চীনের রাজধানীতে ৫৫ দিন পর নতুন করে ভাইরাসের বিস্তার
  2020-06-15 16:05:24  cri

১৩ জুন একই দিনে বেইজিংয়ে কোভিড-১৯-এ নতুন আক্রান্ত ৩৬ জন এবং ১ জন অ্যাসিপটোমেটিক রোগী পাওয়া যায়। ১১, ১২ এবং ১৪ জুন, বেইজিংয়ে টানা তিন দিন ধরে ৪৩ জন স্থানীয় আক্রান্ত চিহ্নিত হয়। বেইজিংয়ের চারটি এলাকা: ফেংথাই এলাকার স্যিলুও স্ট্রিট, হুয়াস্যিয়াং থানা, স্যিছেং এলাকার ইউয়েথান স্ট্রিট এবং ফাংশান এলাকার ছাংইয়াং থানায় মহামারী ঝুঁকির স্তর মাঝারি পর্যায়ে উন্নীত করা হয়েছে।

বেইজিংয়ের ফেংথাই এলাকার স্যিনফাদি পাইকারি বাজারসংশ্লিষ্ট ৪৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। বেইজিং-এর দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ঐ বাজারের ১০ হাজারেরও বেশি কর্মীর করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে। বেইজিং-এর বাসিন্দাদের জন্য শতকরা ৮০ ভাগ মাংস ও সবজি আসে এই বাজার থেকে। এই ঘটনার পর আশেপাশের ১১টি বসবাস এলাকা লকডাউন করা হয়েছে।

জানা গেছে, আমদানি করা স্যামন মাছ কাটা হয় এমন এক জায়গায় করোনাভাইরাসের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। ঐ বাজারের আশেপাশে সব স্কুলও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

আমরা দেখেছি, অনেক মানুষ এজন্য নার্ভাস হয়ে পড়েছেন। তাঁরা চিন্তা করছেন: আমাদের জীবন আবার অস্বাভাবিক হবে কি? আগে মহামারীর ঝুঁকির স্তর গোটা শহরের জন্য এক ছিল। কিন্তু এবার বেইজিংয়ের বিভিন্ন এলাকায় আলাদাভাবে ঝুঁকির স্তর ঠিক করা হচ্ছে। এর মানে, নিয়মতান্ত্রিকভাবে মহামারী নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। বেইজিংয়ে এখন নতুন করে মহামারী ঠেকানোর কাজ শুরু হয়েছে।

কোভিড-১৯ নির্মূল করা এমুহূর্তে সম্ভব নয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানবজাতিকে কোভিড-১৯-এর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদে সহাবস্থান করতে হতে পারে। কিন্তু চীন তুলনামূলকভাবে ব্যাপক প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। চীনের শক্তিশালী টেস্টিং ও ট্র্যাকিং সামর্থ্য আছে। চীন শুরু থেকে যেভাবে ভাইরাসের বিস্তার রোধ করতে পেরেছিল, ঠিক সেভাবে নতুন দফার এই সংক্রমণও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। (ছাই/আলিম)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040