দুজারিক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ১৯৪৮ সালের ২১ জুন থেকে হু'র সদস্যরাষ্ট্র। হু-তে যোগদানের শর্ত অনুযায়ীই যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে সরে যাওয়ার এক বছর আগে জাতিসংঘকে নোটিশ দিল। এই এক বছর দেশটিকে সংশ্লিষ্ট আর্থিক দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে। বর্তমানে হু'র কাছে যুক্তরাষ্ট্রের বকেয়া চাঁদার পরিমাণ প্রায় ২০ কোটি মার্কিন ডলার।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বছরের শুরু থেকেই হু থেকে সরে আসার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। তার অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন মহলে সমালোচিত হয়েও আসছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক আবেদন ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
জাতিসংঘ তহবিলের চেয়ারম্যান এলিজাবেথ কুসেন্স বলেন, মার্কিন সরকারের এই আচরণ অদূরদর্শী। এর কোনো দরকার নেই এবং এটি অতি বিপজ্জনক।
অনেক মার্কিনিও ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন গতকাল (মঙ্গলবার) সামাজিক যোগাযোগ-গণমাধ্যমে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্বারোপ করলে মার্কিনিরা আরও নিরাপদ হবে। তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তার দায়িত্বগ্রহণের প্রথমদিনে যুক্তরাষ্ট্র হু-তে আবার ফিরে যাবে বলেও তিনি ঘোষণা দেন।
এদিকে, অনেক মার্কিন গণস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মনে করেন, মার্কিন সরকারের এই আচরণ মহামারী প্রতিরোধে বৈশ্বিক সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে দুর্বল করে তোলা ছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রের মহামারী মোকাবিলার জন্যও প্রতিকূল হবে। (লিলি/আলিম/শুয়ে)