সেমিনারে বিভিন্ন পক্ষ ভিডিও, ছবি এবং বিস্তারিত তথ্যের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সিস্টেম্যাটিক বর্ণবাদ সমস্যা চিহ্নিত করে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রকে তার বাধ্যবাধকতা মেনে চলা এবং অবিলম্বে সিস্টেম্যাটিক বর্ণবাদ নির্মূল করার জন্য কাঠামোগত সংস্কার করার আহ্বানও জানানো হয় সেমিনারে।
সেমিনারে অংশগ্রহণকারী যুক্তরাষ্ট্রের একজন আইনজীবী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণবৈষম্যের মূল অনেক গভীরে। যুক্তরাষ্ট্র ইতিহাসে রেড ইন্ডিয়ানদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে এবং কুখ্যাত 'চায়নিজ এক্সক্লুশান অ্যাক্ট' প্রণয়ন করেছে। ফ্রয়েডের ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণবাদের কেবলমাত্র "আইসবার্গের অগ্রভাগ"। যদিও মানবাধিকার কাউন্সিল এবং অন্যান্য বহুপক্ষবাদ সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে, তথাপি আশা করা হচ্ছে যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণবাদ সমস্যা তদারকি করার জন্য একটি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।
উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবাধিকার গবেষণা ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ঝাং ওয়ানহং সেমিনারে বলেন, 'চায়নিজ এক্সক্লুশান অ্যাক্ট' থেকে শুরু করে নভেল করোনাভাইরাস নিউমোনিয়া মহামারী পর্যন্ত এশীয় আমেরিকানরা যুক্তরাষ্ট্রে একটানা হয়রানি, বর্জন এবং বৈষম্যের শিকার হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে সাদা আধিপত্য, মূলধন স্বার্থে অগ্রাধিকার ইত্যাদি ক্ষেত্রে বর্ণবৈষম্য স্পষ্ট, যা বিশ্বশান্তিতে অনিশ্চয়তা এনেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বৈচিত্র্যকে সম্মান ও স্বীকৃতি দেওয়া উচিত এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের অধীনে তার দায়বদ্ধতা মেনে চলা উচিত। (জিনিয়া/আলিম/শুয়েই)