৭৫ বছর ধরে জাতিসংঘ বিশ্বের শান্তি ও উন্নয়নে অতুলনীয় ভূমিকা পালন করে আসছে। নতুন বিশ্বযুদ্ধ এড়ানো সম্ভব হয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটেছে। বর্তমান বিশ্ব অপূর্ব পরিবর্তনের সম্মুখীন হচ্ছে। মহামারি বিশ্বব্যাপী ছড়ানোর সাথে সাথে, সংরক্ষণবাদ ও একপক্ষবাদ এবং হম্বি-তম্বির প্রবণতাও বেড়েছে। এ সময় একটি শক্তিশালী জাতিসংঘ দরকার। চীনের চারটি প্রস্তাবে 'ন্যায়ের পক্ষে থাকা' মানে বিভিন্ন দেশকে সম্মান করা এবং আন্তর্জাতিক সমাজের ন্যায়তা রক্ষা করা। 'আইন অনুসারে প্রশাসন করা' মানে জাতিসংঘ সনদ ও নিয়ম অনুযায়ী সমস্যা সমাধান করা। 'সহযোগিতা ত্বরান্বিত করা' মানে সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা। এসব রক্ষা ও বাস্তবায়নের জন্য বাস্তব কার্যক্রমকে গুরুত্ব দিতে হবে। এক কথায় সি চিন পিং বলেন, 'জনসাধারণকে স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অগ্রাধিকার দেওয়া, উন্নয়নকে সামগ্রিক কাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দেওয়া, এবং জীবনের অধিকার ও উন্নয়নের অধিকারকে আরো বেশি গুরুত্ব দেওয়া' জরুরি।
জাতিসংঘের একমাত্র উন্নয়নশীল সদস্যদেশ হিসেবে চীন গত ৭৫ বছরে জাতিসংঘের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে এবং বাস্তব সহযোগিতার মাধ্যমে বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অংশগ্রহণ করেছে। টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ভূমিকা রাখা, মহামারি প্রতিরোধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশকে সাহায্য দেওয়া পর্যন্ত চীনের ভূমিকা অন্যান্য দেশ উপলব্ধি করতে পারে। বিশেষ করে, চীনের দারিদ্র্যবিমোচন প্রচেষ্টা জাতিসংঘের 'এজেন্ডা ২০৩০'-এ নির্ধারিত সময়ের ১০ বছর আগেই লক্ষ্য পুরণে সক্ষম হয়েছে। এটা বিশ্বের দারিদ্র্যবিমোচনে চীনের বড় অবদান।
সি চিন পিং বলেন, চীন সবসময় বহুপক্ষবাদের সমর্থক। চীন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে শান্তি ও উন্নয়ন বাস্তবায়নে, মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে নিজের অবদান রাখতে ইচ্ছুক। (ইয়াং/আলিম/ছাই)