বেইজিং বিশ্ব নারী সম্মেলন ও বিশ্ব নারী শীর্ষসম্মেলন নারী উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। ১৯৭টি দেশ ও অঞ্চলের ১৭ হাজার ৬শ প্রতিনিধি বেইজিং বিশ্ব নারী সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। বিভিন্ন প্রতিনিধি নারী নির্যাতন, পুরুষ ও নারীর লিঙ্গ অসমতাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করেছেন। অবশেষে সম্মেলনে বেইজিং ঘোষণা ও 'কার্যক্রমের নির্দেশনা' গৃহীত হয়।
২০১৫ সালে চীন ও জাতিসংঘের নারী সদর দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে বিশ্ব নারী শীর্ষসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এতে অংশ নেন এবং সভাপতিত্ব করেন। এ শীর্ষসম্মেলন বেইজিং বিশ্ব নারী সম্মেলনের চেতনা সম্প্রসারণ করা, নারীদের সার্বিক উন্নয়ন বেগবান করা এবং সুন্দর বিশ্ব গড়ে তোলার নানান উদ্যোগ গ্রহণ করে, যা আন্তর্জাতিক সমাজে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।
২০১৯ সালে চীন নারীর উন্নয়ন সম্পর্কে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, ২০১৫ সালে চীনা নারীর গড় আয়ু ৭৯.৪ বছর। যা নয়া চীন প্রতিষ্ঠার সময়ের চেয়ে ৪২.৭ বছর বেড়েছে। ২০১৮ সালে গর্ভবতী নারী ও বাচ্চা প্রসবকারী নারী মৃত্যুর হার দাঁড়ায় প্রতি লাখে ১৮.৩জন; যা ১৯৯০ সালের তুলনায় ৭৯.৪ শতাংশ কমেছে।
(রুবি/তৌহিদ/শিশির)