প্রেসিডেন্ট সি চ্যচিয়াং সফরের শুরুতে নিংপো'র চৌশান বন্দরের ছুয়ান শান বন্দরে যান। সেখানে তিনি বন্দরের কাজ পুনরুদ্ধারের অবস্থা পরিদর্শন করেন।
বন্দর একটি দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন প্রতিফলিত করে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চীনে ৯০ শতাংশেরও বেশি সামগ্রী বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি করা হয়। বিশ্বের প্রথম দশটি বন্দরের মধ্যে চীনের সাতটি বন্দর রয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, বন্দরের কাজ পুনরুদ্ধার করা বিশ্বের শিল্প সরবরাহ চেইনের স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ।
এ সফরে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বিশ্বের বৃহত্তম বন্দর— নিংপো শহরের চৌশান বন্দর পরিদর্শন করেন; যা বিশ্বের সরবরাহের চেইনের স্থিতিশীলতা রক্ষায় শক্তিশালী ইঙ্গিত দেয়।
এরপর প্রেসিডেন্ট সি নিংপো শহরের তাছি গাড়ির যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানা পরিদর্শন করেন। এখানে ৭০টিরও বেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠান আছে। প্রেসিডেন্ট সি প্রধানত একটি বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান—নিংপো চেনজি মেশিন মডেল কোম্পানি ঘুরে দেখেন। কোম্পানির দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ২০১৯ সালের শেষ নাগাদ অনেক অর্ডার পাওয়ায় চলতি বছরের প্রথম কোয়ার্টারে বিক্রির পরিমাণ মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নি। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে কোম্পানির কাজ কিছুটা প্রভাবিত হবে। তবে স্থানীয় সরকার ইতোমধ্যে সুবিধাজনক নীতি চালু করেছে। এতে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর উপকার হবে।
সি চিন পিং বলেন, এ মুহূর্তে, সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে চীনের উন্নয়ন বিবেচনা করতে হবে এবং আস্থা আরও সুসংবদ্ধ করতে হবে।
(শুয়েই/তৌহিদ)