জুলাই ৩: হংকংয়ের জাতীয় নিরাপত্তা আইন অনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলের অনেকেই মনে করেন এ আইন হংকংয়ের সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ফ্লেখানোভ রাশিয়ান অর্থনীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সার্গেই মার্কোভ বলেন, হংকংয়ের জাতীয় নিরাপত্তা আইনকে রাশিয়া ব্যাপকভাবে সমর্থন করে। এ আইন দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সহায়ক। চীনের এ ব্যবস্থা যুক্তিসঙ্গত। আন্তর্জাতিক সমাজের উচিত এতে সমর্থন দেওয়া।
নাইজেরিয়ার চীন গবেষণাকেন্দ্রের পরিচালক চার্লস ওনুনাইজু জানান, কিছু দেশ হংকংয়ে বিশৃঙ্খলা করতে চায়। নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে চীন সরকারের দূরদর্শী চিন্তা প্রতিফলিত হয়েছে।
ইতালির সিউ-সিল্ক রোড উন্নয়ন সংগঠনের পরিচালক ফ্রান্সেসকো মেরিঙ্গিও জানান, নিরাপত্তা আইন থেকে চীন সরকারের দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতিজ্ঞা প্রতিফলিত হয়েছে। যে কোনও সন্ত্রাসী তৎপরতা ও বিছিন্নতাবাদ দেখা দিলে এ আইনে দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এতে চীনের বৈধ অধিকার ও অন্য দেশের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।
সাবেক ব্রিটিশ পার্লামেন্ট মেম্বার জর্জ গ্যালওয়ে বলেন, চীনা ভূখণ্ডে আইন প্রণয়ন করা চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। হংকংয়ের জাতীয় নিরাপত্তা আইন আরও আগেই চালু করা উচিত ছিল। গত বছর হংকংয়ে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় পতাকায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা উচিত ছিল। কিন্তু বাস্তবতা হলো, যুক্তরাষ্ট্র হংকংয়ের লোকদের জাতীয় পতাকায় আগুন দেওয়ায় উৎসাহ দেয়। এটি দ্বৈত মানদণ্ড।
ব্রাজিলের সাও পাওলো স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মার্কোস পিয়ারস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র হংকংয়ের মাধ্যমে চীনকে চাপিয়ে রাখতে চায়। নিজের দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা চীন সরকারের বৈধ অধিকার।
(ইয়াং/তৌহিদ/ছাই)