জুলাই ৫: বেশ কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, রাজনীতিক ও পন্ডিতরা মনে করেন, হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলে জারি করা চীন সরকারের 'রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা আইন' চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার; এ ব্যাপারে অন্য কোনো দেশের হস্তক্ষেপের কোনো অধিকার নেই।
রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইগর মোরগুলভ বলেন, 'আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সার্বভৌমত্ব ও ভূখন্ডের অখন্ডতাকে সম্মান করি, এতে কোনো সন্দেহ নেই। হংকং ইস্যুকে চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার হিসেবে মনে করা উচিত।'
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, হংকং ইস্যুতে রাশিয়ার মৌলিক অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি। রাশিয়া চীনের সার্বভৌমত্ব ও ভূখন্ডের অখন্ডতাকে সম্মান করে। হংকংসংশ্লিষ্ট সব বিষয় চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এতে যেকোনো বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে মস্কো।
দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষমতাসীন পার্টি আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রসের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এএনসি সব দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে। প্রত্যেক দেশের জনগণ নিজেদের ভাগ্যের সিদ্ধান্ত নেয়, নিজ দেশের আইন প্রণয়ন করার অধিকার আছে তাদের। চীনের অবশ্যই একই অধিকার আছে।
লাওসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেছে, লাওস বরাবরই দৃঢ়ভাবে 'এক চীন নীতি' মেনে চলে। হংকং হল 'এক দেশ, দুই ব্যবস্থা'র আওতায় চীনের একটি বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল। লাওস চীনে হংকংয়ের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা আইন গৃহীত হওয়ায় অভিনন্দন জানায়। এই আইনের কার্যকর প্রয়োগ হংকংয়ের দীর্ঘস্থায়ী সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে। (শুয়েই/আলিম/লিলি)