ব্রিটেনের উচিত নয় আর হংকংয়ের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা: সিআরআই সম্পাদকীয়
  2020-05-25 18:13:06  cri
মে ২৫: চীন সরকার যখন, জনগণের আকাঙ্খা অনুযায়ী, দেশের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা আইন সুসংহত করার উদ্যোগ নিয়েছে, ঠিক তখন হংকংয়ের সর্বশেষ ঔপনিবেশিক প্রশাসক ক্রিস্টোফার ফ্রান্সিস প্যাটেন ও তাঁর সঙ্গীরা না-হক মন্তব্য করছেন। তারা বলছেন, হংকংসংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা আইন হংকংবাসীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার সামিল; হংকংয়ে চীন সরকারের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা আইনে প্রয়োগ হবে চীন-ব্রিটেন যৌথ বিবৃতির লঙ্খন। উপনিবেশ আমলের হংকংয়ের এই সাবেক প্রশাসকের বক্তব্য চীনা জনগণ এবং বিশ্বের অন্যান্য ব্রিটিশ উপনিবেশে ব্রিটিশ দুঃশাসনের দুঃখময় স্মৃতি জাগ্রত করেছে।

১৯ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে, ব্রিটেন কমপক্ষে তিন বার চীনের বিরুদ্ধে বড় আকারের আগ্রাসন চালায়। এর মধ্যে দুই বার আফিম যুদ্ধ এবং আট দেশের যৌথ বাহিনীর বেইজিং আক্রমণের ইতিহাস রয়েছে। তবে ব্রিটেন কখনই তার পাপের জন্য ক্ষমা চায়নি। অথচ আজও একশ্রেণির ব্রিটিশ রাজনীতিবিদরা বার বার ঔপনিবেশিক আমলের চিন্তা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে যাচ্ছেন।

একজন ব্রিটিশ গবেষক এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেছেন, চীন-ব্রিটেন যৌথ বিবৃতির প্রথম চেপ্টারের প্রথম বিধি হল: গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকার ঘোষণা করে, হংকংকে ফিরিয়ে আনা হল সকল চীনা জনগণের অভিন্ন আকাঙ্খা। গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকার ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই থেকে হংকংয়ে সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আর তৃতীয় চেপ্টারের দ্বিতীয় বিধি হল: হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাধীনে থাকবে। কূটনীতি ও প্রতিরক্ষা বিষয়কে কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালনা করবে। এ ছাড়া হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের উচ্চ মানের আত্মশাসনের অধিকার থাকবে।

চীনের ভূখণ্ড ও জনসংখ্যা ব্রিটেনের ১২ গুণের বেশি। দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বিভিন্ন অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখা চীনের কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব। চীনের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা আইন হংকংবাসীসহ চীনাদের মধ্যে আরও বেশি নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার অনুভূতি তৈরি করতে পারে। (শুয়েই/আলিম/জিনিয়া)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040