ভাইরাসের মহামারি ঠেকাতে টিকার গবেষণা খুব গুরুত্বপূর্ণ। শীর্ষসম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট বিভিন্ন দেশকে যৌথভাবে ওষুধ ও টিকার গবেষণা জোরদারের প্রস্তাব দেন; যাতে দ্রুত মানবজাতির জন্য কল্যাণকর সাফল্য অর্জন করা যায়।
করোনাভাইরাসের টিকা গবেষণার শুরু থেকে চীন আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছে। চীনের উপ-বিজ্ঞানমন্ত্রী সুই নান পিং বলেন, চীন প্রথম পর্যায়ে বিশ্বের সঙ্গে ভাইরাসের জিনের গঠন শেয়ার করেছে, যাতে বিভিন্ন দেশ টিকা গবেষণা জোরদার করতে পারে। সুই নান পিং জানান, বর্তমানে চীন পাঁচটি প্রযুক্তিগত উপায়ে একসঙ্গে টিকার গবেষণা এগিয়ে নিচ্ছে। এর সবগুলোই আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যম।
টিকা গবেষণায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছাড়া চীন বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে সাধ্যমত চিকিৎসা-সামগ্রী ও সাহায্য দিচ্ছে। গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেছেন, বর্তমানে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ঐক্যবদ্ধভাবে ভাইরাস প্রতিরোধ করা। চীন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তথ্য ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে ইচ্ছুক। চীন যুক্তরাষ্ট্রকে যথাসাধ্য সাহায্যও দিতে চায়। গত রোববার চীনের দেওয়া প্রথম দফার ৮০ টন সাহায্য সামগ্রী শাংহাই থেকে নিউ ইয়র্ক পৌঁছেছে।
এ ছাড়া চীন বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশকে চিকিৎসা-সামগ্রী দিয়ে আসছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং মনে করেন, ঐক্যবদ্ধ হলে নিশ্চয় ভাইরাস নির্মূল করা যাবে এবং মানবজাতির সুন্দর ভবিষ্যত্ গড়ে তোলা যাবে।
(শুয়েই/তৌহিদ)