ছোটবেলায় মা থিয়ান ইয়ু-এর জীবন ছিল খুবই কষ্টের। ৫ বছর বয়সে তিনি মা-কে হারান। মধ্য-শরত উত্সবে তার মা মারা যান। তখন থেকে তিনি আর মধ্য শরত্ উত্সব পালন করেন না। পরিবারের ঋণের কারণে তাঁর বাবা বাসা থেকে অনেক দূরে চলে যান। তিনি ও তার দুই বড় বোন দাদা-দাদির সঙ্গে জীবনযাপন করতে থাকেন। ১৬ বছর বয়সে তিনি চাকরি করতে শুরু করেন।
পানশালায় কাজ করার সময় তিনি সঙ্গীত মহলের কয়েকজনের সঙ্গে পরিচিত হন। তাঁরা মা থিয়ান ইয়ুকে অভিনয়ে উত্সাহ দেন। তিনি এই প্রস্তাব গ্রহণ করেন।
২০০৬ সালে মা থিয়ান ইয়ু শাংহাই টেলিভিশনের কন্ঠশিল্পী নির্বাচনের লাইভ শো'তে অংশগ্রহণ করেন এবং হুপেই প্রদেশের উহান শহরের চ্যাম্পিয়ন, দেশের ষষ্ঠতম স্থান এবং দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নতুন কন্ঠশিল্পীর পুরস্কার জিতে নেন।
২০০৬ সালের ডিসেম্বর মাসে মা থিয়ান ইয়ু বেইজিং ফিল্ম একাডেমীতে ভর্তি হয়ে লেখাপড়া শুরু করেন। একই মাসের ৬ তারিখে মা থিয়ান ইয়ু-এর প্রথম গান 'শুধুই শরত্কাল বাকি' প্রকাশিত হয়। এই গানের কথা মা থিয়ান ইয়ু—এর নিজের লেখা।
২০০৭ সালের ২৯ জানুয়ারি, মা থিয়ান ইয়ু-এর প্রথম অ্যালবাম 'রঙিন মা থিয়ান ইয়ু' প্রকাশিত হয়। এতে দশটি ভিন্ন স্টাইলের গান অন্তর্ভুক্ত হয়। প্রত্যেক গানে মা থিয়ান ইয়ু ভিন্ন রং দিয়ে বর্ণনা করেন। এই অ্যালবাম প্রকাশের পর পরই অ্যালবাম বিক্রির তালিকায় শীর্ষ স্থান দখল করে।
২০০৮ সালের জানুয়ারি মাসে, মা থিয়ান ইয়ু টিভি সিরিয়াল 'তুমি আমার স্বপ্নে'-তে অভিনয় করেন। এই টিভি সিরিজের থিম সং 'শীত্কালের গল্প'-এ তিনি কণ্ঠ দেন।
২০০৮ সালের ৬ মার্চ মা থিয়ান ইয়ু-এর দ্বিতীয় অ্যালবাম 'ওড়া' বাজারে আসে।
২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে মা থিয়ান ইয়ু-এর গাওয়া 'রাতের শাংহাই শহর' রিলিজ হয়।
২০১০ সালের ৩০ নভেম্বর মা থিয়ান ইয়ু-এর আরেকটি অ্যালবাম 'মা থিয়ান ইয়ু-এর কথা' বাজারে আসে। এতে অন্তর্ভুক্ত আছে পাঁচটি গান।
২০১৫ সালে মা থিয়ান ইয়ু 'কল্পনা করতে পারি না'-য় অভিনয় করেন।
২০১৭ সালের ২৭ জুলাই চীনা গণমুক্তি ফৌজ প্রতিষ্ঠার ৯০ বছর পূর্তিতে তিনি 'গণমুক্তি ফৌজের প্রতিষ্ঠান' নামের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মান থিয়ান ইয়ু-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবারও কথা হবে। (শুয়েই/আলিম/সুবর্ণা)