বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মার্কিন আধিপত্যবাদ চীনের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না: সিএমজি সম্পাদকীয়
  2020-07-09 15:17:48  cri
জুলাই ৯: দীর্ঘকাল ধরেই উন্নত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের শক্তির প্রতীক। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের উন্নয়ন দ্রুততর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাধান্য ধাপে ধাপে হ্রাস পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এখন বরাবরের ঘোষিত 'ন্যায্য ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার' চেতনা থেকে সরে গিয়ে আধিপত্যবাদের পতাকা হাতে নিয়েছে এবং নানান নিষ্ঠুর পদক্ষেপের মাধ্যমে চীনের হাই-টেক শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে দমন করার চেষ্টা করছে। প্রশ্ন হচ্ছে: যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যবাদ কি চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করতে পারবে? উত্তর হচ্ছে: নিঃসন্দেহে না।

প্রথমত, চীন নিজের উদ্যোগে নবায়ন ও উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্বারোপ করে থাকে। কয়েক ডজন বছর আগে পশ্চিমা দেশের কঠোর অবরোধের মুখেই চীন পারমাণবিক বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র ও কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরি করে। বর্তমানে বিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রে চীনের বরাদ্দ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং এই অংকের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশেরও বেশি। গ্লোবাল ইনোভেশন সূচক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, প্রথম ২৫টি দেশের মধ্যে চীন হলো একমাত্র মধ্যম আয়ের দেশ।

দ্বিতীয়ত, চীন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে উন্মুক্ততা ও সহযোগিতায় অবিচল আছে বরাবরই। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রের আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে সবচেয়ে উচ্চ কার্যকর পদ্ধতিতে লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। এ ক্ষেত্রের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা হলো অনিবার্য প্রবণতা এবং যা যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছায় পরিবর্তিত হবে না।

তৃতীয়ত, বিদেশি হাই-টেক শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য চীনের বাজার উন্মুক্ত। চীন বিশ্বাস করে, নিজের উদ্যোগে সৃজনশীলতা, উন্মুক্ততা এবং সহযোগিতায় অটুট থাকলে চীনের উন্নয়ন কেউ থামিয়ে রাখতে পারবে না। (লিলি/আলিম/শুয়ে)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040