সেপ্টেম্বর ২০: চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সম্প্রতি ঘোষণা করেন যে, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকীর অনলাইন শীর্ষসম্মেলনে যোগ দেবেন ও ভাষণ দেবেন। পাঁচ বছর আগে সি চিন পিং জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৭০তম বার্ষিকীর শীর্ষসম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এবং জাতিসংঘের সাধারণ বিতর্কে 'সহযোগিতা ও পারস্পরিক কল্যাণকর নতুন অংশীদার পরিণত হওয়া এবং মানবজাতির অভিন্ন স্বার্থের যৌথ কমিউনিটি প্রতিষ্ঠার জন্য যৌথ প্রচেষ্টা" শীর্ষক ভাষণ দিয়েছিলেন। কঠিন আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে মানবজাতির ভবিষ্যত নিয়ে চীনের প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন সি চিন পিং।
গত কয়েক বছর ধরে বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়, সংসদ, জাতিসংঘের শীর্ষসম্মেলন- যাই হোক না কেন, সি চিন পিং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইভেন্টে অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট যৌথ কমিউনিটির চেতনা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি সহজ সরল ভাষায় বিশ্ববাসীর প্রতি আরও সুন্দর পৃথিবী গড়ে তোলার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন।
২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ৭০তম জাতিসংঘ সম্মেলনের সাধারণ বিতর্কে দেওয়া 'সহযোগিতা ও পারস্পরিক কল্যাণকর নতুন অংশীদারে পরিণত হওয়া এবং মানবজাতির অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট যৌথ কমিউনিটি প্রতিষ্ঠার জন্য যৌথ প্রচেষ্টা" শীর্ষক ভাষণে সি চিন পিং বলেন, শান্তি, উন্নয়ন, সমতা, ন্যায় ও স্বাধীনতা গোটা মানবজাতির অভিন্ন মূল্যবোধ এবং জাতিসংঘের লক্ষ্য। বর্তমানে বিভিন্ন দেশ পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল। বিভিন্ন দেশের উচিত জাতিসংঘের সনদ ও নিয়মকানুন সম্প্রসারণ করা এবং সহযোগিতা ও সমন্বিত অর্জনকে কেন্দ্র করে নতুন ধরণের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার পাশাপাশি মানবজাতির অভিন্ন স্বার্থের কমিউনিটি গঠন করা। নতুন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক মানে সংলাপ- বৈরিতা নয় এবং অংশীদারি হওয়া- শত্রু নয়। বড় বা ছোট হোক, বিভিন্ন দেশের পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সহযোগিতা ও সমন্বিত অর্জনকে কেন্দ্রীয় বিষয় করা উচিত।
দু'বছর পর সি চিন পিং জেনিভায় জাতিসংঘ সদর দপ্তরে 'যৌথভাবে মানবজাতির অভিন্ন স্বার্থের কমিউনিটি প্রতিষ্ঠা' শীর্ষক ভাষণে বলেন, বড় দেশগুলো পরস্পরের কেন্দ্রীয় স্বার্থকে সম্মান করা এবং মতভেদ নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি যোগাযোগ রাখা ও আন্তরিক সহাবস্থান প্রয়োজন।
(রুবি/তৌহিদ/আকাশ)