যখন প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং মিটিং রুমে প্রবেশ করেন, তখন সবাই হাততালি দেন। লুও চিয়ে ও ইয়ান ছিসহ ৫জন প্রতিনিধি গণস্বাস্থ্য ব্যবস্থা জোরদার করা, বাস্তব অর্থনৈতিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে সমর্থন বাড়ানো এবং জেলা-থানাসহ মূলস্তরের প্রশাসনের মান উন্নত, দরিদ্র পর্বতাঞ্চলে পরিবহণব্যবস্থা ও দারিদ্র্যবিমোচন শিল্পের উন্নয়ন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় চীনের ব্যবস্থার সুবিধা প্রতিফলনসহ নানা বিষয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেন।
তাদের মতামত শুনে সি চিন পিং বলেন, 'হুপেই ও উহানের আবাসিক জনগণ কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক অবদান রেখেছে এবং বিশাল ত্যাগও স্বীকার করেছে। উহান বীরের শহর। হুপেই ও উহানের আবাসিক জনগণ বীর জনগণ। উপস্থিত সবাই হুপেই প্রদেশের বিভিন্ন জাতির কর্মকর্তা ও জনগণের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানায়।
সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, বর্তমানে কোভিড-১৯ মহামারি বিদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। লক্ষণহীন রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। তাই কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এখনও শিথিল করা যায় না।
সি চিন পিং বলেন, "সুইয়ের মতো ছোট গর্ত দিয়ে বিশাল বাতাস আসতে পারে। তাই কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণকাজ শিথিল করা যাবে না। সবার উচিত আগের মতো কঠোরভাবে এ কাজ চালিয়ে যাওয়া, যাতে অর্জিত সাফল্য হারিয়ে না যায়।
সি চিন পিং বলেন, গোটা চীনে কোভিড-১৯ মহামারিতে সবচেয়ে গুরুতর প্রভাবিত ও দীর্ঘকাল ধরে লকডাউন জারি করা প্রদেশ হিসেবে হুপেই প্রদেশে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার কাজ কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। তবে প্রদেশটিতে দীর্ঘকালীন অর্থনীতির ভালো প্রবণতা পরিবর্তিত হয় নি এবং দেশ ও অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান এখনও রয়ে গেছে। তাই সিপিসি'র কেন্দ্রীয় কমিটি প্রদেশটির আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন পুনরুদ্ধারের জন্য ধারাবাহিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। হুপেই প্রদেশের কমরেডরা কোভিড-১৯ মোকাবিলা এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন বেগবানের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবেন বলে আশা করি আমি। যাতে সার্বিকভাবে সুষম সমাজ গঠন, দারিদ্র্যবিমোচনের লড়াইয়ে জয়ী হওয়া এবং হুপেই প্রদেশের উন্নয়নে নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করা সম্ভব হয়।
সি চিন পিং বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলার সময় চীনের গণস্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও চিকিত্সা সেবা ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও কিছু ত্রুটি পাওয়া গেছে। সবার উচিত বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের জন্য সংস্কার জোরদার করা এবং ত্রুটি সংশোধন করা। প্রতিরোধকাজ গণস্বাস্থ্য রক্ষায় সবচেয়ে সাশ্রয়ী ও কার্যকর কৌশল বলে উল্লেখ করেন সি চিন পিং।
সি চিন পিং আরও বলেন, মহামারি তত্ত্বাবধান ও পুর্বাভাসকাজ সময়োপযোগী ও সঠিক হতে হবে। অজানা কারনে তত্ত্বাবধানের দুর্ঘটনা এড়ানো এবং সঠিক তত্ত্বাবধান কৌশল উন্নত করা প্রয়োজন।
(রুবি/তৌহিদ/আকাশ)