পদ্ধতির অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হয়েছে।
চীন ইতোমধ্যে ৮২টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাকে চিকিত্সা-সামগ্রী দান করেছে। (স্বর্ণা/আলিম)