'জাহাজ-টিকিট'
  2020-06-16 10:20:09  cri


বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে চীনের তাইওয়েনের বিখ্যাত নারী কন্ঠশিল্পী দেং লি জুন'র সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবো। তিনি ১৯৫৩ সালের ২৯ জানুয়ারি চীনের তাইওয়ানের ইউলিন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৫ সালের ৮ মে মারা যান। তাঁর পূর্বপুরুষের বাড়ি হ্যপেই প্রদেশের দামিং জেলা। প্রথমে আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে 'আলি পাহাড়ের মেয়ে' নামের গান শোনাবো। গানটি একটি পুরাতন গান। গানটি ১৯৪৭ সালে রিলিজ হয়। এটি একটি চলচ্চিত্রের থিম গান। চলচ্চিত্রটি হল তাইওয়ানের ইতিহাসের প্রথম চলচ্চিত্র। প্রথমে গানটি গেয়েছিলেন বিখ্যাত চীনা কন্ঠশিল্পী ছিং শান। ১৯৬৯ সালে ১৬ বছর বয়সী দেং লি জুন গানটিতে নিজের কণ্ঠ দেন। দেং লি জুন তাঁর মধুর মতো মিষ্টি কন্ঠ দিয়ে সারা চীন এমন কি গোটা এশিয়ায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। চলুন, আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো।

বন্ধুরা, শুনছিলেন দেং লি জুন'র কন্ঠে 'আলি পাহাড়ের মেয়ে' নামের গান। ১৯৬৭ সালে তিনি প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করে আনুষ্ঠানিকভাবে সংগীতজগতে প্রবেশ করেন। ১৯৬৯ সালে তিনি তাইওয়ানের প্রথম টিভি সিরিজের থিম সং গাওয়ার মাধ্যমে তাইওয়ানে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। গত শতাব্দীর সত্তুরের দশকে তার গান হংকং ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারে প্রবেশ করে এবং তিনি অনেক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ১৯৭৪ সালে তিনি জাপানি সংগীত দিয়ে জাপানে সংগীত পুরস্কার লাভ করে সেদেশে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। এখন আমি আপনাদেরকে 'আমাদের চিরতরুণ বাবা' নামের গান শোনাবো। গানটি ১৯৬৮ সালে রিলিজ হয়। চলুন, আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো।

বন্ধুরা, শুনছিলেন দেং লি জুন'র কন্ঠে 'আমাদের চিরতরুণ বাবা' নামের গান। ১৯৭৬ সালে তিনি হংকংয়ে নিজের কনসার্ট আয়োজন করেন। ১৯৮০ সালে তিনি তাইওয়ানের 'গোল্ডেন বেল পুরস্কার'-এর প্রথম শ্রেষ্ঠ নারী কন্ঠশিল্পীর পুরস্কার লাভ করেন। গত শতাব্দীর ৮০ দশকে তিনি লিঙ্কন সেন্টার, লস এঞ্জেলেস সঙ্গীত কেন্দ্র ও লাস ভেগাসে সিজার্স প্যালেসের আমন্ত্রণে সেসব জায়গায় কনসার্ট আয়োজন করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি প্রথম চীনা শিল্পী হিসেবে ট্যুর কনসার্টে বের হন। এরপর তিনি বাণিজ্যিকভাবে পারফর্ম করা বন্ধ করে দেন। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে 'জাহাজ-টিকিট' নামের গান শোনাবো।

বন্ধুরা, শুনছিলেন দেং লি জুন'র কন্ঠে 'জাহাজ-টিকিট' নামের গান। ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি পৃথক পৃথকভাবে তিনটি গান দিয়ে জাপানের সর্বোচ্চ সংগীত পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি আস্তে আস্তে সংগীতজগত থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। ১৯৯৫ সালে তিনি অ্যাজমায় আক্রান্ত হয়ে থাইল্যান্ডের চিযাংমাইতে মারা যান। একই বছরে তিনি হংকংয়ের দশ শ্রেষ্ঠ চীনা ভাষার সংগীত-শিল্পী হিসেবে পুরস্কার লাভ করেন। জাপানের তিনটি শ্রেষ্ঠ সংগীত পুরস্কারও পান মৃত্যুর পর। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে 'একা পশ্চিম-ভবনে উঠে যাবো' নামের গান। গানটি ১৯৮৩ সালে রিলিজ হয়। চলুন, আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো।

বন্ধুরা, শুনছিলেন দেং লি জুন'র কন্ঠে 'একা পশ্চিম-ভবনে উঠে যাবো' নামের গান। ১৯৯৬ সালে গোল্ডেন মেলডি অ্যাওয়ার্ডস তাঁকে বিশেষ অবদান পুরস্কার প্রদান করে। ২০০৭ সালে জাপানের কোগা মাসাও সংগীত যাদুঘর তাঁকে পুরস্কার প্রদান করে। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে 'যখন আমি তোমাকে দেখি, তখন হাসি' নামের গান শোনাবো। গানটি ১৯৭১ সালে রিলিজ হয়। গানটি একটি চলচ্চিত্রের থিম সং। চলুন, আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো।

বন্ধুরা, শুনছিলেন 'যখন আমি তোমাকে দেখি, তখন হাসি' নামের গান। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে 'চাঁদ আমার হৃদয়ের প্রতিনিধিত্ব করে' নামের গান শোনাবো। ১৯৭৩ সালে কন্ঠশিল্পী ছেন ফেন লান প্রথমে গানটি গেয়েছিলেন। কিন্তু ১৯৭৭ সালে দেং লি জুন পুনরায় গানটি গাওয়ার পর এটি গোটা চীনে জনপ্রিয় হয়। এখনো গানটি খুবই জনপ্রিয়। চলুন, আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো।

প্রিয় শ্রোতা, এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আমাদের অনুষ্ঠানে আপনারা কোনো পছন্দের গান শুনতে চান, তাহলে জানাবেন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা ben@cri.com.cn। আর আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা caiyue@cri.com.cn। 'গানের অনুরোধ' আমার নিজস্ব ই-মেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়। আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিন, একই সময়ে আবারও আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। চাই চিয়ান। (ছাই/আলিম/রুবী)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040