চাং ইয়ু শেং
  2020-06-30 15:31:46  cri

চাং ইয়ু শেং, ১৯৬৬ সালের ৭ জুন জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৭ সালের ১২ নভেম্বর তার মৃত্যু হয়। তিনি চীনের তাইওয়ান প্রদেশের ভেং হু জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হলেন তাইওয়ানের খুব মর্যাদাপূর্ণ একজন কন্ঠশিল্পী, গীতিকার। তাকে তাইওয়ানের 'সঙ্গীতের জাদুকর' ডাকা হয়।

১৯৮৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বছরে চাং ইয়ু শেং প্রথমবারের মতো মঞ্চে উঠে গান পরিবেশন করেন। নিজের ছোট বোনের মৃত্যু তার জীবনে প্রভাব ফেলে। ছোট বোনের কন্ঠশিল্পী হওয়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য তিনি একটি সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বছরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গিটার গ্রুপে যোগ দেন।

১৯৮৭ সালে তিনি গিটার গ্রুপের একজন সহপাঠীর সঙ্গে 'Thunder Spot' নামে একটি ব্যান্ড গঠন করেন। তখন থেকে তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গান পরিবেশন করতে শুরু করেন।

১৯৮৭ সালের ৬ জুন, চাং ইয়ু শেং এবং তাঁর দল তাইওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে গান পরিবেশন করেন। তাঁর সুন্দর কন্ঠ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

১৯৮৮ সালে চাং ইয়ু শেং অবসরপ্রাপ্ত সেনাদের জীবনের বর্ণনাসমৃদ্ধ গান 'তারা' গেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বরচিত গানের প্রতিযোগিতার প্রথম পুরস্কার জিতে নেন।

১৯৮৮ সালে চাং ইয়ু শেং 'আমার ভবিষ্যত কেবল স্বপ্ন নয়' গানটি গেয়ে সুপরিচিত হয়ে ওঠেন। একই বছরের নভেম্বর মাসে তাঁর প্রথম ব্যক্তিগত অ্যালবাম 'প্রতিদিন তোমাকে মিস করি' প্রকাশিত হয়। অ্যালবামটির ৩.৫ লাখ কপি বিক্রি হয়।

১৯৮৯ সালে চাং ইয়ু শেং-এর দ্বিতীয় অ্যালবাম 'আমাকে মিস করো' প্রকাশিত হয় এবং এই অ্যালবাম প্রকাশের পর তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।

১৯৯০ সালের অক্টোবর মাসে চাং ইয়ু শেং তাইওয়ানের দ্বিতীয় গোল্ডেন ম্যালোডি অ্যাওয়াডর্সের শ্রেষ্ঠ পুরুষ কন্ঠশিল্পীর মনোনোয়ন পান। ১৯৯২ সালে তিনি লস এ্যাঞ্জেলসে 'চাং ইয়ু শেং-এর স্বরচিত গান' নামের অ্যালবাম তৈরি করেন। একই বছর তিনি 'আমাকে চাঁদে নিয়ে যাও' গানটির কারণে এশিয়া অঞ্চলের এমটিভি পুরস্কারের মনোনোয়ন পান।

১৯৯২ সালে তাঁর অ্যালবাম 'সমুদ্র' বিক্রি হয়ে ৬০ লক্ষাধিক কপি। এটি তাঁর সঙ্গীত জীবনের সবচেয়ে বেশি বিক্রি অ্যালবাম। ১৯৯৩ সালে চাং ইয়ু শেং-এর অ্যালবাম 'সারা দিন সাঁতার কাটার মাছ' বাজারে আসে। ১৯৯৪ সালে তাঁর শ্রেষ্ঠ গান নিয়ে 'স্বাধীন গান' নামের অ্যালবাম প্রকাশিত হয়।

১৯৯৭ সালের ২০ অক্টোবর ভোরে বাসায় যাওয়ার পথে গাড়ি দুর্ঘটনায় চাং ইয়ু শেং গুরুতরভাবে আহত হন। ১২ নভেম্বর রাত ১১টা ৪৮ মিনিটে, চাং ইয়ু শেং মৃত্যুবরণ করে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৩১ বছর।

প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী চাং ইয়ু শেং-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবারও কথা হবে, শোনা হবে গান। (শুয়েই/আলিম/সুবর্ণা)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040