বারোস আইল্যান্ড মালদ্বীপের প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠা লাক্সারিয়াস রিসোর্ট ভিত্তিক দ্বীপ। পর্যটকদের সুবিদার্থে দ্বীপটি সুন্দর ভাবে পর্যটন স্থান হিসেবে গড়ে তুলেছে। সমগ্র ভারতের সামুদ্রিক অঞ্চলগুলোর মধ্যে এই বারোস আইল্যান্ড শীর্ষে । প্রায় সারাবছরই এখানকার আবহাওয়া ভালো লাগার মতো। আর তাই বছরের যেকোনো সময়ে ভ্রমণ প্রেমীদের জন্য পছন্দের একটি জায়গা হল এই বারোস আইল্যান্ড। হানিমুনের জন্যে বিখ্যাত এই রিসোর্ট আইল্যান্ড। তবে বারোসে ঘুরতে গেলে খরচ নেহায়েত কম হবেনা, এক রাত থাকতে বেশ খরচ করতে হবে আপনাকে।
কিভাবে ঘুরবেন বারোস আইল্যান্ড
শহরের কর্মব্যস্ত জীবন থেকে শান্ত ও নিরিবিলি সময় কাটাতে পর্যটকরা ভিড় জমায় এই আইল্যান্ডে। যদিও ছোট্ট একটি দ্বীপ বারোস কিন্তু এক্সসাইটিং অনেক অভিজ্ঞতার সুযোগ আছে এখানে। এখানকার স্পা ও মেডিটেশন সেন্টার গুলো প্রকৃতির কাছে যাওয়ার সাথে সাথে আধ্যাত্মিক ধ্যানের এক মেলবন্ধন। তাই প্রকৃতি প্রেমী কেউ এখানে গেলে এই সুযোগ হাতছাড়া করবে না।
এখানে যাদের পানিভীতি বা যারা ডাইভিং ভীতি আছে তাদের জন্য প্রাথমিক ডাইভ কোর্সের ব্যবস্থা আছে। আর যারা আগে থেকেই ডাইভিং জানে তারা উপভোগ করতে পারবে আইল্যান্ডের লেগুনে ডাইভ করার এক অভাবনীয় সুযোগ। মালদ্বীপের বারোস দ্বীপে স্নোরকেলিং করার এর সুবর্ণ সুযোগ কোনও পর্যটক হাতছাড়া করতে চায় না। এখানে দেখা মিলবে সমুদ্রের স্বচ্ছ পানির ভিতরে কোরালের আবাসস্থল, উত্তাল সাগরের ঢেউ, কচ্ছপ ও নানা ধরনের রঙ্গিন মাছ এক ভিন্ন ধরনের আনন্দ দেয় পর্যটকদের মনে। আর এখানকার পানির উপরে বীচ, ভিলা ও ব্যক্তিগত পুলগুলোতে পর্যটকদের থাকার জন্য নানা ধরনের আয়োজনকরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
বারোস আইল্যান্ডে বিভিন্ন ধরনের ওয়াটার স্পোর্টসের ব্যবস্থা আছে যেমন- ওয়াটার স্কাইং, ওয়াটার বোর্ডিং, উইন্ড সার্ফিং এবং ক্যানোইং। প্রতিটি রাইড অ্যাডভেঞ্চারে পরিপূর্ণ আর তাই পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষে থাকে এই রাইড গুলো। আপনি আপনার প্যাকেজ মতো সাজিয়ে নিতে পারবেন এই ওয়াটার স্পোর্টস গুলো।
কোথায় ও কি খাবেন
বারোস আইল্যান্ডে খাওয়ার জন্য বেশ কিছু ভালো মানের রেস্টুরেন্ট আছে। যেমন- লাইম রেস্টুরেন্ট ( এখানে মূলত সামুদ্রিক খাবার খেতে পারবেন তবে কিছুটা ভিন্ন টুইস্ট পাবেন খাবার গুলোতে), লাইট হাউজ রেস্টুরেন্ট (পুরো মালদ্বীপের মধ্যে এটা একমাত্র জায়গা যেখানে ভালো মানের বিভিন্ন ওয়াইন ও অন্যান্য বিশেষ খাবার পাওয়া যায় যা আর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না)। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সালাদ, এন্টি পাস্টি ও মেজ পাওয়া যায় যা বিভিন্ন ধরনের সস দিয়ে খাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন
সারি বদ্ধ হয়ে অসংখ্য রিসোর্ট একসাথে দাড়িয়ে আছে বীচের কাছে। প্রতিটা রিসোর্টেই থাকা, খাওয়ার ভালো ব্যবস্থা আছে। প্রাইভেট পুল, প্রাইভেট ব্যালকনি, প্রাইভেট গার্ডেন সহ নানা রকম সুযোগ সুবিধা হয়েছে রিসোর্ট গুলোতে। তবে বারোস আইল্যান্ড থেকে দূরের অন্যান্য রিসোর্টে তুলনামূলক কম খরচে থাকা যাবে।
কিছু টিপস
বারোসের রিসোর্ট গুলোতে থাকা খাওয়ার সাথে সাইটসিং এর প্যাকেজ থাকে।
মালদ্বীপের বারোস দ্বীপে কোরাল রিজেনারশনের একটি প্রোজেক্ট চলছে তাই, কোরাল প্রজাতির যেন কোন ধরনের ক্ষতি না হয় সেই দিকে খুব সতর্ক থাকার চেষ্টা করবেন।
মালদ্বীপ অতিথিপরায়ণ দেশ, তাই এখানে আসলে প্রতিটি রিসোর্টে বেশ খাতির ও সমাদর পাওয়া যাবে।
ভ্যাকেশন বা পিক সিজন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন তাতে খরচ ও ভিড় দুটোই কম হবে।
প্রাইভেট আইল্যান্ডে তুলনামুলক খরচ বেশী সিটির ভিতরের আইল্যান্ডের চেয়ে।
মালদ্বীপে ডলার ব্যবহার করা যায় তাই ডলার এক্সচেঞ্জ করার দরকার নেই।